alt

সম্পাদকীয়

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ক্রমাবনতির কারণ কী

: বৃহস্পতিবার, ০৫ মে ২০২২

বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ক্রমাবনতি অব্যাহত আছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৬২তম। গত বছর অবস্থান ছিল ১৫২তম এবং ২০২০ সালে অবস্থান ছিল ১৫১তম। গত বছরের তুলনায় এবার বাংলাদেশ পিছিয়েছে ১০ ধাপ।

বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম বেশি স্বাধীন। আরএসএফের প্রতিবেদন থেকে এমন চিত্র মিলেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৭ আর আফগানিস্তানের অবস্থান ১৫৬। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শুধু মায়ানমারের অবস্থান বাংলাদেশের নিচে-১৭৬।

দেশের সংবাদমাধ্যম কতটা স্বাধীন-এমন প্রশ্ন প্রায়ই ওঠে। নীতিনির্ধারকরা সবসময় দাবি করেন, দেশের সংবাদমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। এ যুক্তির পক্ষে তারা দেশে ছাপা পত্রিকা, টিভি ও রেডিও চ্যানেল, অনলাইন সংবাদপত্রের সংখ্যাগত পরিসংখ্যান হাজির করেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পত্র-পত্রিকার সংখ্যা আর এর স্বাধীনতা দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা বাড়লেও এর স্বাধীনতা কমছে। আরএসএফের গত কয়েক বছরের প্রতিবেদন থেকেও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দিন দিন খর্ব হওয়ার চিত্রই মিলছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরেও দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কেন। একাত্তরে যে কটি লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তার মধ্যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য ছিল অন্যতম। সংবিধানেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিবর্তনমূলক আইন করা হয়েছে। এই আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই সাংবাদিক ও লেখক। অনেককে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখিও করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জামিনও মেলে না সহজে।

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংবাদকর্মীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মতপ্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মতপ্রকাশের জন্য সাংবাদিক হত্যার মন্দ নজিরও দেশে রয়েছে। সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনারই বিচার হয় না।

মুক্ত সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। সংবাদমাধ্যমে দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, সমস্যা-সংকট প্রকাশ পায়। যা সরকারকে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করে। সংবাদমাধ্যম শুধু অন্যায়-অনিয়মের সমালোচনাই করে না, সত্য ও সুন্দরের প্রতি সমর্থনও জানায়।

সংবাদমাধ্যমের দুর্বলতায় সরকারের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে পারে না, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার বিঘ্নিত হয়, গুজব মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হলে জনগণ, দেশ বা সরকার- কারোর জন্যই সেটা সুখকর হয় না। আমরা বলতে চাই, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চত করার দায়িত্ব সরকারের। এ দায়িত্ব পালনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ক্রমাবনতির কারণ কী

বৃহস্পতিবার, ০৫ মে ২০২২

বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ক্রমাবনতি অব্যাহত আছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৬২তম। গত বছর অবস্থান ছিল ১৫২তম এবং ২০২০ সালে অবস্থান ছিল ১৫১তম। গত বছরের তুলনায় এবার বাংলাদেশ পিছিয়েছে ১০ ধাপ।

বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম বেশি স্বাধীন। আরএসএফের প্রতিবেদন থেকে এমন চিত্র মিলেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৭ আর আফগানিস্তানের অবস্থান ১৫৬। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শুধু মায়ানমারের অবস্থান বাংলাদেশের নিচে-১৭৬।

দেশের সংবাদমাধ্যম কতটা স্বাধীন-এমন প্রশ্ন প্রায়ই ওঠে। নীতিনির্ধারকরা সবসময় দাবি করেন, দেশের সংবাদমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। এ যুক্তির পক্ষে তারা দেশে ছাপা পত্রিকা, টিভি ও রেডিও চ্যানেল, অনলাইন সংবাদপত্রের সংখ্যাগত পরিসংখ্যান হাজির করেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পত্র-পত্রিকার সংখ্যা আর এর স্বাধীনতা দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা বাড়লেও এর স্বাধীনতা কমছে। আরএসএফের গত কয়েক বছরের প্রতিবেদন থেকেও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দিন দিন খর্ব হওয়ার চিত্রই মিলছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরেও দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কেন। একাত্তরে যে কটি লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তার মধ্যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য ছিল অন্যতম। সংবিধানেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিবর্তনমূলক আইন করা হয়েছে। এই আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই সাংবাদিক ও লেখক। অনেককে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখিও করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জামিনও মেলে না সহজে।

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংবাদকর্মীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মতপ্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মতপ্রকাশের জন্য সাংবাদিক হত্যার মন্দ নজিরও দেশে রয়েছে। সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনারই বিচার হয় না।

মুক্ত সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। সংবাদমাধ্যমে দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, সমস্যা-সংকট প্রকাশ পায়। যা সরকারকে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করে। সংবাদমাধ্যম শুধু অন্যায়-অনিয়মের সমালোচনাই করে না, সত্য ও সুন্দরের প্রতি সমর্থনও জানায়।

সংবাদমাধ্যমের দুর্বলতায় সরকারের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে পারে না, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার বিঘ্নিত হয়, গুজব মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হলে জনগণ, দেশ বা সরকার- কারোর জন্যই সেটা সুখকর হয় না। আমরা বলতে চাই, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চত করার দায়িত্ব সরকারের। এ দায়িত্ব পালনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top