alt

সম্পাদকীয়

‘মুজিবকিল্লা’ দখলমুক্ত করুন

: বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলের মানুষ ও গবাদিপশু রক্ষায় নির্মাণ করা হয় মাটির কিল্লা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালে এসব কিল্লা নির্মাণ করা হয়। তাই এগুলো ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত। এসব কিল্লা নির্মাণের জন্য ৫ একর করে ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়।

নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় এরকম ৩৩টি মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি সমতল ভূমি থেকে ৩০-৪৫ ফুট উঁচু। দুর্যোগের সময় এসব কিল্লায় একসঙ্গে হাজারখানেক মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কিল্লার কারণেই ১৯৮৫ ও ১৯৯১ সালে ভয়াবহ বন্যার সময় রক্ষা পেয়েছিল এলাকার মানুষসহ গবাদিপশু।

পরিতাপের বিষয় হলো, এসব কিল্লার আশপাশের জায়গাসহ ২৮টিই দখল করে রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বাকি ৫টির মধ্যে ৩টি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ২টি কিল্লা পুনরায় সংস্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির অভাবেই বেদখল হয়ে যায়। দখলদাররা কায়দা-কৌশল করে আটঘাট বেঁধেই দখল করে রেখেছে বলে জানা যাচ্ছে। কিল্লা দেখভাল করার কোন কর্তৃপক্ষ আছে বলেও মনে হয় না। যদি তাই হতো তাহলে এত কিল্লা ও এর আশপাশের জায়গা দখলদাররা দশকের পর দশক ধরে কীভাবে দখল করে রাখে- সেটা একটা প্রশ্ন।

মাটির কিল্লা শুধু নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছিল তা নয়; উপকূলীয় প্রায় সব জেলার বিভিন্ন দুর্গম ও বন্যা কবলিত স্থানেই নির্মাণ করা হয়। সেগুলোর কী অবস্থা- সেটা জানা জরুরি।

জানা গেছে, বিদ্যমান সাইক্লোন শেল্টারগুলোর দোতলা বা তিন তলায় শুধু মানুষ আশ্রয় নিতে পারে, গবাদি পশু নয়। তাছাড়া জনসংখ্যা অনুপাতে উপকূলীয় জেলাগুলোর সাইক্লোন শেল্টারও পর্যাপ্ত নয়। সেক্ষেত্রে এসব কেল্লা দখলমুক্ত করে সংস্কার করা হলে দুর্যোগ কিংবা জলোচ্ছ্বাসের সময় স্থানীয়দের জানমাল রক্ষায় কাজে লাগানো যাবে।

যত দ্রুত সম্ভব এসব কিল্লা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে মুক্ত করতে হবে। পুনরায় যাতে দখল হয়ে না যায় সেজন্য নিয়মিত তদারকি করতে হবে। পাশাপাশি এতদিন যারা দখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ আর সেগুলো দখল করার দুঃসাহস না দেখায়।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

‘মুজিবকিল্লা’ দখলমুক্ত করুন

বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলের মানুষ ও গবাদিপশু রক্ষায় নির্মাণ করা হয় মাটির কিল্লা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালে এসব কিল্লা নির্মাণ করা হয়। তাই এগুলো ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত। এসব কিল্লা নির্মাণের জন্য ৫ একর করে ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়।

নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় এরকম ৩৩টি মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি সমতল ভূমি থেকে ৩০-৪৫ ফুট উঁচু। দুর্যোগের সময় এসব কিল্লায় একসঙ্গে হাজারখানেক মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কিল্লার কারণেই ১৯৮৫ ও ১৯৯১ সালে ভয়াবহ বন্যার সময় রক্ষা পেয়েছিল এলাকার মানুষসহ গবাদিপশু।

পরিতাপের বিষয় হলো, এসব কিল্লার আশপাশের জায়গাসহ ২৮টিই দখল করে রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বাকি ৫টির মধ্যে ৩টি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ২টি কিল্লা পুনরায় সংস্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির অভাবেই বেদখল হয়ে যায়। দখলদাররা কায়দা-কৌশল করে আটঘাট বেঁধেই দখল করে রেখেছে বলে জানা যাচ্ছে। কিল্লা দেখভাল করার কোন কর্তৃপক্ষ আছে বলেও মনে হয় না। যদি তাই হতো তাহলে এত কিল্লা ও এর আশপাশের জায়গা দখলদাররা দশকের পর দশক ধরে কীভাবে দখল করে রাখে- সেটা একটা প্রশ্ন।

মাটির কিল্লা শুধু নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছিল তা নয়; উপকূলীয় প্রায় সব জেলার বিভিন্ন দুর্গম ও বন্যা কবলিত স্থানেই নির্মাণ করা হয়। সেগুলোর কী অবস্থা- সেটা জানা জরুরি।

জানা গেছে, বিদ্যমান সাইক্লোন শেল্টারগুলোর দোতলা বা তিন তলায় শুধু মানুষ আশ্রয় নিতে পারে, গবাদি পশু নয়। তাছাড়া জনসংখ্যা অনুপাতে উপকূলীয় জেলাগুলোর সাইক্লোন শেল্টারও পর্যাপ্ত নয়। সেক্ষেত্রে এসব কেল্লা দখলমুক্ত করে সংস্কার করা হলে দুর্যোগ কিংবা জলোচ্ছ্বাসের সময় স্থানীয়দের জানমাল রক্ষায় কাজে লাগানো যাবে।

যত দ্রুত সম্ভব এসব কিল্লা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে মুক্ত করতে হবে। পুনরায় যাতে দখল হয়ে না যায় সেজন্য নিয়মিত তদারকি করতে হবে। পাশাপাশি এতদিন যারা দখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ আর সেগুলো দখল করার দুঃসাহস না দেখায়।

back to top