alt

সম্পাদকীয়

কারখানা পরিদর্শন : সব পক্ষের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন

: বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

দেশের কারখানাগুলোর ত্রুটির অভাব নেই। বেশিরভাগ কারখানা তৈরি করা হয়েছে নকশার অনুমোদন ছাড়াই। আবার এমন কারখানাও আছে যেগুলোর অনুমোদিত নকশার সঙ্গে বিদ্যমান ভবনের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়ই চলছে অনেক কারখানা। কোনো কোনোটির নেই ট্রেড লাইসেন্স। রাখা হয়নি অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থা বা জরুরি নির্গমন পথ।

কলকারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দেশের ৪৫ হাজার কারখানা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১০৮টি টিম গত ডিসেম্বর থেকে দেশের ৮৬৩টি কারখানা পরিদর্শন করে উল্লিখিত ত্রুটির সন্ধান পেয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কারখানার ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রতিবেদন জাতীয় কমিটির কাছে জমা দেয়া হবে। কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

দেশের শিল্পকারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন সময় সংঘটিত দুর্ঘটনার পর প্রশ্নগুলো সামনে চলে আসে। গত বছর জুলাইয়ে অগ্নিকান্ডে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় অর্ধাশতাধিক শ্রমিক মর্মান্তিকভাবে মারা গেলে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। তারই প্রেক্ষিতে দেশের কলকারখানাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। পরিদর্শনেও কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থার রুগ্নদশা প্রকাশ পাচ্ছে। লাখো শ্রমিক এসব কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যৎসামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

পরিদর্শনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি ভালো খবর। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে। এটা কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। পরিদর্শন কাজে মালিকদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। মালিকপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন এবং সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করলে কর্মপরিবেশ উন্নত করার কাজ সহজ হবে।

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

কারখানা পরিদর্শন : সব পক্ষের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

দেশের কারখানাগুলোর ত্রুটির অভাব নেই। বেশিরভাগ কারখানা তৈরি করা হয়েছে নকশার অনুমোদন ছাড়াই। আবার এমন কারখানাও আছে যেগুলোর অনুমোদিত নকশার সঙ্গে বিদ্যমান ভবনের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়ই চলছে অনেক কারখানা। কোনো কোনোটির নেই ট্রেড লাইসেন্স। রাখা হয়নি অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থা বা জরুরি নির্গমন পথ।

কলকারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দেশের ৪৫ হাজার কারখানা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১০৮টি টিম গত ডিসেম্বর থেকে দেশের ৮৬৩টি কারখানা পরিদর্শন করে উল্লিখিত ত্রুটির সন্ধান পেয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কারখানার ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রতিবেদন জাতীয় কমিটির কাছে জমা দেয়া হবে। কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

দেশের শিল্পকারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন সময় সংঘটিত দুর্ঘটনার পর প্রশ্নগুলো সামনে চলে আসে। গত বছর জুলাইয়ে অগ্নিকান্ডে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় অর্ধাশতাধিক শ্রমিক মর্মান্তিকভাবে মারা গেলে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। তারই প্রেক্ষিতে দেশের কলকারখানাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। পরিদর্শনেও কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থার রুগ্নদশা প্রকাশ পাচ্ছে। লাখো শ্রমিক এসব কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যৎসামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

পরিদর্শনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি ভালো খবর। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে। এটা কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। পরিদর্শন কাজে মালিকদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। মালিকপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন এবং সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করলে কর্মপরিবেশ উন্নত করার কাজ সহজ হবে।

back to top