alt

সম্পাদকীয়

শাবিপ্রবি সংকট : প্রকৃত কারণ কি জানা যাবে

: সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার সমাধান মিলছে না। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছে। ভিসি পদত্যাগ করেননি।

শিক্ষার্থীরা মনে করছে, পদত্যাগই একমাত্র সমাধান। আন্দোলনকারীদের অনেকেই সমর্থন দিচ্ছেন। আবার অনেকে বলছেন, পদত্যাগ কোনো সমাধান নয়। সংকট সমাধানের জন্য আলোচনার কথা বলছেন তারা। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে, ভিসি পদত্যাগ করলে আলোচনা হতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভিসি যদি পদত্যাগই করবেন তাহলে আলোচনার প্রয়োজন কী।

শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের শিক্ষার্থীরা খাবারের মান উন্নত করা, ডাবলিং নিষিদ্ধ করা, গণরুম না রাখার মতো সাধারণ কিছু দাবি তুলেছিল। সেখান থেকে হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হলো। এখন দাবি এক দফায় এসে ঠেকেছে। যদিও শিক্ষার্থীদের আগের কোন কোন দাবি পূরণ করা হয়েছে। প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন অনেক আগেই।

তাহলে এমন কী ঘটল যে, ভিসিকে সরে যেতেই হবে এবং তার পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন করতে হবে। সাধারণ একটা ইস্যু এত বড় হলো কেন?

সাধারণ মত হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে। কেউ কেউ ভিসির অতীত-ইতিহাসকেও সামনে টেনে আনছেন। তার দলবদলের রাজনীতির কথা বলছেন। এসব অভিযোগ কী খতিয়ে দেখা হয়েছে? নীতিনির্ধারকদের অনেকে বলছেন এর পেছনে উসকানি রয়েছে; কিন্তু উসকানিটা কী সেটা তারা বলছেন না।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায়ই ভিসিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভিসিরা এমন কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বা কাজ করছেন যেটা শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের মনঃপূত হচ্ছে না। কারো কারো বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে ব্যবহার করার অভিযোগ মেলে।

তবে এগুলোকে ভিসিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একমাত্র কারণ হিসেবে মানতে নারাজ অনেকে। তারা শিক্ষকদের দলাদলির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। শিক্ষকদের কোন কোন অংশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কোন আন্দোলনে ভিসি বিদায় নিলেও আন্দোলনের নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করা হয় না। তদন্ত হয় না বা হলেও সুষ্ঠু হয় না। কোন কোন ক্ষেত্রে তদন্ত আলোর মুখ দেখে না। সুষ্ঠু তদন্ত না হলে, সেটা প্রকাশ করা না হলে- প্রকৃত সত্য উন্মোচন হবে কীভাবে?

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

শাবিপ্রবি সংকট : প্রকৃত কারণ কি জানা যাবে

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার সমাধান মিলছে না। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছে। ভিসি পদত্যাগ করেননি।

শিক্ষার্থীরা মনে করছে, পদত্যাগই একমাত্র সমাধান। আন্দোলনকারীদের অনেকেই সমর্থন দিচ্ছেন। আবার অনেকে বলছেন, পদত্যাগ কোনো সমাধান নয়। সংকট সমাধানের জন্য আলোচনার কথা বলছেন তারা। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে, ভিসি পদত্যাগ করলে আলোচনা হতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভিসি যদি পদত্যাগই করবেন তাহলে আলোচনার প্রয়োজন কী।

শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের শিক্ষার্থীরা খাবারের মান উন্নত করা, ডাবলিং নিষিদ্ধ করা, গণরুম না রাখার মতো সাধারণ কিছু দাবি তুলেছিল। সেখান থেকে হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হলো। এখন দাবি এক দফায় এসে ঠেকেছে। যদিও শিক্ষার্থীদের আগের কোন কোন দাবি পূরণ করা হয়েছে। প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন অনেক আগেই।

তাহলে এমন কী ঘটল যে, ভিসিকে সরে যেতেই হবে এবং তার পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন করতে হবে। সাধারণ একটা ইস্যু এত বড় হলো কেন?

সাধারণ মত হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে। কেউ কেউ ভিসির অতীত-ইতিহাসকেও সামনে টেনে আনছেন। তার দলবদলের রাজনীতির কথা বলছেন। এসব অভিযোগ কী খতিয়ে দেখা হয়েছে? নীতিনির্ধারকদের অনেকে বলছেন এর পেছনে উসকানি রয়েছে; কিন্তু উসকানিটা কী সেটা তারা বলছেন না।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায়ই ভিসিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভিসিরা এমন কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বা কাজ করছেন যেটা শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের মনঃপূত হচ্ছে না। কারো কারো বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে ব্যবহার করার অভিযোগ মেলে।

তবে এগুলোকে ভিসিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একমাত্র কারণ হিসেবে মানতে নারাজ অনেকে। তারা শিক্ষকদের দলাদলির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। শিক্ষকদের কোন কোন অংশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কোন আন্দোলনে ভিসি বিদায় নিলেও আন্দোলনের নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করা হয় না। তদন্ত হয় না বা হলেও সুষ্ঠু হয় না। কোন কোন ক্ষেত্রে তদন্ত আলোর মুখ দেখে না। সুষ্ঠু তদন্ত না হলে, সেটা প্রকাশ করা না হলে- প্রকৃত সত্য উন্মোচন হবে কীভাবে?

back to top