জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ঝিনাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে নদীর দু’কূলের বসতবাড়ি, জমিজমা, রাস্তাঘাট ও বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় একটি প্রভাশালী চক্র এ অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করছে। কিন্তু বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট প্রভাব খাটিয়ে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
দেশের অনেক নদ-নদী থেকেই এভাবে অবৈধভাবে বালু তোলা হয়। সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই নদী হচ্ছে এর একটি উদাহরণমাত্র। আর এখানকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ সারাদেশের ভুক্তভোগী জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে বালু তোলার ফলে বসতবাড়ী, রাস্তাঘাট, আবাদি জমি, ৪টি ব্রিজ, দুটি বিদ্যালয় যেমন নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও একই অবস্থা।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পনাহীনভাবে নদী থেকে বালু তোলা হলে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রভাব পড়ে জলবায়ু পরিবর্তনেও। এই প্রভাব বিশ্লেষণ করতে হলে বালু উত্তোলনের স্থান, আয়তন, সময়, অন্যান্য খনি, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রাযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনা করতে হয়। কিন্তু দেশে এসবের কিছুই বিবেচনায় নেয়া হয় না।
২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় বালুমহাল আইন। আইনে বলা হয়, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোন উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি তোলা নিষিদ্ধ।
বালুমহাল আইনের যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না বললেই চলে। যদি দেখা যেত তাহলে সরিষাবাড়ীর ঝিনাই নদী থেকে সংঘবদ্ধচক্র অবৈধভাবে বালু তোলার সাহস পেতনা। এসব কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছি বা নেব বলে কাজ সারে। কখনো যদি কোন ব্যবস্থা নেয়াও হয় সেটা বিচ্ছিন্নভাবে নেয়া হয়। ফলে স্থায়ী ও টেসই কোন সমাধান পাওয়া যায় না। শুধু মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কয়েকটি মেশিন ধ্বংস করলে হবে না, এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিতে হবে।
দেশে অবকাঠামো নির্মাণে বালুর প্রয়োজন আছে। তবে তা তুলতে হবে নিয়ম মেনে। প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে, পরিবেশকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে নির্বিচারে বালু তোলা হোক-সেটা আমরা চাই না।
শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ঝিনাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে নদীর দু’কূলের বসতবাড়ি, জমিজমা, রাস্তাঘাট ও বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় একটি প্রভাশালী চক্র এ অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করছে। কিন্তু বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট প্রভাব খাটিয়ে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
দেশের অনেক নদ-নদী থেকেই এভাবে অবৈধভাবে বালু তোলা হয়। সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই নদী হচ্ছে এর একটি উদাহরণমাত্র। আর এখানকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ সারাদেশের ভুক্তভোগী জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে বালু তোলার ফলে বসতবাড়ী, রাস্তাঘাট, আবাদি জমি, ৪টি ব্রিজ, দুটি বিদ্যালয় যেমন নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও একই অবস্থা।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পনাহীনভাবে নদী থেকে বালু তোলা হলে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রভাব পড়ে জলবায়ু পরিবর্তনেও। এই প্রভাব বিশ্লেষণ করতে হলে বালু উত্তোলনের স্থান, আয়তন, সময়, অন্যান্য খনি, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রাযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনা করতে হয়। কিন্তু দেশে এসবের কিছুই বিবেচনায় নেয়া হয় না।
২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় বালুমহাল আইন। আইনে বলা হয়, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোন উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি তোলা নিষিদ্ধ।
বালুমহাল আইনের যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না বললেই চলে। যদি দেখা যেত তাহলে সরিষাবাড়ীর ঝিনাই নদী থেকে সংঘবদ্ধচক্র অবৈধভাবে বালু তোলার সাহস পেতনা। এসব কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছি বা নেব বলে কাজ সারে। কখনো যদি কোন ব্যবস্থা নেয়াও হয় সেটা বিচ্ছিন্নভাবে নেয়া হয়। ফলে স্থায়ী ও টেসই কোন সমাধান পাওয়া যায় না। শুধু মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কয়েকটি মেশিন ধ্বংস করলে হবে না, এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিতে হবে।
দেশে অবকাঠামো নির্মাণে বালুর প্রয়োজন আছে। তবে তা তুলতে হবে নিয়ম মেনে। প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে, পরিবেশকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে নির্বিচারে বালু তোলা হোক-সেটা আমরা চাই না।