alt

সম্পাদকীয়

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, ঝরে পড়াদের কথা ভাবতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ইতিহাসে রেকর্ড ৯৩.৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১৪ সালে মাধ্যমিকে সর্ব্বোচ্চ ৯২.৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জানাই অভিনন্দন। যারা পরীক্ষায় কোন কারণে কৃতকার্য হতে পারেনি তারা হাল ছাড়বে না, লড়াইটা চালিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা করি। উত্তীর্ণ হলেও অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল অর্জন করতে পারেনি। এসব শিক্ষার্থীর এখন পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আরও ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও অল্প সময়ই পরীক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত থাকতে পেরেছে। এই সময় তাদের নানা শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষভাবে শ্রেণী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেনি দীর্ঘ একটা সময়জুড়ে। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চললেও অনেক শিক্ষার্থীই তাতে নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি। গতবার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি। অটোপাস দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। এবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন সংশয় ছিল। পরীক্ষা সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হলেও এবার শুরু হয় ১৪ নভেম্বর।

পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। আবশ্যিক বিষয়গুলো বাদ দিয়ে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও নেয়া হয়নি। তিন ঘণ্টার পরিবর্তে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে দেড় ঘণ্টায়। নম্বরও কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়নি সেসব বিষয়ে নম্বর দেয়া হয়েছে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘ম্যাপিং’ করে। এতে করে অটোপাসের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলেছে বলে অনেকে মনে করছেন।

গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। এবার জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ৪৪২ জন। আমরা আশা করতে চাই, লেখাপড়ায় সংখ্যাগত উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গুণগত উন্নতিও হচ্ছে।

এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের এ অর্জন আমাদের আশাবাদী করে। যথাযথ সুযোগ পেলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ পেলে মেয়েরাও যে সব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে সেটা আবারও প্রমাণিত হলো।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার বেশি ছিল। মহামারীর কারণে ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। বাল্যবিয়েও বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে এ সংকট জোরালোভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, ঝরে পড়াদের কথা ভাবতে হবে

বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ইতিহাসে রেকর্ড ৯৩.৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১৪ সালে মাধ্যমিকে সর্ব্বোচ্চ ৯২.৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জানাই অভিনন্দন। যারা পরীক্ষায় কোন কারণে কৃতকার্য হতে পারেনি তারা হাল ছাড়বে না, লড়াইটা চালিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা করি। উত্তীর্ণ হলেও অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল অর্জন করতে পারেনি। এসব শিক্ষার্থীর এখন পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আরও ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও অল্প সময়ই পরীক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত থাকতে পেরেছে। এই সময় তাদের নানা শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষভাবে শ্রেণী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেনি দীর্ঘ একটা সময়জুড়ে। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চললেও অনেক শিক্ষার্থীই তাতে নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি। গতবার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি। অটোপাস দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। এবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন সংশয় ছিল। পরীক্ষা সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হলেও এবার শুরু হয় ১৪ নভেম্বর।

পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। আবশ্যিক বিষয়গুলো বাদ দিয়ে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও নেয়া হয়নি। তিন ঘণ্টার পরিবর্তে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে দেড় ঘণ্টায়। নম্বরও কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়নি সেসব বিষয়ে নম্বর দেয়া হয়েছে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘ম্যাপিং’ করে। এতে করে অটোপাসের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলেছে বলে অনেকে মনে করছেন।

গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। এবার জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ৪৪২ জন। আমরা আশা করতে চাই, লেখাপড়ায় সংখ্যাগত উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গুণগত উন্নতিও হচ্ছে।

এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের এ অর্জন আমাদের আশাবাদী করে। যথাযথ সুযোগ পেলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ পেলে মেয়েরাও যে সব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে সেটা আবারও প্রমাণিত হলো।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার বেশি ছিল। মহামারীর কারণে ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। বাল্যবিয়েও বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে এ সংকট জোরালোভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

back to top