alt

সম্পাদকীয়

ঈদযাত্রায় স্বস্তি

: বৃহস্পতিবার, ০৫ মে ২০২২

নগরের কর্মব্যস্ত জীবনে ঈদ মানেই বাড়ি ফেরা। তবে নানা কারণেই বিগত বছরগুলোতে এ বাড়ি ফেরা স্বস্তিদায়ক হয়নি। পথে পথে পোহাতে হয়েছে চরম ভোগান্তি। সে তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। বাস স্টেশন, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটে ভিড় বেশি থাকলেও ভোগান্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন ঘরমুখো মানুষ।

করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছরের চার ঈদে বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়নি অনেকের। ফলে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেননি তারা। গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণ মানুষ বাড়ি ফিরবেন বলে জানিয়েছিল বিভিন্ন সংগঠন ও বিশেষজ্ঞরা। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, ঈদকে কেন্দ্র করে এবার ঢাকা ছাড়তে পারেন প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।

আশঙ্কা করা হয়েছিল, যানজট ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এবারের ঈদযাত্রায় ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ঘরমুখো মানুষ এবারের ঈদযাত্রায় যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন। বিশেষ করে, রাজধানী থেকে বের হওয়া ও প্রবেশ করার পথেই যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হতে পারে।

বাস্তবে দেখা গেল যানজট ছিল সহনীয় মাত্রায়। ঈদ যত ঘনিয়ে এসেছে ঘরমুখো মানুষের চাপ তত কমেছে। হাইওয়ে পুলিশ, এপিবিএন সদস্য এবং সড়ক-মহাসড়ক অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল। গাড়ির চাপ থাকলেও অন্যবারের মতো দীর্ঘ যানজটের শিকার হতে হয়নি মানুষকে। ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে চরম বিড়ম্বনা তৈরি হলেও সবমিলিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। যাত্রী বোঝাই করে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ায় কয়েকটি লঞ্চকে জরিমানাও করা হয়েছে।

সাপ্তাহিক বন্ধ মিলিয়ে এ বছর ৯ দিন ঈদের ছুটি পেয়েছেন মানুষ। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে মানুষ গ্রামে যাওয়ার জন্য বেশি সময় পেয়েছে। আবার অনেকেই আগেভাগে তাদের পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি সার্বিক ব্যবস্থাপনাও অন্যবারের তুলনায় ভালো ছিল।

প্রতি ঈদেই ঘরে ফিরতে হলে মানুষকে কোন না কোন ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাদের আনন্দ আর আনন্দ থাকে না, ভোগান্তি আর হয়রানির শিকার হতে হয়। ঈদযাত্রা মানে শুধু বাড়ি ফেরা নয়, বাড়ি থেকে আবার কর্মস্থলে ফিরে আসতে হয়। ঈদের পরে গত দুদিনে ফেরার চিত্রটাও ছিল স্বস্তিদায়ক।

আগামীতে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হলে এবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে। ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু করতে হবে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা হলে একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘরে ফেরা যে স্বস্তিদায়ক ও আনন্দদায়ক করা যায় এবারের ঈদ তার প্রমাণ।

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

নার্স সংকট নিরসন করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ভাগাড় কেন

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করুন

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে পদক্ষেপ জরুরি

বাড়ছে ডায়রিয়া, সতর্ক থাকতে হবে

প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ আমলে নিন

মশারি জালের ব্যবহার বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

tab

সম্পাদকীয়

ঈদযাত্রায় স্বস্তি

বৃহস্পতিবার, ০৫ মে ২০২২

নগরের কর্মব্যস্ত জীবনে ঈদ মানেই বাড়ি ফেরা। তবে নানা কারণেই বিগত বছরগুলোতে এ বাড়ি ফেরা স্বস্তিদায়ক হয়নি। পথে পথে পোহাতে হয়েছে চরম ভোগান্তি। সে তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। বাস স্টেশন, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটে ভিড় বেশি থাকলেও ভোগান্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন ঘরমুখো মানুষ।

করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছরের চার ঈদে বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়নি অনেকের। ফলে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেননি তারা। গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণ মানুষ বাড়ি ফিরবেন বলে জানিয়েছিল বিভিন্ন সংগঠন ও বিশেষজ্ঞরা। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, ঈদকে কেন্দ্র করে এবার ঢাকা ছাড়তে পারেন প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।

আশঙ্কা করা হয়েছিল, যানজট ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এবারের ঈদযাত্রায় ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ঘরমুখো মানুষ এবারের ঈদযাত্রায় যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন। বিশেষ করে, রাজধানী থেকে বের হওয়া ও প্রবেশ করার পথেই যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হতে পারে।

বাস্তবে দেখা গেল যানজট ছিল সহনীয় মাত্রায়। ঈদ যত ঘনিয়ে এসেছে ঘরমুখো মানুষের চাপ তত কমেছে। হাইওয়ে পুলিশ, এপিবিএন সদস্য এবং সড়ক-মহাসড়ক অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল। গাড়ির চাপ থাকলেও অন্যবারের মতো দীর্ঘ যানজটের শিকার হতে হয়নি মানুষকে। ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে চরম বিড়ম্বনা তৈরি হলেও সবমিলিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। যাত্রী বোঝাই করে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ায় কয়েকটি লঞ্চকে জরিমানাও করা হয়েছে।

সাপ্তাহিক বন্ধ মিলিয়ে এ বছর ৯ দিন ঈদের ছুটি পেয়েছেন মানুষ। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে মানুষ গ্রামে যাওয়ার জন্য বেশি সময় পেয়েছে। আবার অনেকেই আগেভাগে তাদের পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি সার্বিক ব্যবস্থাপনাও অন্যবারের তুলনায় ভালো ছিল।

প্রতি ঈদেই ঘরে ফিরতে হলে মানুষকে কোন না কোন ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাদের আনন্দ আর আনন্দ থাকে না, ভোগান্তি আর হয়রানির শিকার হতে হয়। ঈদযাত্রা মানে শুধু বাড়ি ফেরা নয়, বাড়ি থেকে আবার কর্মস্থলে ফিরে আসতে হয়। ঈদের পরে গত দুদিনে ফেরার চিত্রটাও ছিল স্বস্তিদায়ক।

আগামীতে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হলে এবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে। ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু করতে হবে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা হলে একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘরে ফেরা যে স্বস্তিদায়ক ও আনন্দদায়ক করা যায় এবারের ঈদ তার প্রমাণ।

back to top