নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আনসার সদস্যরা এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এর বাইরে কিছু স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ একশ্রেণীর দালাল তো আছেই। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একটি পাসপোর্টের জন্য একজন নাগরিককে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘চ্যানেল ফি’। চ্যানেলের টাকাসহ আবেদনপত্র দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে জমা নিয়ে আঙুলের ছাপ ও ছবির কাজ মুহূর্তেই শেষ করা হয়। এর বাইরে কেউ নিজ উদ্যোগে লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করলে নানান সমস্যা আর ভুল দেখিয়ে দিনের পর দিন ঘোরানো হয়। শুধু নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসই নয়, বরং সারা দেশেই এই চিত্রের দেখা মেলে। পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিকের অধিকার। নাগরিকরা কেউ বিনামূল্যে পাসপোর্ট পায় না। সরকার নির্ধারিত ফি’র বিনিময়েই সেটা নিতে হয়। তার ওপর আছে পাসপোর্ট অফিসকেন্দ্রিক একটি অশুভ চক্র। তারাও নানান কায়দা-কৌশলে নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ কাজে একশ্রেণীর দালালচক্র যেমন জড়িত, তেমন পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে শত শত কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য হচ্ছে। টাকা-পয়সা লুটে নিচ্ছে। হাজারো নাগরিক ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
কিছুদিন আগেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন জেলার পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে দালালচক্রসহ একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর বাইরে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পায় দুদক। সেগুলো অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালিকা ধরে কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করে এই সংস্থা।
কখনও কোন অভিযান চললে তখন পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান কিছুটা বাড়ে। এরপর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। অনিয়ম ও দুর্নীত আর বন্ধ হয় না। বন্ধ হয় না নাগরিকের ভোগান্তি। পাসপোর্টকেন্দ্রিক ভোগান্তি দূর করার জন্য আবেদন থেকে শুরু করে প্রাপ্তি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা প্রয়োজন। মানুষ যেন ঘরে বসে পাসপোর্ট পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার সময় নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নেয়ার পাশাপশি আইরিশ স্ক্যানও করা হয়। সেখান যাবতীয় তথ্য থাকে। কাজেই ঘরে বসে পাসপোর্ট পাওয়ার আশা নাগরিকরা করতেই পারে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো সমন্বয় করে কাজ করলে এটা অসম্ভব কোন কাজ নয়।
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আনসার সদস্যরা এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এর বাইরে কিছু স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ একশ্রেণীর দালাল তো আছেই। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একটি পাসপোর্টের জন্য একজন নাগরিককে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘চ্যানেল ফি’। চ্যানেলের টাকাসহ আবেদনপত্র দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে জমা নিয়ে আঙুলের ছাপ ও ছবির কাজ মুহূর্তেই শেষ করা হয়। এর বাইরে কেউ নিজ উদ্যোগে লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করলে নানান সমস্যা আর ভুল দেখিয়ে দিনের পর দিন ঘোরানো হয়। শুধু নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসই নয়, বরং সারা দেশেই এই চিত্রের দেখা মেলে। পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিকের অধিকার। নাগরিকরা কেউ বিনামূল্যে পাসপোর্ট পায় না। সরকার নির্ধারিত ফি’র বিনিময়েই সেটা নিতে হয়। তার ওপর আছে পাসপোর্ট অফিসকেন্দ্রিক একটি অশুভ চক্র। তারাও নানান কায়দা-কৌশলে নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ কাজে একশ্রেণীর দালালচক্র যেমন জড়িত, তেমন পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে শত শত কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য হচ্ছে। টাকা-পয়সা লুটে নিচ্ছে। হাজারো নাগরিক ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
কিছুদিন আগেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন জেলার পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে দালালচক্রসহ একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর বাইরে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পায় দুদক। সেগুলো অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালিকা ধরে কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করে এই সংস্থা।
কখনও কোন অভিযান চললে তখন পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান কিছুটা বাড়ে। এরপর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। অনিয়ম ও দুর্নীত আর বন্ধ হয় না। বন্ধ হয় না নাগরিকের ভোগান্তি। পাসপোর্টকেন্দ্রিক ভোগান্তি দূর করার জন্য আবেদন থেকে শুরু করে প্রাপ্তি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা প্রয়োজন। মানুষ যেন ঘরে বসে পাসপোর্ট পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার সময় নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নেয়ার পাশাপশি আইরিশ স্ক্যানও করা হয়। সেখান যাবতীয় তথ্য থাকে। কাজেই ঘরে বসে পাসপোর্ট পাওয়ার আশা নাগরিকরা করতেই পারে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো সমন্বয় করে কাজ করলে এটা অসম্ভব কোন কাজ নয়।