alt

সম্পাদকীয়

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কিসের জন্য

: বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কথা বলে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) ডিজেলের পেছনে হাজার কোটি টাকার উপরে লোকসান গুনতে হয়েছে। সে সময় আরও বলা হয়েছিল চোরাচালান রোধে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

তিতাস গ্যাস কোম্পানি কোন কারণে লোকসান করছে বলে জানা যায় না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত চার বছরে তিতাসের মুনাফা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে কোম্পানিটি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তাদের পাশাপাশি গ্যাস বিতরণের কাজে নিয়োজিত অন্য কোম্পানিগুলোও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলছে, এলএনজি আমদানিতে বিতরণ ব্যয় আগামীতে বাড়বে। এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়াতে হবে। আগামীতে ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা থেকে এখনই দেশে গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে এলএনজি গ্যাস কতটা আর উত্তোলিত গ্যাস কতটা ব্যবহার হয় সেটা একটা প্রশ্ন। এক হিসাব অনুযায়ী, ৭৮ ভাগ গ্যাস দেশে উত্তোলিত হয়। বাকি যেটুকু আমদানি হয় তার ১৭ শতাংশই নির্ধারিত দরে আমদানি করা হয়। মাত্র ৫ শতাংশ বাড়তি দামে আমদানি করা হয়।

দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কোন কারণে দেয়াই যায়। তবে সেই প্রস্তাবে যৌক্তিকতা থাকতে হয়। বিইআরসি অবশ্য দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আমলে নেয়নি। তবে গ্যাসের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব কার মাথা থেকে এসেছে সেটা আমরা জানতে চাই। তারা কি জনগণের সঙ্গে তামাশা করার জন্য এমন উদ্ভট প্রস্তাব করেছেন? নাকি জনগণের পকেট কেটে বাড়তি মুনাফা করতে চাচ্ছেন? আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ানোর অজুহাতে ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ানো হলো। পরে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম কমল তখন দেশে এর দাম কমানো হয়নি। রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও যদি নাগরিকদের সঙ্গে ব্যবসা করে, মুনাফা করতে চায় তাহলে তেল-গ্যাস বিক্রি বা বিতরণের দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলেই হয়।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কিসের জন্য

বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কথা বলে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) ডিজেলের পেছনে হাজার কোটি টাকার উপরে লোকসান গুনতে হয়েছে। সে সময় আরও বলা হয়েছিল চোরাচালান রোধে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

তিতাস গ্যাস কোম্পানি কোন কারণে লোকসান করছে বলে জানা যায় না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত চার বছরে তিতাসের মুনাফা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে কোম্পানিটি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তাদের পাশাপাশি গ্যাস বিতরণের কাজে নিয়োজিত অন্য কোম্পানিগুলোও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলছে, এলএনজি আমদানিতে বিতরণ ব্যয় আগামীতে বাড়বে। এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়াতে হবে। আগামীতে ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা থেকে এখনই দেশে গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে এলএনজি গ্যাস কতটা আর উত্তোলিত গ্যাস কতটা ব্যবহার হয় সেটা একটা প্রশ্ন। এক হিসাব অনুযায়ী, ৭৮ ভাগ গ্যাস দেশে উত্তোলিত হয়। বাকি যেটুকু আমদানি হয় তার ১৭ শতাংশই নির্ধারিত দরে আমদানি করা হয়। মাত্র ৫ শতাংশ বাড়তি দামে আমদানি করা হয়।

দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কোন কারণে দেয়াই যায়। তবে সেই প্রস্তাবে যৌক্তিকতা থাকতে হয়। বিইআরসি অবশ্য দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আমলে নেয়নি। তবে গ্যাসের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব কার মাথা থেকে এসেছে সেটা আমরা জানতে চাই। তারা কি জনগণের সঙ্গে তামাশা করার জন্য এমন উদ্ভট প্রস্তাব করেছেন? নাকি জনগণের পকেট কেটে বাড়তি মুনাফা করতে চাচ্ছেন? আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ানোর অজুহাতে ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ানো হলো। পরে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম কমল তখন দেশে এর দাম কমানো হয়নি। রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও যদি নাগরিকদের সঙ্গে ব্যবসা করে, মুনাফা করতে চায় তাহলে তেল-গ্যাস বিক্রি বা বিতরণের দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলেই হয়।

back to top