দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে কুষ্টিয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে।
দেশের প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। খালগুলো ভরাট হওয়ায় বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে বলে জানা যায়।
কাজের সুযোগ দিলে আমাদের দেশের মানুষও ভালো করতে পারে। তারা সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারে। জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প মেরামতের মাধ্যমে তার আরও একটি উদাহরণ পাওয়া গেল। আমাদের দেশে শুধু যে প্রকৌশলীদের সাফল্য দেখা যায় তা নয়। অতীতে কৃষি, চিকিৎসাসহ অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন জরুরি হচ্ছে তাদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে অভ্যন্তরীণ জনগোষ্ঠীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি দেশের অর্থও সাশ্রয় হবে।
ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়। এরপর ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের সুপারিশ পায়। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা অর্জন করতে হলে দক্ষ ও যোগ্য অভ্যন্তরীণ জনশক্তির বিকল্প নেই।
পৃথিবীতে যত দেশ উন্নত হয়েছে তারা নিজস্ব শক্তি থেকে উন্নত হয়েছে। কিন্তু দেশের বড় বড় অনেক প্রকল্পের কাজই এখনও সম্পন্ন করার জন্য বাইরের দেশের জনশক্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য অভ্যন্তরীণ জনশক্তির পরিচর্যার পাশাপাশি তাদের কাজের সুযোগও দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে কুষ্টিয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে।
দেশের প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। খালগুলো ভরাট হওয়ায় বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে বলে জানা যায়।
কাজের সুযোগ দিলে আমাদের দেশের মানুষও ভালো করতে পারে। তারা সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারে। জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প মেরামতের মাধ্যমে তার আরও একটি উদাহরণ পাওয়া গেল। আমাদের দেশে শুধু যে প্রকৌশলীদের সাফল্য দেখা যায় তা নয়। অতীতে কৃষি, চিকিৎসাসহ অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন জরুরি হচ্ছে তাদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে অভ্যন্তরীণ জনগোষ্ঠীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি দেশের অর্থও সাশ্রয় হবে।
ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়। এরপর ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের সুপারিশ পায়। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা অর্জন করতে হলে দক্ষ ও যোগ্য অভ্যন্তরীণ জনশক্তির বিকল্প নেই।
পৃথিবীতে যত দেশ উন্নত হয়েছে তারা নিজস্ব শক্তি থেকে উন্নত হয়েছে। কিন্তু দেশের বড় বড় অনেক প্রকল্পের কাজই এখনও সম্পন্ন করার জন্য বাইরের দেশের জনশক্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য অভ্যন্তরীণ জনশক্তির পরিচর্যার পাশাপাশি তাদের কাজের সুযোগও দিতে হবে।