শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। এ কারণে নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীকেন্দ্রিক জনজীবন হয়ে পড়ে স্থবির। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য কমে যাওয়া সংকটে পড়েছে গাইবান্ধার ৮০টি নৌপথ। জেলার অন্তত গোটা তিনেক নৌপথ যেন চালু থাকে সেজন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং করছে।
জানা গেছে, প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকা খরচে গত দু’বছর ধরে নদী খনন করা হচ্ছে। তবে তাতে সুফল মিলছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিএর কাজে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে।
নদীতে পলি জমে প্রাকৃতিক নিয়মে। উজান থেকে শুধু পানিই আসে না। পলি জমে জমেই এই বদ্বীপ তৈরি হয়েছে। পলি যেমন নতুন ভূমি তৈরি করে তেমন নৌপথও রুদ্ধ করে।
নতুন জমিতে মানুষের মধ্যে নতুন আশা তৈরি হয়। কিন্তু নৌপথ রুদ্ধ হলে তাদের যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পলির কারণে নৌপথগুলো যেন বন্ধ হয়ে না যায়, মানুষের চলাচলে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য নদ-নদী খনন করা জরুরি।
নদী খননে বিআইডব্লিউটিএর যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। এজন্য সংস্থাটির ব্যর্থতাকে দায়ী করেন অনেকে। তাদের কাজে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব আছে-এমন সমালোচনা প্রায়ই শোনা যায়। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের গাছাড়া ভাবের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শুকনো মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, সময় ও অর্থের অপচয় হয়।
শুকনো মৌসুমের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা নিয়ে আগে থেকে কাজ করলে অনেক নৌপথকেই চালু রাখা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। আর এ কাজের জন্য দরকার দূরদর্শিতা ও দায়িত্বশীলতা। নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। নদীর তলদেশ থেকে ওঠানো পলি যেন আবার নদীতে গিয়ে না জমে সেজন্য চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। এ কারণে নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীকেন্দ্রিক জনজীবন হয়ে পড়ে স্থবির। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য কমে যাওয়া সংকটে পড়েছে গাইবান্ধার ৮০টি নৌপথ। জেলার অন্তত গোটা তিনেক নৌপথ যেন চালু থাকে সেজন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং করছে।
জানা গেছে, প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকা খরচে গত দু’বছর ধরে নদী খনন করা হচ্ছে। তবে তাতে সুফল মিলছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিএর কাজে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে।
নদীতে পলি জমে প্রাকৃতিক নিয়মে। উজান থেকে শুধু পানিই আসে না। পলি জমে জমেই এই বদ্বীপ তৈরি হয়েছে। পলি যেমন নতুন ভূমি তৈরি করে তেমন নৌপথও রুদ্ধ করে।
নতুন জমিতে মানুষের মধ্যে নতুন আশা তৈরি হয়। কিন্তু নৌপথ রুদ্ধ হলে তাদের যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পলির কারণে নৌপথগুলো যেন বন্ধ হয়ে না যায়, মানুষের চলাচলে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য নদ-নদী খনন করা জরুরি।
নদী খননে বিআইডব্লিউটিএর যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। এজন্য সংস্থাটির ব্যর্থতাকে দায়ী করেন অনেকে। তাদের কাজে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব আছে-এমন সমালোচনা প্রায়ই শোনা যায়। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের গাছাড়া ভাবের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শুকনো মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, সময় ও অর্থের অপচয় হয়।
শুকনো মৌসুমের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা নিয়ে আগে থেকে কাজ করলে অনেক নৌপথকেই চালু রাখা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। আর এ কাজের জন্য দরকার দূরদর্শিতা ও দায়িত্বশীলতা। নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। নদীর তলদেশ থেকে ওঠানো পলি যেন আবার নদীতে গিয়ে না জমে সেজন্য চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।