দেশে বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই দেওয়ার একটা সংস্কৃতি চালু রয়েছে। বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসে ভাসছে- এমন আনন্দময় চিত্র দেখা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এবারও বছরের শুরুতে বই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার প্রথম দিনেই সব বই পেয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে অংশগ্রহণ করতে পারেনি দেশের সব শিক্ষার্থী। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর পর ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো দেশের অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই হাতে পায়নি। নতুন বই পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে সদ্যভর্তি হওয়া প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ বই এখনো ছাপা হয়নি। এর বাইরে গত বুধবার পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি বইয়ের ছাড়পত্র হয়নি। মাধ্যমিক স্তরের মোট ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার বই ছাপা হওয়ার কথা রয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে সোয়া চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য ৩৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বই ছাপার অনুমোদনসংক্রান্ত কাজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় এক মাস দেরি করেছিল। ফলে ছাপার কাজ শুরু করতেই দেরি হয়। দিতে হয়েছিল বই ছাপার কাজে পুনঃদরপত্রও।
এবার শিক্ষার্থীদের কাছে সময়মতো বই নাও পৌঁছতে পারে- এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল আগে থেকেই। সংশ্লিষ্টদের বলাও হয়েছিল। তারা আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ৯৫ শতাংশ বই ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই ছাপানো হবে। আর বাকি বই ৭ জানুয়ারির মধ্যেই ছাপা হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তাদের কথা ও কাজে মিল পাওয়া যায়নি। এখন বলা হচ্ছে- বই ছাপা ও বিতরণের কাজ শেষ করতে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।
বই ছাপা ও বিতরণের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করবো, এ সময়ের মধ্যে যেন লক্ষ্য পূরণ হয়। আর শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই না পৌঁছানোর কারণ সংশ্লিষ্টদেরই চিহ্নিত করতে হবে। এবারের কাজ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আগামীতে যেন এর পুনারাবৃত্তি না হয়।
সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২
দেশে বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই দেওয়ার একটা সংস্কৃতি চালু রয়েছে। বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসে ভাসছে- এমন আনন্দময় চিত্র দেখা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এবারও বছরের শুরুতে বই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার প্রথম দিনেই সব বই পেয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে অংশগ্রহণ করতে পারেনি দেশের সব শিক্ষার্থী। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর পর ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো দেশের অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই হাতে পায়নি। নতুন বই পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে সদ্যভর্তি হওয়া প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ বই এখনো ছাপা হয়নি। এর বাইরে গত বুধবার পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি বইয়ের ছাড়পত্র হয়নি। মাধ্যমিক স্তরের মোট ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার বই ছাপা হওয়ার কথা রয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে সোয়া চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য ৩৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বই ছাপার অনুমোদনসংক্রান্ত কাজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় এক মাস দেরি করেছিল। ফলে ছাপার কাজ শুরু করতেই দেরি হয়। দিতে হয়েছিল বই ছাপার কাজে পুনঃদরপত্রও।
এবার শিক্ষার্থীদের কাছে সময়মতো বই নাও পৌঁছতে পারে- এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল আগে থেকেই। সংশ্লিষ্টদের বলাও হয়েছিল। তারা আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ৯৫ শতাংশ বই ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই ছাপানো হবে। আর বাকি বই ৭ জানুয়ারির মধ্যেই ছাপা হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তাদের কথা ও কাজে মিল পাওয়া যায়নি। এখন বলা হচ্ছে- বই ছাপা ও বিতরণের কাজ শেষ করতে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।
বই ছাপা ও বিতরণের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করবো, এ সময়ের মধ্যে যেন লক্ষ্য পূরণ হয়। আর শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই না পৌঁছানোর কারণ সংশ্লিষ্টদেরই চিহ্নিত করতে হবে। এবারের কাজ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আগামীতে যেন এর পুনারাবৃত্তি না হয়।