alt

সম্পাদকীয়

প্রিপেইড গ্যাসের মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করুন

: বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

পেট্রোবাংলার অধীনে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৯। এ পর্যন্ত প্রিপ্রেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪৩২টি। সে হিসাবে ৯১ শতাংশের বেশি গ্রাহক এখনো প্রি-পেইড মিটার পাননি। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আবাসিক খাতে গ্যাসের অপচয় রোধ করতে ২০১১ সালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। সরকারের পরিকল্পনা ছিল, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব গ্যাস গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা। কিন্তু নানা কারণে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। এখন শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যে অবশিষ্ট গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত এক দশকে যেখানে মাত্র ৯ শতাংশ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার দেয়া হয়েছে, সেখানে অবশিষ্ট গ্রাহকদের আগামী তিন বছরের মধ্যে তা দেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিতরণ কোম্পানি বিনিয়োগ না করায় বেসরকারি খাতে মিটার বিক্রির জন্য ২০১৯ সালে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনেকে মিটার আমদানির অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে পেট্রোবাংলার কাছে।

আবাসিক খাতে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহারকারীরা গড়ে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেন, তার বাণিজ্যিক মূল্য প্রদেয় বিলের চেয়ে কম। মাসিক বিল নিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো লাভবান হচ্ছে, ঠকছেন গ্রাহক। সংশ্লিষ্টরা হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে, প্রিপেইড মিটার না থাকায় ৩৬ লাখ গ্রাহককে বছরে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বাড়তি বিল দিতে হচ্ছে। প্রিপেইড মিটার না থাকার সুযোগে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে এ ‘বাড়তি অর্থ’ আদায় করছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ‘বাড়তি অর্থ’ কি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দিলে অনেকের অবৈধ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই প্রিপেইড মিটার প্রকল্প ধীরগতিতেই চলছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপন করলে ৪০ শতাংশ গ্যাস সাশ্রয় হবে। গ্রাহকরাও মিতব্যয়ী হবেন। ফলে অপ্রয়োজনে বেশি গ্যাস অপচয় যেমন বন্ধ হতো, তেমনি অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস চুরি রোধ করা যেত। বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাবে। এর আগেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আমরা বলতে চাই, পরিকল্পনা অনুযায়ী সব গ্রাহককে যথাসময়ে প্রিপেইড মিটার দেয়া হোক। পূর্বের প্রকল্পগুলো কেন বারবার ব্যর্থ হলো সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে কারও গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

প্রিপেইড গ্যাসের মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করুন

বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

পেট্রোবাংলার অধীনে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৯। এ পর্যন্ত প্রিপ্রেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪৩২টি। সে হিসাবে ৯১ শতাংশের বেশি গ্রাহক এখনো প্রি-পেইড মিটার পাননি। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আবাসিক খাতে গ্যাসের অপচয় রোধ করতে ২০১১ সালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। সরকারের পরিকল্পনা ছিল, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব গ্যাস গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা। কিন্তু নানা কারণে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। এখন শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যে অবশিষ্ট গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত এক দশকে যেখানে মাত্র ৯ শতাংশ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার দেয়া হয়েছে, সেখানে অবশিষ্ট গ্রাহকদের আগামী তিন বছরের মধ্যে তা দেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিতরণ কোম্পানি বিনিয়োগ না করায় বেসরকারি খাতে মিটার বিক্রির জন্য ২০১৯ সালে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনেকে মিটার আমদানির অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে পেট্রোবাংলার কাছে।

আবাসিক খাতে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহারকারীরা গড়ে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেন, তার বাণিজ্যিক মূল্য প্রদেয় বিলের চেয়ে কম। মাসিক বিল নিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো লাভবান হচ্ছে, ঠকছেন গ্রাহক। সংশ্লিষ্টরা হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে, প্রিপেইড মিটার না থাকায় ৩৬ লাখ গ্রাহককে বছরে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বাড়তি বিল দিতে হচ্ছে। প্রিপেইড মিটার না থাকার সুযোগে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে এ ‘বাড়তি অর্থ’ আদায় করছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ‘বাড়তি অর্থ’ কি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দিলে অনেকের অবৈধ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই প্রিপেইড মিটার প্রকল্প ধীরগতিতেই চলছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপন করলে ৪০ শতাংশ গ্যাস সাশ্রয় হবে। গ্রাহকরাও মিতব্যয়ী হবেন। ফলে অপ্রয়োজনে বেশি গ্যাস অপচয় যেমন বন্ধ হতো, তেমনি অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস চুরি রোধ করা যেত। বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাবে। এর আগেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আমরা বলতে চাই, পরিকল্পনা অনুযায়ী সব গ্রাহককে যথাসময়ে প্রিপেইড মিটার দেয়া হোক। পূর্বের প্রকল্পগুলো কেন বারবার ব্যর্থ হলো সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে কারও গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

back to top