সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। গত মাসে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ। এ কারণে বাংলাদেশেও এর দাম না বাড়িয়ে উপায় ছিল না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ৩৮ টাকা বাড়ানো কতটা যৌক্তিক হয়েছে সেটা নিয়ে দেশে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়ানোর কারণে ভোক্তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। একবারে না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে দাম বাড়ালে বিরূপ প্রতিক্রিয়া কম হতে পারত বলে মনে করছেন কোন কোন বিশ্লেষক।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়তি দাম দিয়েও ভোক্তারা তেল কিনতে পারবেন কিনা। ঈদের আগে বাজারে ভোজ্যতেল হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছিল। এখনো বাজারে এর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। রাতারাতি বাজার তেলশূন্য হয়ে যায় কী করে সেটা একটা রহস্য। তবে সেই ঘটনায় বাজার ব্যবস্থাপনা বা নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দুর্বলতা আরেকবার প্রকাশ পেয়েছে।
ভোজ্যতেলের বাজারে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। ক্রেতাসাধারণকে জিম্মি করে কোন চক্র যেন ফায়দা লুটতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাজারে তেল সরবরাহে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকা জরুরি। চাহিদা-সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখা গেলে এর দাম নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনায় ছাড় দিলে তার খেসারত গুনতে হবে সাধারণ মানুষকে।
ভোজ্যতেলের বাজারের বিভিন্ন স্তরে মজুদদারির প্রবণতা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। মিল মালিক, ডিলার, খুচরা বিক্রেতা কেউই এই অভিযোগ থেকে মুক্ত নন। বাড়তি মুনাফার আশায় তারা বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেন। সরকারকে মজুদদারি বন্ধে একই সঙ্গে কঠোর ও কৌশলী হতে হবে। মজুদদারির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি টিসিবির মাধ্যমে তেল বিক্রি বাড়াতে হবে।
তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তার আচরণও গুরুত্বপূর্ণ। দাম আগামীতে আরও বাড়তে পারে সেটা ভেবে যদি ক্রেতারা আগ্রাসীভাবে তেল কেনা শুরু করেন তাহলে এর দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে। মানুষকে এ দুর্দিনে কৃচ্ছতা অবলম্বন করতে হবে। তাহলে এর চাহিদা কমবে। তখন চাহিদা-সরবরাহের আপন নিয়মেই দাম একটা যৌক্তি পর্যায়ে অবস্থান করবে।
শনিবার, ০৭ মে ২০২২
সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। গত মাসে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ। এ কারণে বাংলাদেশেও এর দাম না বাড়িয়ে উপায় ছিল না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ৩৮ টাকা বাড়ানো কতটা যৌক্তিক হয়েছে সেটা নিয়ে দেশে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়ানোর কারণে ভোক্তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। একবারে না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে দাম বাড়ালে বিরূপ প্রতিক্রিয়া কম হতে পারত বলে মনে করছেন কোন কোন বিশ্লেষক।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়তি দাম দিয়েও ভোক্তারা তেল কিনতে পারবেন কিনা। ঈদের আগে বাজারে ভোজ্যতেল হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছিল। এখনো বাজারে এর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। রাতারাতি বাজার তেলশূন্য হয়ে যায় কী করে সেটা একটা রহস্য। তবে সেই ঘটনায় বাজার ব্যবস্থাপনা বা নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দুর্বলতা আরেকবার প্রকাশ পেয়েছে।
ভোজ্যতেলের বাজারে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। ক্রেতাসাধারণকে জিম্মি করে কোন চক্র যেন ফায়দা লুটতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাজারে তেল সরবরাহে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকা জরুরি। চাহিদা-সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখা গেলে এর দাম নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনায় ছাড় দিলে তার খেসারত গুনতে হবে সাধারণ মানুষকে।
ভোজ্যতেলের বাজারের বিভিন্ন স্তরে মজুদদারির প্রবণতা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। মিল মালিক, ডিলার, খুচরা বিক্রেতা কেউই এই অভিযোগ থেকে মুক্ত নন। বাড়তি মুনাফার আশায় তারা বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেন। সরকারকে মজুদদারি বন্ধে একই সঙ্গে কঠোর ও কৌশলী হতে হবে। মজুদদারির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি টিসিবির মাধ্যমে তেল বিক্রি বাড়াতে হবে।
তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তার আচরণও গুরুত্বপূর্ণ। দাম আগামীতে আরও বাড়তে পারে সেটা ভেবে যদি ক্রেতারা আগ্রাসীভাবে তেল কেনা শুরু করেন তাহলে এর দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে। মানুষকে এ দুর্দিনে কৃচ্ছতা অবলম্বন করতে হবে। তাহলে এর চাহিদা কমবে। তখন চাহিদা-সরবরাহের আপন নিয়মেই দাম একটা যৌক্তি পর্যায়ে অবস্থান করবে।