alt

সম্পাদকীয়

পাসপোর্ট পেতে কেন ঘুষ দিতে হবে

: শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আনসার সদস্যরা এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এর বাইরে কিছু স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ একশ্রেণীর দালাল তো আছেই। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একটি পাসপোর্টের জন্য একজন নাগরিককে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘চ্যানেল ফি’। চ্যানেলের টাকাসহ আবেদনপত্র দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে জমা নিয়ে আঙুলের ছাপ ও ছবির কাজ মুহূর্তেই শেষ করা হয়। এর বাইরে কেউ নিজ উদ্যোগে লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করলে নানান সমস্যা আর ভুল দেখিয়ে দিনের পর দিন ঘোরানো হয়। শুধু নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসই নয়, বরং সারা দেশেই এই চিত্রের দেখা মেলে। পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিকের অধিকার। নাগরিকরা কেউ বিনামূল্যে পাসপোর্ট পায় না। সরকার নির্ধারিত ফি’র বিনিময়েই সেটা নিতে হয়। তার ওপর আছে পাসপোর্ট অফিসকেন্দ্রিক একটি অশুভ চক্র। তারাও নানান কায়দা-কৌশলে নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ কাজে একশ্রেণীর দালালচক্র যেমন জড়িত, তেমন পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে শত শত কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য হচ্ছে। টাকা-পয়সা লুটে নিচ্ছে। হাজারো নাগরিক ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

কিছুদিন আগেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন জেলার পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে দালালচক্রসহ একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর বাইরে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পায় দুদক। সেগুলো অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালিকা ধরে কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করে এই সংস্থা।

কখনও কোন অভিযান চললে তখন পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান কিছুটা বাড়ে। এরপর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। অনিয়ম ও দুর্নীত আর বন্ধ হয় না। বন্ধ হয় না নাগরিকের ভোগান্তি। পাসপোর্টকেন্দ্রিক ভোগান্তি দূর করার জন্য আবেদন থেকে শুরু করে প্রাপ্তি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা প্রয়োজন। মানুষ যেন ঘরে বসে পাসপোর্ট পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার সময় নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নেয়ার পাশাপশি আইরিশ স্ক্যানও করা হয়। সেখান যাবতীয় তথ্য থাকে। কাজেই ঘরে বসে পাসপোর্ট পাওয়ার আশা নাগরিকরা করতেই পারে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো সমন্বয় করে কাজ করলে এটা অসম্ভব কোন কাজ নয়।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

পাসপোর্ট পেতে কেন ঘুষ দিতে হবে

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আনসার সদস্যরা এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এর বাইরে কিছু স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ একশ্রেণীর দালাল তো আছেই। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একটি পাসপোর্টের জন্য একজন নাগরিককে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘চ্যানেল ফি’। চ্যানেলের টাকাসহ আবেদনপত্র দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে জমা নিয়ে আঙুলের ছাপ ও ছবির কাজ মুহূর্তেই শেষ করা হয়। এর বাইরে কেউ নিজ উদ্যোগে লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করলে নানান সমস্যা আর ভুল দেখিয়ে দিনের পর দিন ঘোরানো হয়। শুধু নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসই নয়, বরং সারা দেশেই এই চিত্রের দেখা মেলে। পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিকের অধিকার। নাগরিকরা কেউ বিনামূল্যে পাসপোর্ট পায় না। সরকার নির্ধারিত ফি’র বিনিময়েই সেটা নিতে হয়। তার ওপর আছে পাসপোর্ট অফিসকেন্দ্রিক একটি অশুভ চক্র। তারাও নানান কায়দা-কৌশলে নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ কাজে একশ্রেণীর দালালচক্র যেমন জড়িত, তেমন পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে শত শত কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য হচ্ছে। টাকা-পয়সা লুটে নিচ্ছে। হাজারো নাগরিক ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

কিছুদিন আগেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন জেলার পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে দালালচক্রসহ একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর বাইরে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পায় দুদক। সেগুলো অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালিকা ধরে কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করে এই সংস্থা।

কখনও কোন অভিযান চললে তখন পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান কিছুটা বাড়ে। এরপর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। অনিয়ম ও দুর্নীত আর বন্ধ হয় না। বন্ধ হয় না নাগরিকের ভোগান্তি। পাসপোর্টকেন্দ্রিক ভোগান্তি দূর করার জন্য আবেদন থেকে শুরু করে প্রাপ্তি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা প্রয়োজন। মানুষ যেন ঘরে বসে পাসপোর্ট পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার সময় নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নেয়ার পাশাপশি আইরিশ স্ক্যানও করা হয়। সেখান যাবতীয় তথ্য থাকে। কাজেই ঘরে বসে পাসপোর্ট পাওয়ার আশা নাগরিকরা করতেই পারে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো সমন্বয় করে কাজ করলে এটা অসম্ভব কোন কাজ নয়।

back to top