alt

সম্পাদকীয়

রেণু চিংড়ি আহরণ বন্ধ করুন

: বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

ঝালকাঠির বাজারগুলোতে অবৈধভাবে আহরণ করা রেণু চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। সমুদ্র থেকে এক ধরনের বিশেষ জালের মাধ্যমে এসব চিংড়ির পোনা আহরণ করা হয়। এরপরে সমুদ্রের দূরবর্তী এলাকায় ব্যাপারিদের মাধ্যমে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়। এসব রেণু চিংড়ি বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হলেও প্রশাসনকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মৎস্য পোনা আহরণ আইন অনুযায়ী সমুদ্র উপকূল থেকে চিংড়ি পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এরপরও বিশেষ ধরনের মশারি জাল ব্যবহার করে পোনা আহরণ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ছোট আকারের পোনা খুলনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের চিংড়িঘেরে চাষের জন্য সরবরাহ করা হয়। হ্যাচারির পোনার তুলনায় নদী ও সাগর থেকে আহরিত পোনা চিংড়িঘেরে ছাড়লে উৎপাদন অনেক বেশি হয়। এ কারণেই সাগরের বাগদা চিংড়ির পোনা আহরণ করার জন্য লাখ লাখ টাকা দাদন দেয়া হয়। আর আকারে একটু বড় পোনা উপকূল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপারিদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

এসব চিংড়ির পোনা আহরণের সময় কয়েকশ’ জাতের সামুদ্রিক প্রাণীর পোনা মারা পড়ে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে গেছে। নষ্ট হচ্ছে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলের নদ-নদীর জীববৈচিত্র্য। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক জরিপে দেখা গেছে, একটি রেণু আহরণ করতে গেলে চিংড়ির ১১৯টি পোনা, ৩১২ ধরনের প্রাকৃতিক খাবার (প্লাঙ্কটন), ৩১ প্রজাতির সাদা মাছ (অন্যান্য মাছ), ১০০ প্রজাতির জলজ প্রাণীসহ কয়েক হাজার জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়।

চিংড়ির পোনা আহরণ নিষিদ্ধ হলেও তা অবাধেই চলেছে। সেগুলো বিক্রিও করছে বহাল তবিয়তে। মাঝে মাঝে অভিযান চালানোর খবর পাওয়া যায়। তখন জেলে কিংবা ব্যসায়ীদের নৌকা, চিংড়ির রেণু পোনাসহ নিষিদ্ধ মাশারি জাল জব্দ করা হয়। কিছুদিন বন্ধও থাকে চিংড়ির রেণু ধরা। এরপর আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই অবাধে চলে চিংড়ির রেণু আহরণসহ এর বিপণন, পরিবহন এবং চাষ।

জেলেদের মধ্যে সচেতনতার অভাবে চিংড়ির রেণু আহরণ হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য মৎস্য বিভাগ দায়ী বলেও মনে করেন তারা। একটি চিংড়ি পোনার জন্য বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের পোনা মেরে ফেলা হয়। সাগরের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়লেও মৎস্য বিভাগ জেলেদের বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়নি।

চিংড়ির রেণু আহরণ শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, বন্ধও করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা মৎস্য অধিদপ্তরকেই নিতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে হলে কাজগুলো করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

রেণু চিংড়ি আহরণ বন্ধ করুন

বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

ঝালকাঠির বাজারগুলোতে অবৈধভাবে আহরণ করা রেণু চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। সমুদ্র থেকে এক ধরনের বিশেষ জালের মাধ্যমে এসব চিংড়ির পোনা আহরণ করা হয়। এরপরে সমুদ্রের দূরবর্তী এলাকায় ব্যাপারিদের মাধ্যমে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়। এসব রেণু চিংড়ি বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হলেও প্রশাসনকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মৎস্য পোনা আহরণ আইন অনুযায়ী সমুদ্র উপকূল থেকে চিংড়ি পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এরপরও বিশেষ ধরনের মশারি জাল ব্যবহার করে পোনা আহরণ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ছোট আকারের পোনা খুলনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের চিংড়িঘেরে চাষের জন্য সরবরাহ করা হয়। হ্যাচারির পোনার তুলনায় নদী ও সাগর থেকে আহরিত পোনা চিংড়িঘেরে ছাড়লে উৎপাদন অনেক বেশি হয়। এ কারণেই সাগরের বাগদা চিংড়ির পোনা আহরণ করার জন্য লাখ লাখ টাকা দাদন দেয়া হয়। আর আকারে একটু বড় পোনা উপকূল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপারিদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

এসব চিংড়ির পোনা আহরণের সময় কয়েকশ’ জাতের সামুদ্রিক প্রাণীর পোনা মারা পড়ে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে গেছে। নষ্ট হচ্ছে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলের নদ-নদীর জীববৈচিত্র্য। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক জরিপে দেখা গেছে, একটি রেণু আহরণ করতে গেলে চিংড়ির ১১৯টি পোনা, ৩১২ ধরনের প্রাকৃতিক খাবার (প্লাঙ্কটন), ৩১ প্রজাতির সাদা মাছ (অন্যান্য মাছ), ১০০ প্রজাতির জলজ প্রাণীসহ কয়েক হাজার জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়।

চিংড়ির পোনা আহরণ নিষিদ্ধ হলেও তা অবাধেই চলেছে। সেগুলো বিক্রিও করছে বহাল তবিয়তে। মাঝে মাঝে অভিযান চালানোর খবর পাওয়া যায়। তখন জেলে কিংবা ব্যসায়ীদের নৌকা, চিংড়ির রেণু পোনাসহ নিষিদ্ধ মাশারি জাল জব্দ করা হয়। কিছুদিন বন্ধও থাকে চিংড়ির রেণু ধরা। এরপর আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই অবাধে চলে চিংড়ির রেণু আহরণসহ এর বিপণন, পরিবহন এবং চাষ।

জেলেদের মধ্যে সচেতনতার অভাবে চিংড়ির রেণু আহরণ হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য মৎস্য বিভাগ দায়ী বলেও মনে করেন তারা। একটি চিংড়ি পোনার জন্য বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের পোনা মেরে ফেলা হয়। সাগরের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়লেও মৎস্য বিভাগ জেলেদের বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়নি।

চিংড়ির রেণু আহরণ শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, বন্ধও করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা মৎস্য অধিদপ্তরকেই নিতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে হলে কাজগুলো করতে হবে।

back to top