ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকও এ আইনের ‘কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে’ বলে মেনে নিয়েছেন। সাংবাদিকেদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার কথাও তিনি বলেছেন।
সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী নানা প্লাটফর্মে এ অভিযোগ করে আসছিলেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। আইন করার সময় এই বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, এর অপপ্রয়োগ করা হবে না। বাস্তবে এর উল্টোটা ঘটতে দেখা যায়। আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই সাংবাদিক ও লেখক। অনেককে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখিও করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জামিনও মেলে না সহজে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, এ আইনে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২২৫টি ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬৬ জনকে, যার মধ্যে সাংবাদিক রয়েছেন ১৫ জন।
কেউ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করলে তার বিচার করা হবে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু কোন আইনের কারণে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়া কাম্য নয় যার ফলে মতপ্রকাশের পথে বাধা তৈরি হয়, গণমাধ্যমের বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, মতপ্রকাশের পথকে মসৃণ করা।
কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশে মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে এক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মানুষের মত প্রকাশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি কোন মতকে সমর্থন জানানো অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোন পোস্টে লাইক দিতে ও শেয়ার করতেও মানুষ এখন ভয় পায়। এমন ভীতিকর পরিবেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশে কল্পনা করা যায় না। আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘আইনটির অপব্যবহারের কারণে একটা ধারণা জন্মেছে যে বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোধ করতে এ আইন করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই আইন এর কোনটাকেই বন্ধ বা বাদ দেয়ার জন্য করা হয়নি।’
আশার কথা হচ্ছে, আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এরপর এই আইনের অপপ্রয়োগ টেকসইভাবে বন্ধ হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আইনটির বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল বা সংশোধন করা হয়।
শনিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২২
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকও এ আইনের ‘কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে’ বলে মেনে নিয়েছেন। সাংবাদিকেদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার কথাও তিনি বলেছেন।
সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী নানা প্লাটফর্মে এ অভিযোগ করে আসছিলেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। আইন করার সময় এই বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, এর অপপ্রয়োগ করা হবে না। বাস্তবে এর উল্টোটা ঘটতে দেখা যায়। আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই সাংবাদিক ও লেখক। অনেককে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখিও করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জামিনও মেলে না সহজে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, এ আইনে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২২৫টি ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬৬ জনকে, যার মধ্যে সাংবাদিক রয়েছেন ১৫ জন।
কেউ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করলে তার বিচার করা হবে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু কোন আইনের কারণে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়া কাম্য নয় যার ফলে মতপ্রকাশের পথে বাধা তৈরি হয়, গণমাধ্যমের বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, মতপ্রকাশের পথকে মসৃণ করা।
কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশে মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে এক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মানুষের মত প্রকাশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি কোন মতকে সমর্থন জানানো অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোন পোস্টে লাইক দিতে ও শেয়ার করতেও মানুষ এখন ভয় পায়। এমন ভীতিকর পরিবেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশে কল্পনা করা যায় না। আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘আইনটির অপব্যবহারের কারণে একটা ধারণা জন্মেছে যে বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোধ করতে এ আইন করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই আইন এর কোনটাকেই বন্ধ বা বাদ দেয়ার জন্য করা হয়নি।’
আশার কথা হচ্ছে, আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এরপর এই আইনের অপপ্রয়োগ টেকসইভাবে বন্ধ হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আইনটির বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল বা সংশোধন করা হয়।