আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কথা বলে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) ডিজেলের পেছনে হাজার কোটি টাকার উপরে লোকসান গুনতে হয়েছে। সে সময় আরও বলা হয়েছিল চোরাচালান রোধে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কোম্পানি কোন কারণে লোকসান করছে বলে জানা যায় না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত চার বছরে তিতাসের মুনাফা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে কোম্পানিটি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তাদের পাশাপাশি গ্যাস বিতরণের কাজে নিয়োজিত অন্য কোম্পানিগুলোও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলছে, এলএনজি আমদানিতে বিতরণ ব্যয় আগামীতে বাড়বে। এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়াতে হবে। আগামীতে ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা থেকে এখনই দেশে গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
দেশে এলএনজি গ্যাস কতটা আর উত্তোলিত গ্যাস কতটা ব্যবহার হয় সেটা একটা প্রশ্ন। এক হিসাব অনুযায়ী, ৭৮ ভাগ গ্যাস দেশে উত্তোলিত হয়। বাকি যেটুকু আমদানি হয় তার ১৭ শতাংশই নির্ধারিত দরে আমদানি করা হয়। মাত্র ৫ শতাংশ বাড়তি দামে আমদানি করা হয়।
দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কোন কারণে দেয়াই যায়। তবে সেই প্রস্তাবে যৌক্তিকতা থাকতে হয়। বিইআরসি অবশ্য দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আমলে নেয়নি। তবে গ্যাসের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব কার মাথা থেকে এসেছে সেটা আমরা জানতে চাই। তারা কি জনগণের সঙ্গে তামাশা করার জন্য এমন উদ্ভট প্রস্তাব করেছেন? নাকি জনগণের পকেট কেটে বাড়তি মুনাফা করতে চাচ্ছেন? আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ানোর অজুহাতে ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ানো হলো। পরে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম কমল তখন দেশে এর দাম কমানো হয়নি। রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও যদি নাগরিকদের সঙ্গে ব্যবসা করে, মুনাফা করতে চায় তাহলে তেল-গ্যাস বিক্রি বা বিতরণের দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলেই হয়।
বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কথা বলে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) ডিজেলের পেছনে হাজার কোটি টাকার উপরে লোকসান গুনতে হয়েছে। সে সময় আরও বলা হয়েছিল চোরাচালান রোধে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কোম্পানি কোন কারণে লোকসান করছে বলে জানা যায় না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত চার বছরে তিতাসের মুনাফা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে কোম্পানিটি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তাদের পাশাপাশি গ্যাস বিতরণের কাজে নিয়োজিত অন্য কোম্পানিগুলোও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলছে, এলএনজি আমদানিতে বিতরণ ব্যয় আগামীতে বাড়বে। এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়াতে হবে। আগামীতে ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা থেকে এখনই দেশে গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
দেশে এলএনজি গ্যাস কতটা আর উত্তোলিত গ্যাস কতটা ব্যবহার হয় সেটা একটা প্রশ্ন। এক হিসাব অনুযায়ী, ৭৮ ভাগ গ্যাস দেশে উত্তোলিত হয়। বাকি যেটুকু আমদানি হয় তার ১৭ শতাংশই নির্ধারিত দরে আমদানি করা হয়। মাত্র ৫ শতাংশ বাড়তি দামে আমদানি করা হয়।
দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কোন কারণে দেয়াই যায়। তবে সেই প্রস্তাবে যৌক্তিকতা থাকতে হয়। বিইআরসি অবশ্য দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আমলে নেয়নি। তবে গ্যাসের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব কার মাথা থেকে এসেছে সেটা আমরা জানতে চাই। তারা কি জনগণের সঙ্গে তামাশা করার জন্য এমন উদ্ভট প্রস্তাব করেছেন? নাকি জনগণের পকেট কেটে বাড়তি মুনাফা করতে চাচ্ছেন? আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ানোর অজুহাতে ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ানো হলো। পরে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম কমল তখন দেশে এর দাম কমানো হয়নি। রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও যদি নাগরিকদের সঙ্গে ব্যবসা করে, মুনাফা করতে চায় তাহলে তেল-গ্যাস বিক্রি বা বিতরণের দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলেই হয়।