alt

সম্পাদকীয়

বাসের ড্রাইভার-হেলপারদের বেপরোয়া মনোভাব বদলাবে কীভাবে

: রোববার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

যাত্রীদের কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে একটি বাসে উঠেছিল শিশুটি। একপর্যায়ে তাকে নামিয়ে দেয়ার জন্য ড্রাইভারকে বাসের গতি কমাতে বলে হেলপার। গতি কিছুটা কমলে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝুঁকি নিয়ে শিশুটি রাস্তায় নামতে না নামতেই ড্রাইভার বাসের গতি বাড়িয়ে দেয়। তখন শিশুটি রাস্তায় ছিটকে পড়ে। তার জন্য বাসটি আর থামেনি। শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য যাত্রীরা বাস থামাতে বললেও সেটা ড্রাইভার-হেলপার শোনেনি।

আহত শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ নভেম্বর।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ড্রাইভার-হেলপারকে আটক করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ তৎপরতা প্রশংসনীয়। এখন অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। নিহত শিশুটির বাবা সড়ক পরিবহন আইনের অধীনে একটি মামলা করেছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধ প্রমাণ হলে অভিযুক্তরা কী দন্ড পাবে। সেই দন্ড কি সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য যথেষ্ট? এরপর কি বাসের ড্রাইভার-হেলপাররা চলন্ত গাড়ি থেকে কাউকে নামতে বাধ্য করা থেকে বিরত থাকবে? স্টপেজ অনুযায়ী বাস যথাযথভাবে থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করাবে?

সড়ক পরিবহন আইনে বলা হয়েছে, ‘দন্ডবিধির ৩০৪বি ধারায় যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত বা নিহত হলে চালক সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।’ এমন দন্ড সংশ্লিষ্টদের বেপরোয়া মনোভাব পরিবর্তন বা অবহেলার অবসান ঘটানোর জন্য যথেষ্ট কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে।

গণপরিবহনের ড্রাইভার-হেলপার কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার আরেকটি নজির হচ্ছে চট্টগ্রামে এক যাত্রীকে বাস থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনা। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজারে বাড়তি ভাড়া নেয়ার প্রতিবাদ করায় এক যাত্রীকে বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে ড্রাইভার-হেলপার। অভিযুক্ত চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

২০১৮ সালে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীর নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করে। তার প্রেক্ষিতে সংসদে সড়ক পরিবহন আইন পাস করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, আইনটিতে অনেক দুর্বলতা আছে। দুর্বলতা দূর করা না গেলে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। সংশ্লিষ্টরা আইনের দুর্বলতা দূর করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে।

আমরা বলতে চাই, আইনে যদি ফাঁকফোকর থাকে, এর প্রয়োগে যদি দুর্বলতা থাকে তাহলে চলন্ত বাস থেকে মানুষ নামতে বাধ্য করা, বেশি ভাড়া আদায় করা, বেশি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষকে বাস থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

বাসের ড্রাইভার-হেলপারদের বেপরোয়া মনোভাব বদলাবে কীভাবে

রোববার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

যাত্রীদের কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে একটি বাসে উঠেছিল শিশুটি। একপর্যায়ে তাকে নামিয়ে দেয়ার জন্য ড্রাইভারকে বাসের গতি কমাতে বলে হেলপার। গতি কিছুটা কমলে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝুঁকি নিয়ে শিশুটি রাস্তায় নামতে না নামতেই ড্রাইভার বাসের গতি বাড়িয়ে দেয়। তখন শিশুটি রাস্তায় ছিটকে পড়ে। তার জন্য বাসটি আর থামেনি। শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য যাত্রীরা বাস থামাতে বললেও সেটা ড্রাইভার-হেলপার শোনেনি।

আহত শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ নভেম্বর।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ড্রাইভার-হেলপারকে আটক করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ তৎপরতা প্রশংসনীয়। এখন অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। নিহত শিশুটির বাবা সড়ক পরিবহন আইনের অধীনে একটি মামলা করেছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধ প্রমাণ হলে অভিযুক্তরা কী দন্ড পাবে। সেই দন্ড কি সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য যথেষ্ট? এরপর কি বাসের ড্রাইভার-হেলপাররা চলন্ত গাড়ি থেকে কাউকে নামতে বাধ্য করা থেকে বিরত থাকবে? স্টপেজ অনুযায়ী বাস যথাযথভাবে থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করাবে?

সড়ক পরিবহন আইনে বলা হয়েছে, ‘দন্ডবিধির ৩০৪বি ধারায় যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত বা নিহত হলে চালক সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।’ এমন দন্ড সংশ্লিষ্টদের বেপরোয়া মনোভাব পরিবর্তন বা অবহেলার অবসান ঘটানোর জন্য যথেষ্ট কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে।

গণপরিবহনের ড্রাইভার-হেলপার কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার আরেকটি নজির হচ্ছে চট্টগ্রামে এক যাত্রীকে বাস থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনা। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজারে বাড়তি ভাড়া নেয়ার প্রতিবাদ করায় এক যাত্রীকে বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে ড্রাইভার-হেলপার। অভিযুক্ত চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

২০১৮ সালে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীর নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করে। তার প্রেক্ষিতে সংসদে সড়ক পরিবহন আইন পাস করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, আইনটিতে অনেক দুর্বলতা আছে। দুর্বলতা দূর করা না গেলে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। সংশ্লিষ্টরা আইনের দুর্বলতা দূর করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে।

আমরা বলতে চাই, আইনে যদি ফাঁকফোকর থাকে, এর প্রয়োগে যদি দুর্বলতা থাকে তাহলে চলন্ত বাস থেকে মানুষ নামতে বাধ্য করা, বেশি ভাড়া আদায় করা, বেশি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষকে বাস থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে না।

back to top