alt

সম্পাদকীয়

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে

: বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২

থামছে না নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ। শক্ত আইন করেও এই ব্যধির কোন প্রতিকার মিলছে না, বরং বাড়ছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশে ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সংগঠনটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি জানিয়েছে, গত বছর ১ হাজার ২৫৩ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তারা বলছে, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন নিত্যনৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমন কোন দিন থাকে না যেদিন গণমাধ্যমে এ নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশিত হয় না। নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে তার অধিকাংশই লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। খুব কম খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

আইনের কাঠিন্য আর এর বাস্তব প্রয়োগে দুর্বলতা নির্যাতক ও ধর্ষকদের আরও উগ্র হতে উসকানি দিচ্ছে কি না-সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ আইন কঠিন হওয়ার পরও নির্যানতন-ধর্ষণের রূপ কদর্যত থেকে কদর্যতর হয়েছে। এজন্য আইন কঠোর হওয়ার চেয়ে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন বেশি জরুরি।

আপন পরিবেশে স্বজনদের মাধ্যমেই নারী ও শিশুরা বেশি নির্যাতিত হয় বলে জানা যাচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হয় না এমন শিশুও ধর্ষিত হয়। এর কারণ কী সেটা সমাজবিদ ও মনস্তাত্ত্বিকরা খুঁজে দেখতে পারেন। নীতিনির্ধারকদেরও বিষয়টি ভাবতে হবে। ধর্ষণ-নির্যাতন থেকে নারী-শিশুদের সত্যিকার অর্থে মুক্তি দেয়ার জন্য এটা জরুরি।

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের অশেষ হয়রানি পোহাতে হয়। আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হলেও সময়সীমা মানা হয় না। অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনেই আটকে থাকে অনেক মামলা। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।

শুধু আইন দিয়ে নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। আর কাজটি পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে নির্যাতন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে

বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২

থামছে না নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ। শক্ত আইন করেও এই ব্যধির কোন প্রতিকার মিলছে না, বরং বাড়ছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশে ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সংগঠনটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি জানিয়েছে, গত বছর ১ হাজার ২৫৩ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তারা বলছে, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন নিত্যনৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমন কোন দিন থাকে না যেদিন গণমাধ্যমে এ নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশিত হয় না। নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে তার অধিকাংশই লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। খুব কম খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

আইনের কাঠিন্য আর এর বাস্তব প্রয়োগে দুর্বলতা নির্যাতক ও ধর্ষকদের আরও উগ্র হতে উসকানি দিচ্ছে কি না-সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ আইন কঠিন হওয়ার পরও নির্যানতন-ধর্ষণের রূপ কদর্যত থেকে কদর্যতর হয়েছে। এজন্য আইন কঠোর হওয়ার চেয়ে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন বেশি জরুরি।

আপন পরিবেশে স্বজনদের মাধ্যমেই নারী ও শিশুরা বেশি নির্যাতিত হয় বলে জানা যাচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হয় না এমন শিশুও ধর্ষিত হয়। এর কারণ কী সেটা সমাজবিদ ও মনস্তাত্ত্বিকরা খুঁজে দেখতে পারেন। নীতিনির্ধারকদেরও বিষয়টি ভাবতে হবে। ধর্ষণ-নির্যাতন থেকে নারী-শিশুদের সত্যিকার অর্থে মুক্তি দেয়ার জন্য এটা জরুরি।

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের অশেষ হয়রানি পোহাতে হয়। আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হলেও সময়সীমা মানা হয় না। অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনেই আটকে থাকে অনেক মামলা। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।

শুধু আইন দিয়ে নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। আর কাজটি পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে নির্যাতন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।

back to top