alt

সম্পাদকীয়

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে কবে

: রোববার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২

সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২০ সালে মারা গেছে পাঁচ হাজার ৪৩১ জন, ২০২১ সালে মারা গেছে ছয় হাজার ২৮৪ জন। দেশে কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ বাড়ার কারণে গত বছর গণপরিবহন বন্ধ ছিল ৮৫ দিন। এরপরও ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে, প্রাণহানির ঘটনাও বেড়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর দুর্ঘটনার কারণে যে পরিমাণ মানবসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার আর্থিক মূল্য ৯ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা, যা জিডিপির দশমিক ৩ শতাংশ।

দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দুর্ঘটনার আরও কিছু কারণ হচ্ছে- বেপরোয়া গতি, ড্রাইভার-হেল্পারদের বেপরোয়া মানসিকতা, তাদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, আনফিট যান, ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি।

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য দেশে আইন রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার পর গঠিত কমিটিগুলো নানান সুপারিশ করেছে। এর আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়েছে অনেক সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে আদালতকেও। কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি, নিশ্চিত করা যায়নি নিরাপত্তা। সড়কে প্রতিনিয়ত ঝরছে প্রাণ।

সড়ক আইন আছে কিন্তু বিধিমালা নেই। এ-সংক্রান্ত সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত মাঠে বাস্তবায়ন করা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা বা আদালতের নির্দেশনাও মানা হয় না। নিরাপদ সড়কের দাবি জোরালো হলে, আন্দোলন হলে পুরোনো নির্দেশনা বা সিদ্ধান্তই নতুন রূপে হাজির হয়। তবে বাস্তবায়নের অভাবে সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর করা সম্ভব হয় না।

সরকার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মালিক-শ্রমিকরা কোন আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না, আইন মানতে চায় না। তাদের অনেকেই রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের চাপের কাছে সরকারকে নতিস্বীকার করতে হয়। যতদিন না এই অবস্থার অবসান হবে, ততদিন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

আজ সেই কালরাত্রি : গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে

সাতক্ষীরা হাসপাতালের ডায়ালাসিস মেশিন সংকট দূর করুন

পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি

আর কত অপেক্ষার পর বিধবা ছালেহার ভাগ্যে ঘর মিলবে

tab

সম্পাদকীয়

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে কবে

রোববার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২

সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২০ সালে মারা গেছে পাঁচ হাজার ৪৩১ জন, ২০২১ সালে মারা গেছে ছয় হাজার ২৮৪ জন। দেশে কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ বাড়ার কারণে গত বছর গণপরিবহন বন্ধ ছিল ৮৫ দিন। এরপরও ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে, প্রাণহানির ঘটনাও বেড়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর দুর্ঘটনার কারণে যে পরিমাণ মানবসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার আর্থিক মূল্য ৯ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা, যা জিডিপির দশমিক ৩ শতাংশ।

দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দুর্ঘটনার আরও কিছু কারণ হচ্ছে- বেপরোয়া গতি, ড্রাইভার-হেল্পারদের বেপরোয়া মানসিকতা, তাদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, আনফিট যান, ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি।

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য দেশে আইন রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার পর গঠিত কমিটিগুলো নানান সুপারিশ করেছে। এর আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়েছে অনেক সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে আদালতকেও। কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি, নিশ্চিত করা যায়নি নিরাপত্তা। সড়কে প্রতিনিয়ত ঝরছে প্রাণ।

সড়ক আইন আছে কিন্তু বিধিমালা নেই। এ-সংক্রান্ত সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত মাঠে বাস্তবায়ন করা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা বা আদালতের নির্দেশনাও মানা হয় না। নিরাপদ সড়কের দাবি জোরালো হলে, আন্দোলন হলে পুরোনো নির্দেশনা বা সিদ্ধান্তই নতুন রূপে হাজির হয়। তবে বাস্তবায়নের অভাবে সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর করা সম্ভব হয় না।

সরকার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মালিক-শ্রমিকরা কোন আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না, আইন মানতে চায় না। তাদের অনেকেই রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের চাপের কাছে সরকারকে নতিস্বীকার করতে হয়। যতদিন না এই অবস্থার অবসান হবে, ততদিন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।

back to top