থামছে না নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ। শক্ত আইন করেও এই ব্যধির কোন প্রতিকার মিলছে না, বরং বাড়ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশে ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সংগঠনটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি জানিয়েছে, গত বছর ১ হাজার ২৫৩ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তারা বলছে, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন নিত্যনৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমন কোন দিন থাকে না যেদিন গণমাধ্যমে এ নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশিত হয় না। নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে তার অধিকাংশই লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। খুব কম খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
আইনের কাঠিন্য আর এর বাস্তব প্রয়োগে দুর্বলতা নির্যাতক ও ধর্ষকদের আরও উগ্র হতে উসকানি দিচ্ছে কি না-সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ আইন কঠিন হওয়ার পরও নির্যানতন-ধর্ষণের রূপ কদর্যত থেকে কদর্যতর হয়েছে। এজন্য আইন কঠোর হওয়ার চেয়ে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন বেশি জরুরি।
আপন পরিবেশে স্বজনদের মাধ্যমেই নারী ও শিশুরা বেশি নির্যাতিত হয় বলে জানা যাচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হয় না এমন শিশুও ধর্ষিত হয়। এর কারণ কী সেটা সমাজবিদ ও মনস্তাত্ত্বিকরা খুঁজে দেখতে পারেন। নীতিনির্ধারকদেরও বিষয়টি ভাবতে হবে। ধর্ষণ-নির্যাতন থেকে নারী-শিশুদের সত্যিকার অর্থে মুক্তি দেয়ার জন্য এটা জরুরি।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের অশেষ হয়রানি পোহাতে হয়। আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হলেও সময়সীমা মানা হয় না। অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনেই আটকে থাকে অনেক মামলা। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
শুধু আইন দিয়ে নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। আর কাজটি পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে নির্যাতন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২
থামছে না নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ। শক্ত আইন করেও এই ব্যধির কোন প্রতিকার মিলছে না, বরং বাড়ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশে ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সংগঠনটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি জানিয়েছে, গত বছর ১ হাজার ২৫৩ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তারা বলছে, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন নিত্যনৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমন কোন দিন থাকে না যেদিন গণমাধ্যমে এ নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশিত হয় না। নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে তার অধিকাংশই লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। খুব কম খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
আইনের কাঠিন্য আর এর বাস্তব প্রয়োগে দুর্বলতা নির্যাতক ও ধর্ষকদের আরও উগ্র হতে উসকানি দিচ্ছে কি না-সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ আইন কঠিন হওয়ার পরও নির্যানতন-ধর্ষণের রূপ কদর্যত থেকে কদর্যতর হয়েছে। এজন্য আইন কঠোর হওয়ার চেয়ে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন বেশি জরুরি।
আপন পরিবেশে স্বজনদের মাধ্যমেই নারী ও শিশুরা বেশি নির্যাতিত হয় বলে জানা যাচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হয় না এমন শিশুও ধর্ষিত হয়। এর কারণ কী সেটা সমাজবিদ ও মনস্তাত্ত্বিকরা খুঁজে দেখতে পারেন। নীতিনির্ধারকদেরও বিষয়টি ভাবতে হবে। ধর্ষণ-নির্যাতন থেকে নারী-শিশুদের সত্যিকার অর্থে মুক্তি দেয়ার জন্য এটা জরুরি।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের অশেষ হয়রানি পোহাতে হয়। আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হলেও সময়সীমা মানা হয় না। অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনেই আটকে থাকে অনেক মামলা। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
শুধু আইন দিয়ে নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। আর কাজটি পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে নির্যাতন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।