alt

সম্পাদকীয়

জলদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলেদের রক্ষা করুন

: রোববার, ০২ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশের ২০ জেলে এক সপ্তাহ ধরে ভারতের ওড়িশার পারাদীপ সামুদ্রিক থানা পুলিশের হেফাজতে আটক আছে। চরফ্যাসশের এসব জেলে জলদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। ভারতীয় জেলেদের সহযোগিতায় তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও আইনি জটিলতার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্বজনরা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশে আটকা পড়ে বাংলাদেশি জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা। এসব জেলেদের স্বজনরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। তাদের উদ্বেগের অবসান ঘটানো জরুরি। আটক জেলেদের অনেকের পরিবারেরই প্রধান বা একমাত্র উপার্জনকারী। তাদের অনুপস্থিতিতে এসব পরিবার অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। তাদের একমাত্র সান্ত¡না হচ্ছে, জলদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারালেও প্রিয়জন প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।

জলদস্যুদের কারণে জেলেদের উপকূলে মাছ শিকার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জেলেদের অপহরণ ও হত্যার ঘটনাও ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে। প্রায়ই অভিযান চালিয়ে জলদস্যু গ্রেপ্তারের করা হয় বলে জানা যায়। অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। কিন্তু উপকূলে জলদস্যুদের অপতৎপরতা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।

অতীতে বিভিন্ন সময় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। অনেকে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে জলদস্যুদের অনেক চক্রই সক্রিয় আছে। তাদের কাছে শুধু জেলেরাই নয়, মাছ ব্যবসার সঙ্গে য্ক্তু বিভিন্ন স্তরের মানুষও জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের এ জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করা জরুরি।

জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। জলদুস্যদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে। বন্দুকযুদ্ধ এর সমাধান নয়। পাশাপাশি যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে তাদের পুনর্বাসনের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

জলদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলেদের রক্ষা করুন

রোববার, ০২ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশের ২০ জেলে এক সপ্তাহ ধরে ভারতের ওড়িশার পারাদীপ সামুদ্রিক থানা পুলিশের হেফাজতে আটক আছে। চরফ্যাসশের এসব জেলে জলদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। ভারতীয় জেলেদের সহযোগিতায় তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও আইনি জটিলতার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্বজনরা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশে আটকা পড়ে বাংলাদেশি জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা। এসব জেলেদের স্বজনরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। তাদের উদ্বেগের অবসান ঘটানো জরুরি। আটক জেলেদের অনেকের পরিবারেরই প্রধান বা একমাত্র উপার্জনকারী। তাদের অনুপস্থিতিতে এসব পরিবার অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। তাদের একমাত্র সান্ত¡না হচ্ছে, জলদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারালেও প্রিয়জন প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।

জলদস্যুদের কারণে জেলেদের উপকূলে মাছ শিকার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জেলেদের অপহরণ ও হত্যার ঘটনাও ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে। প্রায়ই অভিযান চালিয়ে জলদস্যু গ্রেপ্তারের করা হয় বলে জানা যায়। অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। কিন্তু উপকূলে জলদস্যুদের অপতৎপরতা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।

অতীতে বিভিন্ন সময় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। অনেকে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে জলদস্যুদের অনেক চক্রই সক্রিয় আছে। তাদের কাছে শুধু জেলেরাই নয়, মাছ ব্যবসার সঙ্গে য্ক্তু বিভিন্ন স্তরের মানুষও জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের এ জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করা জরুরি।

জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। জলদুস্যদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে। বন্দুকযুদ্ধ এর সমাধান নয়। পাশাপাশি যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে তাদের পুনর্বাসনের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

back to top