সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার সমাধান মিলছে না। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছে। ভিসি পদত্যাগ করেননি।
শিক্ষার্থীরা মনে করছে, পদত্যাগই একমাত্র সমাধান। আন্দোলনকারীদের অনেকেই সমর্থন দিচ্ছেন। আবার অনেকে বলছেন, পদত্যাগ কোনো সমাধান নয়। সংকট সমাধানের জন্য আলোচনার কথা বলছেন তারা। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে, ভিসি পদত্যাগ করলে আলোচনা হতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভিসি যদি পদত্যাগই করবেন তাহলে আলোচনার প্রয়োজন কী।
শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের শিক্ষার্থীরা খাবারের মান উন্নত করা, ডাবলিং নিষিদ্ধ করা, গণরুম না রাখার মতো সাধারণ কিছু দাবি তুলেছিল। সেখান থেকে হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হলো। এখন দাবি এক দফায় এসে ঠেকেছে। যদিও শিক্ষার্থীদের আগের কোন কোন দাবি পূরণ করা হয়েছে। প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন অনেক আগেই।
তাহলে এমন কী ঘটল যে, ভিসিকে সরে যেতেই হবে এবং তার পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন করতে হবে। সাধারণ একটা ইস্যু এত বড় হলো কেন?
সাধারণ মত হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে। কেউ কেউ ভিসির অতীত-ইতিহাসকেও সামনে টেনে আনছেন। তার দলবদলের রাজনীতির কথা বলছেন। এসব অভিযোগ কী খতিয়ে দেখা হয়েছে? নীতিনির্ধারকদের অনেকে বলছেন এর পেছনে উসকানি রয়েছে; কিন্তু উসকানিটা কী সেটা তারা বলছেন না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায়ই ভিসিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভিসিরা এমন কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বা কাজ করছেন যেটা শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের মনঃপূত হচ্ছে না। কারো কারো বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে ব্যবহার করার অভিযোগ মেলে।
তবে এগুলোকে ভিসিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একমাত্র কারণ হিসেবে মানতে নারাজ অনেকে। তারা শিক্ষকদের দলাদলির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। শিক্ষকদের কোন কোন অংশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কোন আন্দোলনে ভিসি বিদায় নিলেও আন্দোলনের নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করা হয় না। তদন্ত হয় না বা হলেও সুষ্ঠু হয় না। কোন কোন ক্ষেত্রে তদন্ত আলোর মুখ দেখে না। সুষ্ঠু তদন্ত না হলে, সেটা প্রকাশ করা না হলে- প্রকৃত সত্য উন্মোচন হবে কীভাবে?
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার সমাধান মিলছে না। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছে। ভিসি পদত্যাগ করেননি।
শিক্ষার্থীরা মনে করছে, পদত্যাগই একমাত্র সমাধান। আন্দোলনকারীদের অনেকেই সমর্থন দিচ্ছেন। আবার অনেকে বলছেন, পদত্যাগ কোনো সমাধান নয়। সংকট সমাধানের জন্য আলোচনার কথা বলছেন তারা। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে, ভিসি পদত্যাগ করলে আলোচনা হতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভিসি যদি পদত্যাগই করবেন তাহলে আলোচনার প্রয়োজন কী।
শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের শিক্ষার্থীরা খাবারের মান উন্নত করা, ডাবলিং নিষিদ্ধ করা, গণরুম না রাখার মতো সাধারণ কিছু দাবি তুলেছিল। সেখান থেকে হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হলো। এখন দাবি এক দফায় এসে ঠেকেছে। যদিও শিক্ষার্থীদের আগের কোন কোন দাবি পূরণ করা হয়েছে। প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন অনেক আগেই।
তাহলে এমন কী ঘটল যে, ভিসিকে সরে যেতেই হবে এবং তার পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন করতে হবে। সাধারণ একটা ইস্যু এত বড় হলো কেন?
সাধারণ মত হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে। কেউ কেউ ভিসির অতীত-ইতিহাসকেও সামনে টেনে আনছেন। তার দলবদলের রাজনীতির কথা বলছেন। এসব অভিযোগ কী খতিয়ে দেখা হয়েছে? নীতিনির্ধারকদের অনেকে বলছেন এর পেছনে উসকানি রয়েছে; কিন্তু উসকানিটা কী সেটা তারা বলছেন না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায়ই ভিসিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভিসিরা এমন কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বা কাজ করছেন যেটা শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের মনঃপূত হচ্ছে না। কারো কারো বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে ব্যবহার করার অভিযোগ মেলে।
তবে এগুলোকে ভিসিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একমাত্র কারণ হিসেবে মানতে নারাজ অনেকে। তারা শিক্ষকদের দলাদলির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। শিক্ষকদের কোন কোন অংশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কোন আন্দোলনে ভিসি বিদায় নিলেও আন্দোলনের নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করা হয় না। তদন্ত হয় না বা হলেও সুষ্ঠু হয় না। কোন কোন ক্ষেত্রে তদন্ত আলোর মুখ দেখে না। সুষ্ঠু তদন্ত না হলে, সেটা প্রকাশ করা না হলে- প্রকৃত সত্য উন্মোচন হবে কীভাবে?