alt

সম্পাদকীয়

ঈদুল ফিতর

: শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর খুশির ঈদ আগত। পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম বিশ্বের ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই রোজা পালনের মধ্য দিয়ে অন্যের দুঃখ-বেদনার অংশীদার হওয়ার দীক্ষা গ্রহণ করে। তারপর শাওয়ালের ক্ষীণ দ্বিতীয়ার চাঁদ দেখে শামিল হয় উৎসব-আনন্দে। ঈদুল ফিতর সেই উৎসবের দিন। ঈদ মানে উৎসব।

মানুষের জীবনে চারপাশে ভোগের উপকরণের মধ্যে একটি মাস সংযম, ত্যাগ ও তিতিক্ষার পরীক্ষা দেয়ার এ প্রথাটি মানুষের মধ্যে অন্যের ক্ষুৎপিপাসাকাতর দুঃখতাপময় জীবনের অংশীদার হয়ে তা দূর করার মানসিকতা গড়ে তোলার শিক্ষা দিয়ে এসেছে যুগ যুগ ধরে।

প্রতি বছর এভাবে এক মাস রোজা পালনের পর ঈদের আনন্দ সবাই মিলে ভোগ করার শিক্ষা ইসলামের। সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়, সমাজ জীবনে আর্থিক ভারসাম্য বজায় থাকে সেই লক্ষ্যেই জাকাত প্রথার প্রচলন হয়েছে। আর ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে একত্রে উপভোগ করার জন্য ফিতরা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দারিদ্র্য ও বঞ্চনাপীড়িত এ সমাজে ঈদ অর্থাৎ উৎসব- এ কথাটা বহু হতভাগ্য জীবনে কোন অর্থ বহন করে না। মানুষে মানুষে আত্মীয়বন্ধনের মধ্যে উৎসবের যে অনাবিল রূপটি প্রত্যক্ষ করা যায়, দাতা-গ্রহীতার মধ্যে সেখানে উৎসবের আনন্দ নয়; বরং একদিকে ধনস্ফীত আত্মগর্ব ও অন্যদিকে দীনতার সঙ্কোচ চোখে পড়ে। এভাবেই ঈদের আনন্দের ধারা আজ লাখ লাখ জীবনে ক্ষীণ হয়ে আসছে। ধনী-দরিদ্রের উৎকট বৈষম্যে উৎসবের সার্বজনীন রূপটি আজ তলানিতে ঠেকেছে।

ইসলামে যে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের কথা উচ্চারিত হয়েছে উৎকট ধন বৈষম্য বহাল রেখে তা কখনই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ধনীদের প্রতি গরিবের যে হক আছে তা শুধু জাকাত-ফিতরা দিয়ে পূরণ করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন দরিদ্রবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সত্যিকার সহমর্মিতা। কারও হবে বুলন্দ নসিব, কারও ঘরে ক্ষুধাতুর শিশুর কান্না- ইসলামের বিধান তা নয়। সমাজের যারা সচ্ছল ও বিত্তবান মানুষ তারা এ সত্যটি উপলব্ধি করবেন আশা করি।

আমাদের দেশে অভাব আছে, সমস্যা আছে, বৈষম্য আছে তবু জীবনের দিগন্তে খুশির ঈদের চাঁদের আবির্ভাবকে লক্ষ্য কোটি প্রাণ স্বাগত জানাবে। দীপ্ত দুঃখের দহনের সঙ্গে ধর্মবোধপ্রণোদিত আত্মসংযম এদেশের সাধারণ মানুষকে জীবনে জীবন যোগ করার দীক্ষায় উজ্জীবিত করে রাখে। আশা করা হয়, ধনীর প্রাসাদ থেকে দীনের কুটিরে ঈদের আনন্দের মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় হবে, সার্থক হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

ঈদুল ফিতর

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর খুশির ঈদ আগত। পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম বিশ্বের ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই রোজা পালনের মধ্য দিয়ে অন্যের দুঃখ-বেদনার অংশীদার হওয়ার দীক্ষা গ্রহণ করে। তারপর শাওয়ালের ক্ষীণ দ্বিতীয়ার চাঁদ দেখে শামিল হয় উৎসব-আনন্দে। ঈদুল ফিতর সেই উৎসবের দিন। ঈদ মানে উৎসব।

মানুষের জীবনে চারপাশে ভোগের উপকরণের মধ্যে একটি মাস সংযম, ত্যাগ ও তিতিক্ষার পরীক্ষা দেয়ার এ প্রথাটি মানুষের মধ্যে অন্যের ক্ষুৎপিপাসাকাতর দুঃখতাপময় জীবনের অংশীদার হয়ে তা দূর করার মানসিকতা গড়ে তোলার শিক্ষা দিয়ে এসেছে যুগ যুগ ধরে।

প্রতি বছর এভাবে এক মাস রোজা পালনের পর ঈদের আনন্দ সবাই মিলে ভোগ করার শিক্ষা ইসলামের। সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়, সমাজ জীবনে আর্থিক ভারসাম্য বজায় থাকে সেই লক্ষ্যেই জাকাত প্রথার প্রচলন হয়েছে। আর ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে একত্রে উপভোগ করার জন্য ফিতরা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দারিদ্র্য ও বঞ্চনাপীড়িত এ সমাজে ঈদ অর্থাৎ উৎসব- এ কথাটা বহু হতভাগ্য জীবনে কোন অর্থ বহন করে না। মানুষে মানুষে আত্মীয়বন্ধনের মধ্যে উৎসবের যে অনাবিল রূপটি প্রত্যক্ষ করা যায়, দাতা-গ্রহীতার মধ্যে সেখানে উৎসবের আনন্দ নয়; বরং একদিকে ধনস্ফীত আত্মগর্ব ও অন্যদিকে দীনতার সঙ্কোচ চোখে পড়ে। এভাবেই ঈদের আনন্দের ধারা আজ লাখ লাখ জীবনে ক্ষীণ হয়ে আসছে। ধনী-দরিদ্রের উৎকট বৈষম্যে উৎসবের সার্বজনীন রূপটি আজ তলানিতে ঠেকেছে।

ইসলামে যে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের কথা উচ্চারিত হয়েছে উৎকট ধন বৈষম্য বহাল রেখে তা কখনই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ধনীদের প্রতি গরিবের যে হক আছে তা শুধু জাকাত-ফিতরা দিয়ে পূরণ করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন দরিদ্রবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সত্যিকার সহমর্মিতা। কারও হবে বুলন্দ নসিব, কারও ঘরে ক্ষুধাতুর শিশুর কান্না- ইসলামের বিধান তা নয়। সমাজের যারা সচ্ছল ও বিত্তবান মানুষ তারা এ সত্যটি উপলব্ধি করবেন আশা করি।

আমাদের দেশে অভাব আছে, সমস্যা আছে, বৈষম্য আছে তবু জীবনের দিগন্তে খুশির ঈদের চাঁদের আবির্ভাবকে লক্ষ্য কোটি প্রাণ স্বাগত জানাবে। দীপ্ত দুঃখের দহনের সঙ্গে ধর্মবোধপ্রণোদিত আত্মসংযম এদেশের সাধারণ মানুষকে জীবনে জীবন যোগ করার দীক্ষায় উজ্জীবিত করে রাখে। আশা করা হয়, ধনীর প্রাসাদ থেকে দীনের কুটিরে ঈদের আনন্দের মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় হবে, সার্থক হবে।

back to top