হালদা নদী রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বছরের কোন সময়েই সেখানে যান্ত্রিক নৌযান চলার কথা নয়, খননযন্ত্র ব্যাবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এর কোনটাই মানা হচ্ছে না। যান্ত্রিক নৌযান চলছে, খননযন্ত্র দিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। সব নিষেধাজ্ঞা শিকেয় উঠেছে। মানুষের হঠকারী কার্যককলাপের খেসারত দিতে হচ্ছে হালদার জলজ প্রাণীদের।
দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক এই মৎস্য প্রজননকেন্দ্রে প্রায়ই গাঙ্গেয় ডলফিন মারা পড়ছে। গত চার বছরে সেখানে ৩৩টি ডলফিন মারা গেছে। নৌযানের প্রপেলারের আঘাতে অনেক ডলফিন মারা যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অবৈধ শিকারও করা হয়। মা মাছসহ ছোট-বড় মাছ নানা প্রজাতির মাছের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
নদীর উল্লেখযোগ্য একটা অংশকে মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। সেখান থেকে সংগৃহীত মাছের ডিম থেকে হাজার কেজির বেশি রেণু উৎপাদনের রেকর্ডও আছে। জানা গেছে, ১৯৪৫ সালে ৫ হাজার কেজি রেণু উৎপাদন করা হয়েছিল।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হালদা থেকে প্রায়ই বালু তোলা হয়। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এই অবৈধ কাজ দিনের পর দিন চলছে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। নদীকে রক্ষা করতে হলে বাল তোলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জাল ফেলে বা বড়শি দিয়ে অবৈধ মাছ শিকার করা হয়। অবৈধ মাছ শিকার বন্ধে নজরদারি করা জরুরি।
নদীতে কলকারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। যেসব কলকারখানা দূষণের জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ভারী যান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের হালদার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে কাজগুলো করা জরুরি।
নদী রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছিল। কথা ছিল, জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে। আমরা আশা করব, সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ সমন্বিত পদক্ষেপ নেবে।
সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২
হালদা নদী রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বছরের কোন সময়েই সেখানে যান্ত্রিক নৌযান চলার কথা নয়, খননযন্ত্র ব্যাবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এর কোনটাই মানা হচ্ছে না। যান্ত্রিক নৌযান চলছে, খননযন্ত্র দিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। সব নিষেধাজ্ঞা শিকেয় উঠেছে। মানুষের হঠকারী কার্যককলাপের খেসারত দিতে হচ্ছে হালদার জলজ প্রাণীদের।
দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক এই মৎস্য প্রজননকেন্দ্রে প্রায়ই গাঙ্গেয় ডলফিন মারা পড়ছে। গত চার বছরে সেখানে ৩৩টি ডলফিন মারা গেছে। নৌযানের প্রপেলারের আঘাতে অনেক ডলফিন মারা যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অবৈধ শিকারও করা হয়। মা মাছসহ ছোট-বড় মাছ নানা প্রজাতির মাছের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
নদীর উল্লেখযোগ্য একটা অংশকে মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। সেখান থেকে সংগৃহীত মাছের ডিম থেকে হাজার কেজির বেশি রেণু উৎপাদনের রেকর্ডও আছে। জানা গেছে, ১৯৪৫ সালে ৫ হাজার কেজি রেণু উৎপাদন করা হয়েছিল।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হালদা থেকে প্রায়ই বালু তোলা হয়। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এই অবৈধ কাজ দিনের পর দিন চলছে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। নদীকে রক্ষা করতে হলে বাল তোলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জাল ফেলে বা বড়শি দিয়ে অবৈধ মাছ শিকার করা হয়। অবৈধ মাছ শিকার বন্ধে নজরদারি করা জরুরি।
নদীতে কলকারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। যেসব কলকারখানা দূষণের জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ভারী যান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের হালদার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে কাজগুলো করা জরুরি।
নদী রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছিল। কথা ছিল, জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে। আমরা আশা করব, সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ সমন্বিত পদক্ষেপ নেবে।