বাংলাদেশের ২০ জেলে এক সপ্তাহ ধরে ভারতের ওড়িশার পারাদীপ সামুদ্রিক থানা পুলিশের হেফাজতে আটক আছে। চরফ্যাসশের এসব জেলে জলদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। ভারতীয় জেলেদের সহযোগিতায় তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও আইনি জটিলতার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্বজনরা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশে আটকা পড়ে বাংলাদেশি জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা। এসব জেলেদের স্বজনরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। তাদের উদ্বেগের অবসান ঘটানো জরুরি। আটক জেলেদের অনেকের পরিবারেরই প্রধান বা একমাত্র উপার্জনকারী। তাদের অনুপস্থিতিতে এসব পরিবার অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। তাদের একমাত্র সান্ত¡না হচ্ছে, জলদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারালেও প্রিয়জন প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
জলদস্যুদের কারণে জেলেদের উপকূলে মাছ শিকার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জেলেদের অপহরণ ও হত্যার ঘটনাও ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে। প্রায়ই অভিযান চালিয়ে জলদস্যু গ্রেপ্তারের করা হয় বলে জানা যায়। অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। কিন্তু উপকূলে জলদস্যুদের অপতৎপরতা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।
অতীতে বিভিন্ন সময় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। অনেকে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে জলদস্যুদের অনেক চক্রই সক্রিয় আছে। তাদের কাছে শুধু জেলেরাই নয়, মাছ ব্যবসার সঙ্গে য্ক্তু বিভিন্ন স্তরের মানুষও জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের এ জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করা জরুরি।
জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। জলদুস্যদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে। বন্দুকযুদ্ধ এর সমাধান নয়। পাশাপাশি যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে তাদের পুনর্বাসনের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
রোববার, ০২ জানুয়ারী ২০২২
বাংলাদেশের ২০ জেলে এক সপ্তাহ ধরে ভারতের ওড়িশার পারাদীপ সামুদ্রিক থানা পুলিশের হেফাজতে আটক আছে। চরফ্যাসশের এসব জেলে জলদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। ভারতীয় জেলেদের সহযোগিতায় তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও আইনি জটিলতার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্বজনরা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশে আটকা পড়ে বাংলাদেশি জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা। এসব জেলেদের স্বজনরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। তাদের উদ্বেগের অবসান ঘটানো জরুরি। আটক জেলেদের অনেকের পরিবারেরই প্রধান বা একমাত্র উপার্জনকারী। তাদের অনুপস্থিতিতে এসব পরিবার অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। তাদের একমাত্র সান্ত¡না হচ্ছে, জলদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারালেও প্রিয়জন প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
জলদস্যুদের কারণে জেলেদের উপকূলে মাছ শিকার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জেলেদের অপহরণ ও হত্যার ঘটনাও ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে। প্রায়ই অভিযান চালিয়ে জলদস্যু গ্রেপ্তারের করা হয় বলে জানা যায়। অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। কিন্তু উপকূলে জলদস্যুদের অপতৎপরতা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।
অতীতে বিভিন্ন সময় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। অনেকে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে জলদস্যুদের অনেক চক্রই সক্রিয় আছে। তাদের কাছে শুধু জেলেরাই নয়, মাছ ব্যবসার সঙ্গে য্ক্তু বিভিন্ন স্তরের মানুষও জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের এ জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করা জরুরি।
জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। জলদুস্যদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে। বন্দুকযুদ্ধ এর সমাধান নয়। পাশাপাশি যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে তাদের পুনর্বাসনের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।