alt

সম্পাদকীয়

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এখনই ব্যবস্থা নিন

: শুক্রবার, ০৬ মে ২০২২

এবার রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগী বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ‘প্রাক মৌসুম এডিস সার্ভে-২০২২’ শীর্ষক এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর প্রতি ১০০টি মশার মধ্যে ৫টি ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশা পাওয়া গেছে। গত ৪ মাসে ১৮৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে না পারলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। করোনা মহামারী-পরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্যের ওপর আবারও বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়লে অন্যান্য রোগীর স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হয়। যেমনটা হয়েছিল মহামারী করোনার সময়।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর-এই সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি বলে জানা গেছে। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ১ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হয়। আগে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির রয়েছে।

তাই এ বিষয়ে এখনই সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০১৯ সালে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০।

তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে পানির ট্যাংক, ফুলের টব, ছাদ, ফ্রিজের নিচে তিন থেকে পাঁচ দিনের জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। আবার বৃষ্টির কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই মশা জন্মাতে পারে।

তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

রাজধানীতে কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কিছু জায়গায় এডিস মশা বিস্তারের শঙ্কা রয়েছে। এর বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। সংক্রমণ বাড়ার আগেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এখনই ব্যবস্থা নিন

শুক্রবার, ০৬ মে ২০২২

এবার রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগী বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ‘প্রাক মৌসুম এডিস সার্ভে-২০২২’ শীর্ষক এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর প্রতি ১০০টি মশার মধ্যে ৫টি ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশা পাওয়া গেছে। গত ৪ মাসে ১৮৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে না পারলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। করোনা মহামারী-পরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্যের ওপর আবারও বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়লে অন্যান্য রোগীর স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হয়। যেমনটা হয়েছিল মহামারী করোনার সময়।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর-এই সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি বলে জানা গেছে। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ১ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হয়। আগে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির রয়েছে।

তাই এ বিষয়ে এখনই সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০১৯ সালে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০।

তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে পানির ট্যাংক, ফুলের টব, ছাদ, ফ্রিজের নিচে তিন থেকে পাঁচ দিনের জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। আবার বৃষ্টির কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই মশা জন্মাতে পারে।

তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

রাজধানীতে কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কিছু জায়গায় এডিস মশা বিস্তারের শঙ্কা রয়েছে। এর বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। সংক্রমণ বাড়ার আগেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top