দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে রয়েছে উদাসীনতা। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দুই দশক আগে ২০০২ সালে দেশে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এখন প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগ মানুষের হাতে হাতে। কিন্তু এর ব্যবহার বন্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট বা কাগজের মতো পরিবেশবান্ধব ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার কেন কমল, সেটা একটা প্রশ্ন।
শুধু পণ্য বহনের কাজেই যে প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে, তা নয়। শিল্প ও কৃষিসহ নানা ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো এর ব্যবহার সুবিধাজনক বা প্রয়োজনীয়। কিন্তু প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি নিয়মনীতি মানা হতো বা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক হতো তাহলে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যেত। অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার ও সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশ ও মানুষের বিপদ বাড়ছে।
দেশে যে পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহার হয় তার মধ্যে রিসাইকেল করা হয় ৩৬ শতাংশ। সিংহভাগ প্লাস্টিকই ব্যবহারের পর ফেলা হয় যত্রতত্র। প্লাস্টিক সহজে পচে না। মাটিতে বা জলাশয়ে ফেলা প্লাস্টিক পরিবেশের ওপর নানাভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, দেশের ৭৩ শতাংশ মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি মিলেছে। শুধু মাছের মাধ্যমেই নয় নানাভাবে এটা আমাদের খাদ্যের সঙ্গে মিশে যায়, যা একসময় মানুষের দেহে প্রবেশ করে নানা জটিলতা তৈরি করে।
প্লাস্টিক দূষণ থেকে মানুষ ও পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে। বর্জ্য যেন যত্রতত্র ফেলা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এর পুনর্ব্যবহার বাড়ানো গেলে পরিবেশ রক্ষার কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এসব বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।
মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে রয়েছে উদাসীনতা। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দুই দশক আগে ২০০২ সালে দেশে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এখন প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগ মানুষের হাতে হাতে। কিন্তু এর ব্যবহার বন্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট বা কাগজের মতো পরিবেশবান্ধব ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার কেন কমল, সেটা একটা প্রশ্ন।
শুধু পণ্য বহনের কাজেই যে প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে, তা নয়। শিল্প ও কৃষিসহ নানা ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো এর ব্যবহার সুবিধাজনক বা প্রয়োজনীয়। কিন্তু প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি নিয়মনীতি মানা হতো বা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক হতো তাহলে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যেত। অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার ও সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশ ও মানুষের বিপদ বাড়ছে।
দেশে যে পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহার হয় তার মধ্যে রিসাইকেল করা হয় ৩৬ শতাংশ। সিংহভাগ প্লাস্টিকই ব্যবহারের পর ফেলা হয় যত্রতত্র। প্লাস্টিক সহজে পচে না। মাটিতে বা জলাশয়ে ফেলা প্লাস্টিক পরিবেশের ওপর নানাভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, দেশের ৭৩ শতাংশ মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি মিলেছে। শুধু মাছের মাধ্যমেই নয় নানাভাবে এটা আমাদের খাদ্যের সঙ্গে মিশে যায়, যা একসময় মানুষের দেহে প্রবেশ করে নানা জটিলতা তৈরি করে।
প্লাস্টিক দূষণ থেকে মানুষ ও পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে। বর্জ্য যেন যত্রতত্র ফেলা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এর পুনর্ব্যবহার বাড়ানো গেলে পরিবেশ রক্ষার কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এসব বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।