alt

সম্পাদকীয়

সেচ প্রকল্পের পুকুর ভরাট প্রসঙ্গে

: বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

ভূগর্ভস্থ পানি তুলে সেচ দিলে একরপ্রতি জ্বালানি খরচ পড়ে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। তবে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব একটি কৃষি প্রকল্প থাকায় খরচ পড়তো মাত্র এক থেকে দুই হাজার টাকা। কিন্তু সেচ প্রকল্পটি এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও পলাশ উপজেলার ৩৪ হাজার কৃষক। ১৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে ‘আশুগঞ্জ-পলাশ অ্যাগ্রো-ইরিগেশন’ নামে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে নামমাত্র খরচে সেচ দেয়া হয়। সেচ প্রকল্পের পানি ধরে রাখতে ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি ঠান্ডা করতে ব্যবহার করা হতো একটি পুকুর।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় অবস্থিত পুকুরটি সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ভরাট করা হয়। মহাসড়কের পাশে সেচের প্রায় ১১ কিলোমিটার নালাও ভরাট করা হয় । এর ফলে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে সেচের পানি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সাময়িকভাবে সেচের অভাবে অনেক জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।

সড়ক উন্নয়ন হচ্ছে সেটা ভালো কথা। কিন্তু উন্নয়ন যদি অন্ধভাবে করা হয় তখন জনগণের সামগ্রিক কল্যাণ সাধান করা সম্ভব হয় না। রাস্তা বানানোর জন্য পুকুর ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু পুকুর ভরাট করলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা-সেই চিন্তা কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করেছে? পুকুর ভরাট করার কারণে ৩৪ হাজার কৃষকে যে সমস্যায় পড়ল, ফসল উৎপাদন ব্যহত হলো-সেই জাবাব কে দেবে।

এমন ‘অন্ধ উন্নয়ন’ দেশজুড়েই দেখা যায়। রাস্তা কেটে বর্জ্য নালায় ফেলে রাখা হয়। আবার নালার ময়লা পরিষ্কার করে রাস্তায় রাখা হয়। বর্জ্য-আবর্জনা নদীতে ফেলা হয়। সেগুলো আবার পরিষ্কার করে নদীর তীরেই রাখা হয়। উন্নয়নের নামে ভাঙাগড়ার এই খেলা চলছে। এতে করে নাগরিকদের উপকারের পরিবর্তে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আর রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় তো হয়ই। উন্নয়ন আমরাও চাই। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে সর্বাঙ্গীন সুন্দর। সবার কল্যাণে আসলে সেই উন্নয়ন অর্থবহ হবে, টেকসই হবে।

সেচ ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে একটি স্থায়ী ও বৃহৎ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অচিরেই প্রকল্পটি দৃশ্যমান হবে বলে আমারা আশা করতে চাই। সেচের পরিকল্পনা যেন প্রকল্পে বন্দী হয়ে না থাকে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। ভবিষ্যতে কোন উন্নয়ন প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। উন্নয়ন কাজে যেন বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ব্যাঘাত না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

সেচ প্রকল্পের পুকুর ভরাট প্রসঙ্গে

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

ভূগর্ভস্থ পানি তুলে সেচ দিলে একরপ্রতি জ্বালানি খরচ পড়ে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। তবে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব একটি কৃষি প্রকল্প থাকায় খরচ পড়তো মাত্র এক থেকে দুই হাজার টাকা। কিন্তু সেচ প্রকল্পটি এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও পলাশ উপজেলার ৩৪ হাজার কৃষক। ১৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে ‘আশুগঞ্জ-পলাশ অ্যাগ্রো-ইরিগেশন’ নামে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে নামমাত্র খরচে সেচ দেয়া হয়। সেচ প্রকল্পের পানি ধরে রাখতে ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি ঠান্ডা করতে ব্যবহার করা হতো একটি পুকুর।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় অবস্থিত পুকুরটি সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ভরাট করা হয়। মহাসড়কের পাশে সেচের প্রায় ১১ কিলোমিটার নালাও ভরাট করা হয় । এর ফলে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে সেচের পানি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সাময়িকভাবে সেচের অভাবে অনেক জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।

সড়ক উন্নয়ন হচ্ছে সেটা ভালো কথা। কিন্তু উন্নয়ন যদি অন্ধভাবে করা হয় তখন জনগণের সামগ্রিক কল্যাণ সাধান করা সম্ভব হয় না। রাস্তা বানানোর জন্য পুকুর ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু পুকুর ভরাট করলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা-সেই চিন্তা কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করেছে? পুকুর ভরাট করার কারণে ৩৪ হাজার কৃষকে যে সমস্যায় পড়ল, ফসল উৎপাদন ব্যহত হলো-সেই জাবাব কে দেবে।

এমন ‘অন্ধ উন্নয়ন’ দেশজুড়েই দেখা যায়। রাস্তা কেটে বর্জ্য নালায় ফেলে রাখা হয়। আবার নালার ময়লা পরিষ্কার করে রাস্তায় রাখা হয়। বর্জ্য-আবর্জনা নদীতে ফেলা হয়। সেগুলো আবার পরিষ্কার করে নদীর তীরেই রাখা হয়। উন্নয়নের নামে ভাঙাগড়ার এই খেলা চলছে। এতে করে নাগরিকদের উপকারের পরিবর্তে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আর রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় তো হয়ই। উন্নয়ন আমরাও চাই। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে সর্বাঙ্গীন সুন্দর। সবার কল্যাণে আসলে সেই উন্নয়ন অর্থবহ হবে, টেকসই হবে।

সেচ ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে একটি স্থায়ী ও বৃহৎ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অচিরেই প্রকল্পটি দৃশ্যমান হবে বলে আমারা আশা করতে চাই। সেচের পরিকল্পনা যেন প্রকল্পে বন্দী হয়ে না থাকে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। ভবিষ্যতে কোন উন্নয়ন প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। উন্নয়ন কাজে যেন বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ব্যাঘাত না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top