পেট্রোবাংলার অধীনে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৯। এ পর্যন্ত প্রিপ্রেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪৩২টি। সে হিসাবে ৯১ শতাংশের বেশি গ্রাহক এখনো প্রি-পেইড মিটার পাননি। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আবাসিক খাতে গ্যাসের অপচয় রোধ করতে ২০১১ সালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। সরকারের পরিকল্পনা ছিল, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব গ্যাস গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা। কিন্তু নানা কারণে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। এখন শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যে অবশিষ্ট গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত এক দশকে যেখানে মাত্র ৯ শতাংশ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার দেয়া হয়েছে, সেখানে অবশিষ্ট গ্রাহকদের আগামী তিন বছরের মধ্যে তা দেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিতরণ কোম্পানি বিনিয়োগ না করায় বেসরকারি খাতে মিটার বিক্রির জন্য ২০১৯ সালে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনেকে মিটার আমদানির অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে পেট্রোবাংলার কাছে।
আবাসিক খাতে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহারকারীরা গড়ে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেন, তার বাণিজ্যিক মূল্য প্রদেয় বিলের চেয়ে কম। মাসিক বিল নিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো লাভবান হচ্ছে, ঠকছেন গ্রাহক। সংশ্লিষ্টরা হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে, প্রিপেইড মিটার না থাকায় ৩৬ লাখ গ্রাহককে বছরে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বাড়তি বিল দিতে হচ্ছে। প্রিপেইড মিটার না থাকার সুযোগে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে এ ‘বাড়তি অর্থ’ আদায় করছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ‘বাড়তি অর্থ’ কি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দিলে অনেকের অবৈধ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই প্রিপেইড মিটার প্রকল্প ধীরগতিতেই চলছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপন করলে ৪০ শতাংশ গ্যাস সাশ্রয় হবে। গ্রাহকরাও মিতব্যয়ী হবেন। ফলে অপ্রয়োজনে বেশি গ্যাস অপচয় যেমন বন্ধ হতো, তেমনি অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস চুরি রোধ করা যেত। বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাবে। এর আগেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, পরিকল্পনা অনুযায়ী সব গ্রাহককে যথাসময়ে প্রিপেইড মিটার দেয়া হোক। পূর্বের প্রকল্পগুলো কেন বারবার ব্যর্থ হলো সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে কারও গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
পেট্রোবাংলার অধীনে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৯। এ পর্যন্ত প্রিপ্রেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪৩২টি। সে হিসাবে ৯১ শতাংশের বেশি গ্রাহক এখনো প্রি-পেইড মিটার পাননি। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আবাসিক খাতে গ্যাসের অপচয় রোধ করতে ২০১১ সালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। সরকারের পরিকল্পনা ছিল, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব গ্যাস গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা। কিন্তু নানা কারণে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। এখন শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যে অবশিষ্ট গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত এক দশকে যেখানে মাত্র ৯ শতাংশ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার দেয়া হয়েছে, সেখানে অবশিষ্ট গ্রাহকদের আগামী তিন বছরের মধ্যে তা দেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিতরণ কোম্পানি বিনিয়োগ না করায় বেসরকারি খাতে মিটার বিক্রির জন্য ২০১৯ সালে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনেকে মিটার আমদানির অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে পেট্রোবাংলার কাছে।
আবাসিক খাতে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহারকারীরা গড়ে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেন, তার বাণিজ্যিক মূল্য প্রদেয় বিলের চেয়ে কম। মাসিক বিল নিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো লাভবান হচ্ছে, ঠকছেন গ্রাহক। সংশ্লিষ্টরা হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে, প্রিপেইড মিটার না থাকায় ৩৬ লাখ গ্রাহককে বছরে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বাড়তি বিল দিতে হচ্ছে। প্রিপেইড মিটার না থাকার সুযোগে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে এ ‘বাড়তি অর্থ’ আদায় করছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ‘বাড়তি অর্থ’ কি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দিলে অনেকের অবৈধ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই প্রিপেইড মিটার প্রকল্প ধীরগতিতেই চলছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপন করলে ৪০ শতাংশ গ্যাস সাশ্রয় হবে। গ্রাহকরাও মিতব্যয়ী হবেন। ফলে অপ্রয়োজনে বেশি গ্যাস অপচয় যেমন বন্ধ হতো, তেমনি অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস চুরি রোধ করা যেত। বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাবে। এর আগেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, পরিকল্পনা অনুযায়ী সব গ্রাহককে যথাসময়ে প্রিপেইড মিটার দেয়া হোক। পূর্বের প্রকল্পগুলো কেন বারবার ব্যর্থ হলো সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে কারও গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।