এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ইতিহাসে রেকর্ড ৯৩.৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১৪ সালে মাধ্যমিকে সর্ব্বোচ্চ ৯২.৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জানাই অভিনন্দন। যারা পরীক্ষায় কোন কারণে কৃতকার্য হতে পারেনি তারা হাল ছাড়বে না, লড়াইটা চালিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা করি। উত্তীর্ণ হলেও অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল অর্জন করতে পারেনি। এসব শিক্ষার্থীর এখন পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আরও ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও অল্প সময়ই পরীক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত থাকতে পেরেছে। এই সময় তাদের নানা শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষভাবে শ্রেণী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেনি দীর্ঘ একটা সময়জুড়ে। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চললেও অনেক শিক্ষার্থীই তাতে নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি। গতবার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি। অটোপাস দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। এবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন সংশয় ছিল। পরীক্ষা সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হলেও এবার শুরু হয় ১৪ নভেম্বর।
পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। আবশ্যিক বিষয়গুলো বাদ দিয়ে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও নেয়া হয়নি। তিন ঘণ্টার পরিবর্তে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে দেড় ঘণ্টায়। নম্বরও কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়নি সেসব বিষয়ে নম্বর দেয়া হয়েছে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘ম্যাপিং’ করে। এতে করে অটোপাসের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলেছে বলে অনেকে মনে করছেন।
গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। এবার জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ৪৪২ জন। আমরা আশা করতে চাই, লেখাপড়ায় সংখ্যাগত উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গুণগত উন্নতিও হচ্ছে।
এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের এ অর্জন আমাদের আশাবাদী করে। যথাযথ সুযোগ পেলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ পেলে মেয়েরাও যে সব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে সেটা আবারও প্রমাণিত হলো।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার বেশি ছিল। মহামারীর কারণে ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। বাল্যবিয়েও বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে এ সংকট জোরালোভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ইতিহাসে রেকর্ড ৯৩.৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১৪ সালে মাধ্যমিকে সর্ব্বোচ্চ ৯২.৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জানাই অভিনন্দন। যারা পরীক্ষায় কোন কারণে কৃতকার্য হতে পারেনি তারা হাল ছাড়বে না, লড়াইটা চালিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা করি। উত্তীর্ণ হলেও অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল অর্জন করতে পারেনি। এসব শিক্ষার্থীর এখন পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আরও ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও অল্প সময়ই পরীক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত থাকতে পেরেছে। এই সময় তাদের নানা শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষভাবে শ্রেণী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেনি দীর্ঘ একটা সময়জুড়ে। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চললেও অনেক শিক্ষার্থীই তাতে নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি। গতবার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি। অটোপাস দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। এবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন সংশয় ছিল। পরীক্ষা সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হলেও এবার শুরু হয় ১৪ নভেম্বর।
পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। আবশ্যিক বিষয়গুলো বাদ দিয়ে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও নেয়া হয়নি। তিন ঘণ্টার পরিবর্তে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে দেড় ঘণ্টায়। নম্বরও কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়নি সেসব বিষয়ে নম্বর দেয়া হয়েছে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘ম্যাপিং’ করে। এতে করে অটোপাসের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলেছে বলে অনেকে মনে করছেন।
গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। এবার জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ৪৪২ জন। আমরা আশা করতে চাই, লেখাপড়ায় সংখ্যাগত উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গুণগত উন্নতিও হচ্ছে।
এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের এ অর্জন আমাদের আশাবাদী করে। যথাযথ সুযোগ পেলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ পেলে মেয়েরাও যে সব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে সেটা আবারও প্রমাণিত হলো।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার বেশি ছিল। মহামারীর কারণে ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। বাল্যবিয়েও বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে এ সংকট জোরালোভাবে মোকাবিলা করতে হবে।