একটি-দুটি নয়, ৪০টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। উদ্দেশ্য ছিল রেল যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটানো, যাত্রী সেবার মান ও আওতা বাড়ানো। কিন্তু গত এক দশকে অধিকাংশ প্রকল্পেরই কাজ শেষ হয়নি। এ নিয়ে আজ ‘সংবাদ’-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাহামারী করোনার কারণে এসব প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে। তাছাড়া জমি অধিগ্রহণের ঝামেলাও কাজের গতি থামিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা। এর বাইরে বিডার্স ফাইন্যান্স বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণের অর্থায়নে ৭০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন ক্রয়ের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। ইঞ্জিন কেনার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হলেও এখনও হয়নি ঋণ চুক্তি।
রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব সমস্যার কথা বলছে তাদের ৪০টি প্রকল্পেই কি একই সমস্যা বিদ্যমান- এটা একটা প্রশ্ন। দেশে এমন কোন উন্নয়ন প্রকল্প কি আছে যেগুলো কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি? নাকি কেবল রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে এসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে? এক দশক পার হয়ে গেল, এখনও সেই একই সমস্যার কথা বলা হচ্ছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে করোনা মহামরীর কথা বলা হয়েছে। এটা ঠিক যে, করোনা মহামারীর শুরুতে দেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বিঘিœত হয়েছে। তবে এর মধ্যেই পদ্মা সেতুসহ দেশের অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। করোনা মহামারী শুরু হয়েছে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে। কিন্তু রেল খাতের অনেক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে মহামারীর আরও কয়েক বছর আগে। ঠিকমতো কাজ হলে করোনা মহামারীর আগেই অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হতে পারত।
প্রায় এক দশক আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়) থেকে আলাদা করে রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, রেলপথ ও রেলপরিবহন উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ, অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন। এতদিনে চোখে পড়ার মতো এসবের কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রেই সেবার মান কমেছে।
রেলের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। তবে রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যাস্ত করা হয়েছে, তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা আদৌ এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। যোগ্য ও দক্ষ জনবল ছাড়া রেল যোগাযোগ উন্নয়নে সরকারের যে লক্ষ্য রয়েছে তা পূরণ করা যাবে কিনা সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে।
শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১
একটি-দুটি নয়, ৪০টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। উদ্দেশ্য ছিল রেল যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটানো, যাত্রী সেবার মান ও আওতা বাড়ানো। কিন্তু গত এক দশকে অধিকাংশ প্রকল্পেরই কাজ শেষ হয়নি। এ নিয়ে আজ ‘সংবাদ’-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাহামারী করোনার কারণে এসব প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে। তাছাড়া জমি অধিগ্রহণের ঝামেলাও কাজের গতি থামিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা। এর বাইরে বিডার্স ফাইন্যান্স বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণের অর্থায়নে ৭০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন ক্রয়ের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। ইঞ্জিন কেনার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হলেও এখনও হয়নি ঋণ চুক্তি।
রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব সমস্যার কথা বলছে তাদের ৪০টি প্রকল্পেই কি একই সমস্যা বিদ্যমান- এটা একটা প্রশ্ন। দেশে এমন কোন উন্নয়ন প্রকল্প কি আছে যেগুলো কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি? নাকি কেবল রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে এসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে? এক দশক পার হয়ে গেল, এখনও সেই একই সমস্যার কথা বলা হচ্ছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে করোনা মহামরীর কথা বলা হয়েছে। এটা ঠিক যে, করোনা মহামারীর শুরুতে দেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বিঘিœত হয়েছে। তবে এর মধ্যেই পদ্মা সেতুসহ দেশের অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। করোনা মহামারী শুরু হয়েছে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে। কিন্তু রেল খাতের অনেক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে মহামারীর আরও কয়েক বছর আগে। ঠিকমতো কাজ হলে করোনা মহামারীর আগেই অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হতে পারত।
প্রায় এক দশক আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়) থেকে আলাদা করে রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, রেলপথ ও রেলপরিবহন উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ, অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন। এতদিনে চোখে পড়ার মতো এসবের কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রেই সেবার মান কমেছে।
রেলের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। তবে রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যাস্ত করা হয়েছে, তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা আদৌ এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। যোগ্য ও দক্ষ জনবল ছাড়া রেল যোগাযোগ উন্নয়নে সরকারের যে লক্ষ্য রয়েছে তা পূরণ করা যাবে কিনা সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে।