alt

সম্পাদকীয়

রেলের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ কতকাল ধরে চলতে থাকবে

: শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

একটি-দুটি নয়, ৪০টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। উদ্দেশ্য ছিল রেল যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটানো, যাত্রী সেবার মান ও আওতা বাড়ানো। কিন্তু গত এক দশকে অধিকাংশ প্রকল্পেরই কাজ শেষ হয়নি। এ নিয়ে আজ ‘সংবাদ’-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাহামারী করোনার কারণে এসব প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে। তাছাড়া জমি অধিগ্রহণের ঝামেলাও কাজের গতি থামিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা। এর বাইরে বিডার্স ফাইন্যান্স বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণের অর্থায়নে ৭০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন ক্রয়ের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। ইঞ্জিন কেনার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হলেও এখনও হয়নি ঋণ চুক্তি।

রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব সমস্যার কথা বলছে তাদের ৪০টি প্রকল্পেই কি একই সমস্যা বিদ্যমান- এটা একটা প্রশ্ন। দেশে এমন কোন উন্নয়ন প্রকল্প কি আছে যেগুলো কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি? নাকি কেবল রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে এসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে? এক দশক পার হয়ে গেল, এখনও সেই একই সমস্যার কথা বলা হচ্ছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে করোনা মহামরীর কথা বলা হয়েছে। এটা ঠিক যে, করোনা মহামারীর শুরুতে দেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বিঘিœত হয়েছে। তবে এর মধ্যেই পদ্মা সেতুসহ দেশের অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। করোনা মহামারী শুরু হয়েছে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে। কিন্তু রেল খাতের অনেক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে মহামারীর আরও কয়েক বছর আগে। ঠিকমতো কাজ হলে করোনা মহামারীর আগেই অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হতে পারত।

প্রায় এক দশক আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়) থেকে আলাদা করে রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, রেলপথ ও রেলপরিবহন উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ, অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন। এতদিনে চোখে পড়ার মতো এসবের কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রেই সেবার মান কমেছে।

রেলের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। তবে রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যাস্ত করা হয়েছে, তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা আদৌ এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। যোগ্য ও দক্ষ জনবল ছাড়া রেল যোগাযোগ উন্নয়নে সরকারের যে লক্ষ্য রয়েছে তা পূরণ করা যাবে কিনা সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

রেলের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ কতকাল ধরে চলতে থাকবে

শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

একটি-দুটি নয়, ৪০টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। উদ্দেশ্য ছিল রেল যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটানো, যাত্রী সেবার মান ও আওতা বাড়ানো। কিন্তু গত এক দশকে অধিকাংশ প্রকল্পেরই কাজ শেষ হয়নি। এ নিয়ে আজ ‘সংবাদ’-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাহামারী করোনার কারণে এসব প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে। তাছাড়া জমি অধিগ্রহণের ঝামেলাও কাজের গতি থামিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা। এর বাইরে বিডার্স ফাইন্যান্স বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণের অর্থায়নে ৭০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন ক্রয়ের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। ইঞ্জিন কেনার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হলেও এখনও হয়নি ঋণ চুক্তি।

রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব সমস্যার কথা বলছে তাদের ৪০টি প্রকল্পেই কি একই সমস্যা বিদ্যমান- এটা একটা প্রশ্ন। দেশে এমন কোন উন্নয়ন প্রকল্প কি আছে যেগুলো কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি? নাকি কেবল রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে এসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে? এক দশক পার হয়ে গেল, এখনও সেই একই সমস্যার কথা বলা হচ্ছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে করোনা মহামরীর কথা বলা হয়েছে। এটা ঠিক যে, করোনা মহামারীর শুরুতে দেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বিঘিœত হয়েছে। তবে এর মধ্যেই পদ্মা সেতুসহ দেশের অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। করোনা মহামারী শুরু হয়েছে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে। কিন্তু রেল খাতের অনেক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে মহামারীর আরও কয়েক বছর আগে। ঠিকমতো কাজ হলে করোনা মহামারীর আগেই অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হতে পারত।

প্রায় এক দশক আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়) থেকে আলাদা করে রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, রেলপথ ও রেলপরিবহন উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ, অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন। এতদিনে চোখে পড়ার মতো এসবের কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রেই সেবার মান কমেছে।

রেলের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। তবে রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যাস্ত করা হয়েছে, তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা আদৌ এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। যোগ্য ও দক্ষ জনবল ছাড়া রেল যোগাযোগ উন্নয়নে সরকারের যে লক্ষ্য রয়েছে তা পূরণ করা যাবে কিনা সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে।

back to top