দেশের কারখানাগুলোর ত্রুটির অভাব নেই। বেশিরভাগ কারখানা তৈরি করা হয়েছে নকশার অনুমোদন ছাড়াই। আবার এমন কারখানাও আছে যেগুলোর অনুমোদিত নকশার সঙ্গে বিদ্যমান ভবনের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়ই চলছে অনেক কারখানা। কোনো কোনোটির নেই ট্রেড লাইসেন্স। রাখা হয়নি অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থা বা জরুরি নির্গমন পথ।
কলকারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দেশের ৪৫ হাজার কারখানা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১০৮টি টিম গত ডিসেম্বর থেকে দেশের ৮৬৩টি কারখানা পরিদর্শন করে উল্লিখিত ত্রুটির সন্ধান পেয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কারখানার ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রতিবেদন জাতীয় কমিটির কাছে জমা দেয়া হবে। কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
দেশের শিল্পকারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন সময় সংঘটিত দুর্ঘটনার পর প্রশ্নগুলো সামনে চলে আসে। গত বছর জুলাইয়ে অগ্নিকান্ডে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় অর্ধাশতাধিক শ্রমিক মর্মান্তিকভাবে মারা গেলে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। তারই প্রেক্ষিতে দেশের কলকারখানাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। পরিদর্শনেও কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থার রুগ্নদশা প্রকাশ পাচ্ছে। লাখো শ্রমিক এসব কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যৎসামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
পরিদর্শনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি ভালো খবর। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে। এটা কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। পরিদর্শন কাজে মালিকদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। মালিকপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন এবং সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করলে কর্মপরিবেশ উন্নত করার কাজ সহজ হবে।
বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
দেশের কারখানাগুলোর ত্রুটির অভাব নেই। বেশিরভাগ কারখানা তৈরি করা হয়েছে নকশার অনুমোদন ছাড়াই। আবার এমন কারখানাও আছে যেগুলোর অনুমোদিত নকশার সঙ্গে বিদ্যমান ভবনের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়ই চলছে অনেক কারখানা। কোনো কোনোটির নেই ট্রেড লাইসেন্স। রাখা হয়নি অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থা বা জরুরি নির্গমন পথ।
কলকারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দেশের ৪৫ হাজার কারখানা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১০৮টি টিম গত ডিসেম্বর থেকে দেশের ৮৬৩টি কারখানা পরিদর্শন করে উল্লিখিত ত্রুটির সন্ধান পেয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কারখানার ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রতিবেদন জাতীয় কমিটির কাছে জমা দেয়া হবে। কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
দেশের শিল্পকারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন সময় সংঘটিত দুর্ঘটনার পর প্রশ্নগুলো সামনে চলে আসে। গত বছর জুলাইয়ে অগ্নিকান্ডে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় অর্ধাশতাধিক শ্রমিক মর্মান্তিকভাবে মারা গেলে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। তারই প্রেক্ষিতে দেশের কলকারখানাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। পরিদর্শনেও কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থার রুগ্নদশা প্রকাশ পাচ্ছে। লাখো শ্রমিক এসব কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যৎসামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
পরিদর্শনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি ভালো খবর। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে। এটা কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। পরিদর্শন কাজে মালিকদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। মালিকপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন এবং সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করলে কর্মপরিবেশ উন্নত করার কাজ সহজ হবে।