মানুষকে নিঃস্ব করার কলে পরিণত হয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। শ্রমে-ঘামে পাওয়া টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে যা মিলছে তা দিয়ে সাধারণ মানুষের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। চাল-তেল, মাছ-মাংস, সবজির দাম বেড়েই চলেছে নিত্য।
নিত্যপণ্যের দাম কমার আশা মানুষ এখন আর করে না। কোন কিছুর দাম একবার বাড়লে সেটা যে সাধারণত কমে না সেটা তারা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে জেনেছে। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি কবে থামবে, আর কীভাবে তার নাগাল পাওয়া যাবে-এ দুশ্চিন্তা নিয়ে দিনযাপন করছে সাধারণ মানুষ।
খেটে খাওয়া মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার নতুন ভাঁজ ফেলেছে জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহণ ভাড়া। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মহামারীতে কাজ হারিয়ে অনেকের আজ বেঁচে থাকাই দায়। কাজ যাদের টিকে আছে তাদের অনেকেরই বেতন হয় কমেছে নয়তো অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। জমানো টাকা ফুরিয়েছে অনেক আগেই। ধার-কর্জ করে কোনমতে টিকে থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল অনেকে। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহন ভাড়া বাড়ায় টিকে থাকাই দায়। আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদনে নিত্যপণ্যের ভারে জর্জরিত মানুষের হাহাকার ফুটে উঠেছে।
মানুষ খাবে কী, চলবে কীভাবে সেটা কেউ কি ভাবে-এমন প্রশ্ন উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কারও কোন দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। মানুষ এখন আর উদরপূর্তি করার কথা ভাবে না। তারপরও ভাত বেশি খাওয়ার অপবাদ জুটেছে। দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে পারলেই খেটে খাওয়া মানুষ বেঁচে যায়। সরকার খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাববে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে সেটা আমাদের আশা। মানুষের আয় বাড়ানোর কার্যকর ব্যবস্থাও করতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে দেশে সেগুলোর দাম বাড়ানোর পেছনে অনেকেই যুক্তি খুঁজে পান। আবার অনেকে মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভাবলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারত।
দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামের লাগাম ছুটল কেন সেটার উত্তর জানা জরুরি। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আর মজুতদারি বন্ধে সরকার কি কঠোর ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? টিসিবি কি সব শ্রেণীর ভোক্তার চাহিদা মেটাতে সক্ষম? পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ কি সরকার নিতে পেরেছে?
বাজার ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কৌশলে যথেষ্ট ঘাটতি ও দুর্বলতা আছে। দুর্বলতা দূর করে শক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য দক্ষ, যোগ্য, সৎ এবং দায়িত্বশীল লোকের দরকার।
বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
মানুষকে নিঃস্ব করার কলে পরিণত হয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। শ্রমে-ঘামে পাওয়া টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে যা মিলছে তা দিয়ে সাধারণ মানুষের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। চাল-তেল, মাছ-মাংস, সবজির দাম বেড়েই চলেছে নিত্য।
নিত্যপণ্যের দাম কমার আশা মানুষ এখন আর করে না। কোন কিছুর দাম একবার বাড়লে সেটা যে সাধারণত কমে না সেটা তারা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে জেনেছে। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি কবে থামবে, আর কীভাবে তার নাগাল পাওয়া যাবে-এ দুশ্চিন্তা নিয়ে দিনযাপন করছে সাধারণ মানুষ।
খেটে খাওয়া মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার নতুন ভাঁজ ফেলেছে জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহণ ভাড়া। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মহামারীতে কাজ হারিয়ে অনেকের আজ বেঁচে থাকাই দায়। কাজ যাদের টিকে আছে তাদের অনেকেরই বেতন হয় কমেছে নয়তো অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। জমানো টাকা ফুরিয়েছে অনেক আগেই। ধার-কর্জ করে কোনমতে টিকে থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল অনেকে। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহন ভাড়া বাড়ায় টিকে থাকাই দায়। আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদনে নিত্যপণ্যের ভারে জর্জরিত মানুষের হাহাকার ফুটে উঠেছে।
মানুষ খাবে কী, চলবে কীভাবে সেটা কেউ কি ভাবে-এমন প্রশ্ন উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কারও কোন দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। মানুষ এখন আর উদরপূর্তি করার কথা ভাবে না। তারপরও ভাত বেশি খাওয়ার অপবাদ জুটেছে। দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে পারলেই খেটে খাওয়া মানুষ বেঁচে যায়। সরকার খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাববে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে সেটা আমাদের আশা। মানুষের আয় বাড়ানোর কার্যকর ব্যবস্থাও করতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে দেশে সেগুলোর দাম বাড়ানোর পেছনে অনেকেই যুক্তি খুঁজে পান। আবার অনেকে মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভাবলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারত।
দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামের লাগাম ছুটল কেন সেটার উত্তর জানা জরুরি। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আর মজুতদারি বন্ধে সরকার কি কঠোর ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? টিসিবি কি সব শ্রেণীর ভোক্তার চাহিদা মেটাতে সক্ষম? পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ কি সরকার নিতে পেরেছে?
বাজার ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কৌশলে যথেষ্ট ঘাটতি ও দুর্বলতা আছে। দুর্বলতা দূর করে শক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য দক্ষ, যোগ্য, সৎ এবং দায়িত্বশীল লোকের দরকার।