শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ কে না কামনা করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি শিশুর ভবিষ্যৎকে উন্নত আর উজ্জ্বল করার স্বপ্নই দেখছি শুধু নাকি স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজও করছি। শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য চাই উন্নত বিশ্ব। আর উন্নত বিশ্বের ধারণা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হয়েছে আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রত্যেক শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ’। দিবসটি পালন করা হয় শিশু অধিকার সনদের আলোকে; যেখানে যা শিশুদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্যগত এবং সাংস্কৃতিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য তার অধিকারগুলো রক্ষা করা জরুরি। সমস্যা হচ্ছে শিশুদেরও যে অধিকার আছে সেটা মানতে না চাওয়া মানুষের সংখ্য অনেক। তাদের অধিকার সম্পর্কে জানেন না সিংহভাগ মানুষ। আবার যারা তাদের অধিকার সম্পর্কে ধারণা রাখেন তাদের ক’জন সেটা রক্ষা করেন বা রক্ষা করার তাগিদ অনুভব করেন সেই প্রশ্ন করা যায়। অথচ জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ গ্রহণের পর পেরিয়ে গেছে ৩২ বছর। এই সনদকে বলা হয় বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি।
শিশুর উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার কাজটি খেয়ালখুশি মতো করলে চলবে না। এই কাজে শিশুর মতামত নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখনও বিশ্বজুড়েই শিশুদের মতপ্রকাশের সুযোগ সীমিত। বহু শিশু বড় হয় চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তে মধ্য দিয়ে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। শিশুকে তার মত প্রকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। তার কথা শোনা বা মত জানাই যথেষ্ট নয়। সেগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে শিশুর মতো মূল্যায়ন করার সক্ষমতা সবার আছে কিনা।
বৈশ্বিক মহামারীতে সবচেয়ে বেশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে শিশুরা অন্যতম। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট, সংঘাত-সংঘর্ষ, দারিদ্র্য, নানান বৈষম্য প্রভৃতির কারণেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব থেকে শিশুকে রক্ষা করে তার জন্য উজ্জ্বল ও উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে মানব জাতিকে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে।
শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যায়ে বিনিয়োগ করা জরুরি। শিশুর উন্নতি মানে চার দেয়ালে আটকে রাখা জীবন নয়। প্রতিটি শিশুর জন্য আনন্দময় শৈশব-কৈশরকেও নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ কে না কামনা করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি শিশুর ভবিষ্যৎকে উন্নত আর উজ্জ্বল করার স্বপ্নই দেখছি শুধু নাকি স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজও করছি। শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য চাই উন্নত বিশ্ব। আর উন্নত বিশ্বের ধারণা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হয়েছে আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রত্যেক শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ’। দিবসটি পালন করা হয় শিশু অধিকার সনদের আলোকে; যেখানে যা শিশুদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্যগত এবং সাংস্কৃতিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য তার অধিকারগুলো রক্ষা করা জরুরি। সমস্যা হচ্ছে শিশুদেরও যে অধিকার আছে সেটা মানতে না চাওয়া মানুষের সংখ্য অনেক। তাদের অধিকার সম্পর্কে জানেন না সিংহভাগ মানুষ। আবার যারা তাদের অধিকার সম্পর্কে ধারণা রাখেন তাদের ক’জন সেটা রক্ষা করেন বা রক্ষা করার তাগিদ অনুভব করেন সেই প্রশ্ন করা যায়। অথচ জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ গ্রহণের পর পেরিয়ে গেছে ৩২ বছর। এই সনদকে বলা হয় বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি।
শিশুর উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার কাজটি খেয়ালখুশি মতো করলে চলবে না। এই কাজে শিশুর মতামত নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখনও বিশ্বজুড়েই শিশুদের মতপ্রকাশের সুযোগ সীমিত। বহু শিশু বড় হয় চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তে মধ্য দিয়ে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। শিশুকে তার মত প্রকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। তার কথা শোনা বা মত জানাই যথেষ্ট নয়। সেগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে শিশুর মতো মূল্যায়ন করার সক্ষমতা সবার আছে কিনা।
বৈশ্বিক মহামারীতে সবচেয়ে বেশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে শিশুরা অন্যতম। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট, সংঘাত-সংঘর্ষ, দারিদ্র্য, নানান বৈষম্য প্রভৃতির কারণেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব থেকে শিশুকে রক্ষা করে তার জন্য উজ্জ্বল ও উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে মানব জাতিকে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে।
শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যায়ে বিনিয়োগ করা জরুরি। শিশুর উন্নতি মানে চার দেয়ালে আটকে রাখা জীবন নয়। প্রতিটি শিশুর জন্য আনন্দময় শৈশব-কৈশরকেও নিশ্চিত করতে হবে।