মৌসুমের আগে আধাপাকা ফল কার্বাইড ও ইথোফেন দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন আশঙ্কা দেখা দেয়া অবশ্য অমূলক নয়। কারণ, অতীতে কার্বাইড দিয়ে ফল পাকিয়ে বিক্রি করেতে দেখা গেছে। মূলত মৌসুমের আগে ফল বাজারে বিক্রি করার জন্য এ কারসাজি করা হয়। এ সময় দাম বেশি পাওয়ায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় এ কাজ করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে, ফল পাকাতে নির্ধারিত মাত্রায় রাসায়নিক ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয় না। সমস্যা হচ্ছে, দেশে মৌসুমি ফলের মধ্যে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক অতিমাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ, কীভাবে নির্ধারণ করা হবে এবং সে অনুযায়ী তার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে, সেটা একটা প্রশ্ন। আর এ কারণেই জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো ফল খেলে লিভার, কিডনি ও পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এসব ফল মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করলে ফলের স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়।
তাই কার্বাইড, ইথোফেনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক আমদানি, বিক্রি, ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত যেসব আইন ও বিধিমালা রয়েছে, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করেতে হবে। তাহলে ফলে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানোর মন্দ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হবে।
পাশাপাশি ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। ক্রেতা-সচেতনতা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে কোন চাপ অনুভব করেন না। ক্রেতা সাধারণের বুঝতে হবে, মৌসুমের আগে কোন ফল পাকানো হলে তাতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক মেশানোর আশঙ্কা থাকে। তারা যদি ধৈর্য ধরে ফলের মৌসুম আসার অপেক্ষা করেন তাহলে যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে, তেমনি অর্থও সাশ্রয় হবে।
শুক্রবার, ০৬ মে ২০২২
মৌসুমের আগে আধাপাকা ফল কার্বাইড ও ইথোফেন দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন আশঙ্কা দেখা দেয়া অবশ্য অমূলক নয়। কারণ, অতীতে কার্বাইড দিয়ে ফল পাকিয়ে বিক্রি করেতে দেখা গেছে। মূলত মৌসুমের আগে ফল বাজারে বিক্রি করার জন্য এ কারসাজি করা হয়। এ সময় দাম বেশি পাওয়ায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় এ কাজ করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে, ফল পাকাতে নির্ধারিত মাত্রায় রাসায়নিক ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয় না। সমস্যা হচ্ছে, দেশে মৌসুমি ফলের মধ্যে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক অতিমাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ, কীভাবে নির্ধারণ করা হবে এবং সে অনুযায়ী তার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে, সেটা একটা প্রশ্ন। আর এ কারণেই জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো ফল খেলে লিভার, কিডনি ও পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এসব ফল মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করলে ফলের স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়।
তাই কার্বাইড, ইথোফেনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক আমদানি, বিক্রি, ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত যেসব আইন ও বিধিমালা রয়েছে, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করেতে হবে। তাহলে ফলে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানোর মন্দ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হবে।
পাশাপাশি ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। ক্রেতা-সচেতনতা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে কোন চাপ অনুভব করেন না। ক্রেতা সাধারণের বুঝতে হবে, মৌসুমের আগে কোন ফল পাকানো হলে তাতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক মেশানোর আশঙ্কা থাকে। তারা যদি ধৈর্য ধরে ফলের মৌসুম আসার অপেক্ষা করেন তাহলে যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে, তেমনি অর্থও সাশ্রয় হবে।