alt

সম্পাদকীয়

ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনায় ছাড় নয়

: শনিবার, ০৭ মে ২০২২

সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। গত মাসে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ। এ কারণে বাংলাদেশেও এর দাম না বাড়িয়ে উপায় ছিল না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ৩৮ টাকা বাড়ানো কতটা যৌক্তিক হয়েছে সেটা নিয়ে দেশে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়ানোর কারণে ভোক্তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। একবারে না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে দাম বাড়ালে বিরূপ প্রতিক্রিয়া কম হতে পারত বলে মনে করছেন কোন কোন বিশ্লেষক।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়তি দাম দিয়েও ভোক্তারা তেল কিনতে পারবেন কিনা। ঈদের আগে বাজারে ভোজ্যতেল হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছিল। এখনো বাজারে এর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। রাতারাতি বাজার তেলশূন্য হয়ে যায় কী করে সেটা একটা রহস্য। তবে সেই ঘটনায় বাজার ব্যবস্থাপনা বা নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দুর্বলতা আরেকবার প্রকাশ পেয়েছে।

ভোজ্যতেলের বাজারে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। ক্রেতাসাধারণকে জিম্মি করে কোন চক্র যেন ফায়দা লুটতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাজারে তেল সরবরাহে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকা জরুরি। চাহিদা-সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখা গেলে এর দাম নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনায় ছাড় দিলে তার খেসারত গুনতে হবে সাধারণ মানুষকে।

ভোজ্যতেলের বাজারের বিভিন্ন স্তরে মজুদদারির প্রবণতা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। মিল মালিক, ডিলার, খুচরা বিক্রেতা কেউই এই অভিযোগ থেকে মুক্ত নন। বাড়তি মুনাফার আশায় তারা বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেন। সরকারকে মজুদদারি বন্ধে একই সঙ্গে কঠোর ও কৌশলী হতে হবে। মজুদদারির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি টিসিবির মাধ্যমে তেল বিক্রি বাড়াতে হবে।

তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তার আচরণও গুরুত্বপূর্ণ। দাম আগামীতে আরও বাড়তে পারে সেটা ভেবে যদি ক্রেতারা আগ্রাসীভাবে তেল কেনা শুরু করেন তাহলে এর দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে। মানুষকে এ দুর্দিনে কৃচ্ছতা অবলম্বন করতে হবে। তাহলে এর চাহিদা কমবে। তখন চাহিদা-সরবরাহের আপন নিয়মেই দাম একটা যৌক্তি পর্যায়ে অবস্থান করবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনায় ছাড় নয়

শনিবার, ০৭ মে ২০২২

সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। গত মাসে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ। এ কারণে বাংলাদেশেও এর দাম না বাড়িয়ে উপায় ছিল না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ৩৮ টাকা বাড়ানো কতটা যৌক্তিক হয়েছে সেটা নিয়ে দেশে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়ানোর কারণে ভোক্তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। একবারে না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে দাম বাড়ালে বিরূপ প্রতিক্রিয়া কম হতে পারত বলে মনে করছেন কোন কোন বিশ্লেষক।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়তি দাম দিয়েও ভোক্তারা তেল কিনতে পারবেন কিনা। ঈদের আগে বাজারে ভোজ্যতেল হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছিল। এখনো বাজারে এর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। রাতারাতি বাজার তেলশূন্য হয়ে যায় কী করে সেটা একটা রহস্য। তবে সেই ঘটনায় বাজার ব্যবস্থাপনা বা নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দুর্বলতা আরেকবার প্রকাশ পেয়েছে।

ভোজ্যতেলের বাজারে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। ক্রেতাসাধারণকে জিম্মি করে কোন চক্র যেন ফায়দা লুটতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাজারে তেল সরবরাহে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকা জরুরি। চাহিদা-সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখা গেলে এর দাম নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনায় ছাড় দিলে তার খেসারত গুনতে হবে সাধারণ মানুষকে।

ভোজ্যতেলের বাজারের বিভিন্ন স্তরে মজুদদারির প্রবণতা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। মিল মালিক, ডিলার, খুচরা বিক্রেতা কেউই এই অভিযোগ থেকে মুক্ত নন। বাড়তি মুনাফার আশায় তারা বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেন। সরকারকে মজুদদারি বন্ধে একই সঙ্গে কঠোর ও কৌশলী হতে হবে। মজুদদারির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি টিসিবির মাধ্যমে তেল বিক্রি বাড়াতে হবে।

তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তার আচরণও গুরুত্বপূর্ণ। দাম আগামীতে আরও বাড়তে পারে সেটা ভেবে যদি ক্রেতারা আগ্রাসীভাবে তেল কেনা শুরু করেন তাহলে এর দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে। মানুষকে এ দুর্দিনে কৃচ্ছতা অবলম্বন করতে হবে। তাহলে এর চাহিদা কমবে। তখন চাহিদা-সরবরাহের আপন নিয়মেই দাম একটা যৌক্তি পর্যায়ে অবস্থান করবে।

back to top