রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের কালারঘাট গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যমুনেশ্বরী নদী। নদীটি তারাগঞ্জ উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে কালারঘাটসহ আশেপাশের দশ গ্রামকে। এ নদীর ওপর কোন সেতু না থাকায় গ্রামগুলো সড়ক যোগাযোগ থেকেও বিচ্ছিন্ন। ১০ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। এর বাইরে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে তাদের উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গত ৫০ বছর ধরে যমুনেশ্বরী নদী ওপর একটি সেতু দাবি করে আসছে এলাকাবসী। কিন্তু সেখানে সেতু নির্মাণের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এলাকাবাসীর চাঁদা ও স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকোই হচ্ছে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা। তাছাড়া খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে সেটা সম্ভব নয়। তখন কলা গাছের ভেলা কিংবা নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়, যা হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেয়।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলা সদরে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। সঙ্গে নারী-শিশু, প্রবীণ এবং চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ তো রয়েছেই। তাছাড়া সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরাও বঞ্চিত হচ্ছে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে। সামাজিকভাবেও তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
তারাগঞ্জ উপজেলার কালারঘাট গ্রামের মতো দেশের অনেক স্থানেই সেতুর অভাবে স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার অপ্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্গম পাহাড়, ধান ক্ষেত, সড়কের শেষ প্রান্তে, এমনকি বিরাণ ভূমিতেও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় এসব অবকাঠামোর কোন সুফলই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ ভোগ করতে পারছে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হয়েছে ঠিকই। অন্যদিকে তারাগঞ্জের মতো দেশের বহু জয়গার বাসিন্দারা অর্ধ শতাব্দী ধরে কষ্ট করছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
যমুনেশ্বরী নদী ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজারো মানুষ উপকৃত হবে। তরাগঞ্জের যমুনেশ্বরী নদীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই দেশের কোথায় কোথায় এমন সেতুর প্রয়োজন সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অপ্রয়োজনে সেতু, প্রয়োজনে নাই-গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন আমরা আর দেখতে চাই না।
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের কালারঘাট গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যমুনেশ্বরী নদী। নদীটি তারাগঞ্জ উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে কালারঘাটসহ আশেপাশের দশ গ্রামকে। এ নদীর ওপর কোন সেতু না থাকায় গ্রামগুলো সড়ক যোগাযোগ থেকেও বিচ্ছিন্ন। ১০ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। এর বাইরে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে তাদের উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গত ৫০ বছর ধরে যমুনেশ্বরী নদী ওপর একটি সেতু দাবি করে আসছে এলাকাবসী। কিন্তু সেখানে সেতু নির্মাণের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এলাকাবাসীর চাঁদা ও স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকোই হচ্ছে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা। তাছাড়া খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে সেটা সম্ভব নয়। তখন কলা গাছের ভেলা কিংবা নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়, যা হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেয়।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলা সদরে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। সঙ্গে নারী-শিশু, প্রবীণ এবং চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ তো রয়েছেই। তাছাড়া সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরাও বঞ্চিত হচ্ছে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে। সামাজিকভাবেও তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
তারাগঞ্জ উপজেলার কালারঘাট গ্রামের মতো দেশের অনেক স্থানেই সেতুর অভাবে স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার অপ্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্গম পাহাড়, ধান ক্ষেত, সড়কের শেষ প্রান্তে, এমনকি বিরাণ ভূমিতেও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় এসব অবকাঠামোর কোন সুফলই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ ভোগ করতে পারছে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হয়েছে ঠিকই। অন্যদিকে তারাগঞ্জের মতো দেশের বহু জয়গার বাসিন্দারা অর্ধ শতাব্দী ধরে কষ্ট করছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
যমুনেশ্বরী নদী ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজারো মানুষ উপকৃত হবে। তরাগঞ্জের যমুনেশ্বরী নদীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই দেশের কোথায় কোথায় এমন সেতুর প্রয়োজন সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অপ্রয়োজনে সেতু, প্রয়োজনে নাই-গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন আমরা আর দেখতে চাই না।