দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কম-বেশি অভিযোগ রয়েছে। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির অনুমোদনের আগেই বিভিন্ন প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, অবৈধ ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া, সনদ বাণিজ্য ইত্যাদি অভিযোগও রয়েছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া, স্থায়ী ক্যম্পাসে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়াসহ নানান ব্যবস্থা নিয়ে থাকে ইউজিসি। সম্প্রতি তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করতে যাচ্ছে ইউজিসি। আইনানুযায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি- এমন ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে তারা। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যদি এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে না যায়, তাহলে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অন্যান্য ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও সতর্ক করছে ইউজিসি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসির এমন সতর্কবার্তার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহুবার এ ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছে তারা। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্ক করেছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।
আবার ইউজিসি যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের নানা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। মালিকানার দ্বন্দ্ব থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এমনকি ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এসব প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটসহ প্রায় সব সভায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন সরকার মনোনীত প্রতিনিধি। এজন্য প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের জন্য সম্মানীরও ব্যবস্থা করা হয়।
অনিয়মের মধ্যে চলা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসি বলছে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা; কিন্তু শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তরা সিন্ডিকেটের সভায় যাচ্ছে। এতে সেসব প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। তাদের এরকম ভূমিকা জনমনে বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দ্বৈত ভূমিকা পরিত্যাগ করতে হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম-নীতি মানে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে করে জনমনে কোন বিভ্রান্তি না ছড়ায়।
বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কম-বেশি অভিযোগ রয়েছে। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির অনুমোদনের আগেই বিভিন্ন প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, অবৈধ ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া, সনদ বাণিজ্য ইত্যাদি অভিযোগও রয়েছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া, স্থায়ী ক্যম্পাসে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়াসহ নানান ব্যবস্থা নিয়ে থাকে ইউজিসি। সম্প্রতি তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করতে যাচ্ছে ইউজিসি। আইনানুযায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি- এমন ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে তারা। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যদি এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে না যায়, তাহলে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অন্যান্য ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও সতর্ক করছে ইউজিসি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসির এমন সতর্কবার্তার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহুবার এ ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছে তারা। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্ক করেছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।
আবার ইউজিসি যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের নানা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। মালিকানার দ্বন্দ্ব থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এমনকি ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এসব প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটসহ প্রায় সব সভায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন সরকার মনোনীত প্রতিনিধি। এজন্য প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের জন্য সম্মানীরও ব্যবস্থা করা হয়।
অনিয়মের মধ্যে চলা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসি বলছে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা; কিন্তু শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তরা সিন্ডিকেটের সভায় যাচ্ছে। এতে সেসব প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। তাদের এরকম ভূমিকা জনমনে বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দ্বৈত ভূমিকা পরিত্যাগ করতে হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম-নীতি মানে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে করে জনমনে কোন বিভ্রান্তি না ছড়ায়।