alt

সম্পাদকীয়

পাহাড়ে ‘ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষ’ থামছে না কেন

: শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষে আবারও প্রাণ ঝরল পাহাড়ে। গত বুধবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের দুই কিলোমিটার এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজন হলো ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের পরিচালক জানং চাকমা ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) টুজিম চাকমা।

এভাবে পার্বত্যাঞ্চলে প্রায়ই রক্ত ঝরে। সেখানে মূলত ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত-সংঘর্ষে গত ৪ বছরে শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই আঞ্চলিক দলের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। পার্বত্যাঞ্চলে মূলত চারটি পরস্পরবিরোধী সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এর বাইরে সেখানে বসবাসরত বাঙালিদেরও একটি সংগঠন আছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তিকে কেন্দ্র করে এসব সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিবাদের শুরু হলেও বর্তমানে আধিপত্য বিস্তারই তাদের মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।

পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা শক্ত হাতে রক্ষা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। তারপরেও এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটে? অভিযোগ আছে একটি গোষ্ঠী এ সংঘাত-সংঘর্ষ জিইয়ে রাখছে। তারাই নানাভাবে বিভিন্ন গ্রুপকে ইন্ধন দিচ্ছে, পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। যে কারেণে পাহাড়িদের বিরোধের আর মীমাংসা হচ্ছে না, সংঘর্ষ থামছে না। এসব পরস্পরবিরোধী সংগঠনের অর্থ এবং অস্ত্র কোথা থেকে আসে-সেটাও একটা প্রশ্ন।

পাহাড়ে দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলা সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ও সেখানকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি করা হয়েছে। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

সরকারের অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের বিভিন্ন সংগঠনের বিরোধের কারণেই সেখানে সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অন্যদিকে জনসংহতি সমিতি বলছে, তাদের নেতৃত্বে পাহাড়িরা ঐক্যবদ্ধ আছে। সরকার সেই ঐক্য ভাঙার জন্য বিভিন্ন নামে সংগঠনকে লেলিয়ে দেয়ার কারণেই সেখানে শান্তি আসছে না।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির দুই যুগ পরও পাহাড়ে শান্তি ফেরেনি। সরকারকেই এর কারণ খতিয়ে দেখতে হবে। একে অপরের ওপর দোষারোপ করলে সমস্যার সমাধান হবে না। চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়িদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সেখানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।

এ বিষয়ে সরকার বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। পার্বত্যাঞ্চলের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না। আমরা পাহাড়ে টেকসই শান্তি দেখতে চাই।

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে এসব সংঘাতের অবসান ঘটাতে হবে। রাঙামাটিতে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে। পাহাড়িদেরও বুঝতে হবে নিজেদের মধ্যে সংঘাতের পরিণতি তাদের জন্য শুভ হবে না।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড়ে ‘ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষ’ থামছে না কেন

শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষে আবারও প্রাণ ঝরল পাহাড়ে। গত বুধবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের দুই কিলোমিটার এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজন হলো ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের পরিচালক জানং চাকমা ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) টুজিম চাকমা।

এভাবে পার্বত্যাঞ্চলে প্রায়ই রক্ত ঝরে। সেখানে মূলত ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত-সংঘর্ষে গত ৪ বছরে শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই আঞ্চলিক দলের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। পার্বত্যাঞ্চলে মূলত চারটি পরস্পরবিরোধী সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এর বাইরে সেখানে বসবাসরত বাঙালিদেরও একটি সংগঠন আছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তিকে কেন্দ্র করে এসব সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিবাদের শুরু হলেও বর্তমানে আধিপত্য বিস্তারই তাদের মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।

পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা শক্ত হাতে রক্ষা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। তারপরেও এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটে? অভিযোগ আছে একটি গোষ্ঠী এ সংঘাত-সংঘর্ষ জিইয়ে রাখছে। তারাই নানাভাবে বিভিন্ন গ্রুপকে ইন্ধন দিচ্ছে, পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। যে কারেণে পাহাড়িদের বিরোধের আর মীমাংসা হচ্ছে না, সংঘর্ষ থামছে না। এসব পরস্পরবিরোধী সংগঠনের অর্থ এবং অস্ত্র কোথা থেকে আসে-সেটাও একটা প্রশ্ন।

পাহাড়ে দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলা সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ও সেখানকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি করা হয়েছে। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

সরকারের অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের বিভিন্ন সংগঠনের বিরোধের কারণেই সেখানে সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অন্যদিকে জনসংহতি সমিতি বলছে, তাদের নেতৃত্বে পাহাড়িরা ঐক্যবদ্ধ আছে। সরকার সেই ঐক্য ভাঙার জন্য বিভিন্ন নামে সংগঠনকে লেলিয়ে দেয়ার কারণেই সেখানে শান্তি আসছে না।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির দুই যুগ পরও পাহাড়ে শান্তি ফেরেনি। সরকারকেই এর কারণ খতিয়ে দেখতে হবে। একে অপরের ওপর দোষারোপ করলে সমস্যার সমাধান হবে না। চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়িদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সেখানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।

এ বিষয়ে সরকার বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। পার্বত্যাঞ্চলের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না। আমরা পাহাড়ে টেকসই শান্তি দেখতে চাই।

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে এসব সংঘাতের অবসান ঘটাতে হবে। রাঙামাটিতে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে। পাহাড়িদেরও বুঝতে হবে নিজেদের মধ্যে সংঘাতের পরিণতি তাদের জন্য শুভ হবে না।

back to top