alt

সম্পাদকীয়

বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন কী

: রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

বাঘ রক্ষার লক্ষ্যে বাঘসমৃদ্ধ ১৩টি দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বাঘ সংরক্ষণবিষয়ক চতুর্থ এশিয়া মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনে বাঘ রক্ষার আহ্বান জানানো হয়। প্রশ্ন হচ্ছে- এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কী করছে। পরিবেশমন্ত্রী বলছেন, বন্য বাঘ সংরক্ষণের দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি এ সংক্রান্ত কিছু আইন ও পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেছেন; কিন্তু দেশে বাঘের সংখ্যা কত হওয়া উচিত ছিল আর কতটি আছে সে বিষয়ে কিছু তার বক্তব্য থেকে জানা যায়নি।

প্রথম বাঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে। সেই সম্মেলনে বলা হয়েছিল- ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। ২০১০ সালে করা এক যৌথ জরিপ অনুযায়ী, তখন বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০টি। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। প্রথম বাঘ সম্মেলনের পর দেশে বাঘের সংখ্যা বাড়ার পরিবর্তে কমেছে; কিন্তু ভুটান, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভারতে বাঘের সংখ্যা ঠিকই বেড়েছে।

সরকারের হিসাব অনুযায়ী- সুন্দরবনের অভয়ারণ্যের আয়তন বেড়েছে। ২০১৭ সালে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা তিন লাখ ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টরে উন্নীত করা হয়েছে। এর আগে অভয়ারণ্যের আয়তন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর। বনের আয়তন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়া সত্ত্বেও বাঘের সংখ্যা কাক্সিক্ষত হারে বাড়েনি কেন সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

কেবল সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দিলে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। বাঘ রক্ষার কাজে বন বিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। করতে হবে অর্থায়ন। বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন কী

রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

বাঘ রক্ষার লক্ষ্যে বাঘসমৃদ্ধ ১৩টি দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বাঘ সংরক্ষণবিষয়ক চতুর্থ এশিয়া মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনে বাঘ রক্ষার আহ্বান জানানো হয়। প্রশ্ন হচ্ছে- এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কী করছে। পরিবেশমন্ত্রী বলছেন, বন্য বাঘ সংরক্ষণের দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি এ সংক্রান্ত কিছু আইন ও পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেছেন; কিন্তু দেশে বাঘের সংখ্যা কত হওয়া উচিত ছিল আর কতটি আছে সে বিষয়ে কিছু তার বক্তব্য থেকে জানা যায়নি।

প্রথম বাঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে। সেই সম্মেলনে বলা হয়েছিল- ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। ২০১০ সালে করা এক যৌথ জরিপ অনুযায়ী, তখন বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০টি। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। প্রথম বাঘ সম্মেলনের পর দেশে বাঘের সংখ্যা বাড়ার পরিবর্তে কমেছে; কিন্তু ভুটান, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভারতে বাঘের সংখ্যা ঠিকই বেড়েছে।

সরকারের হিসাব অনুযায়ী- সুন্দরবনের অভয়ারণ্যের আয়তন বেড়েছে। ২০১৭ সালে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা তিন লাখ ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টরে উন্নীত করা হয়েছে। এর আগে অভয়ারণ্যের আয়তন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর। বনের আয়তন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়া সত্ত্বেও বাঘের সংখ্যা কাক্সিক্ষত হারে বাড়েনি কেন সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

কেবল সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দিলে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। বাঘ রক্ষার কাজে বন বিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। করতে হবে অর্থায়ন। বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে।

back to top