নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বেলা ১১টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গত দুই বছরের ঈদগুলো কেটেছে বিধি-নিষেধের মধ্যে। এবার করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঈদ উদযাপনে কোন ধরনের বিধি-নিষেধ ছিল না। করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনার মহামারী রয়েই গেছে। ঈদের ছুটির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অর্ধশতাধিক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। আহত হয়েছে কয়েকশ’। প্রতিদিন কম-বেশি ঘটেই চলছে সড়ক দুর্ঘটনা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে-পরের দুই সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৩২৩ জন। এবারের ঈদযাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। সড়ক-মহাসড়কে অতীতের মতো বিশৃঙ্খলা বা অব্যবস্থাপনা দেখা যায়নি। এর মধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে।
মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ না হওয়া, চালকদের বিরতিহীনভাবে একটানা যানবাহন চালানো, ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতি ইত্যাদি ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ৪৮ শতাংশই মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। যা গত বছর ছিল ৪৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতদের বড় অংশই কিশোর-তরুণ। শুধু ঈদযাত্রা নয়, সবসময়ই দেশের সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ এই মোটরসাইকেল। গত বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২ হাজার ২১৪ জন।
কেবল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা যদি নিয়ন্ত্রণ করা যেত তাহলে হতাহতের হার অনেকাংশে কমে যেত। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশোর-তরুণদের অনেকে নিয়ম না মেনে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালায়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। বেপরোয়া গতির পাশাপাশি মহাসড়কে কীভাবে চলতে হয় কিশোর-তরুণদের অনেকেই তা ভালোভাবে জানে না। তাছাড়া একটি মোটরসাইকেলে চালকের বাইরে সর্বোচ্চ একজন আরোহী তোলার নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। চালক ও আরোহীদের বেশিরভাগেরই হেলমেট থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে বৈধ লাইসেন্সও থাকে না চালকের।
ঈদযাত্রায় বা অন্য সময়ে মহাসড়কে দীর্ঘপথে মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোটরসাইকেলে দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া নিয়ন্ত্রণ করার উপায় খুঁজতে হবে। সার্বিকভাবে দুর্ঘটনা কমাতে সড়ক পরিবহন আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।
শনিবার, ০৭ মে ২০২২
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বেলা ১১টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গত দুই বছরের ঈদগুলো কেটেছে বিধি-নিষেধের মধ্যে। এবার করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঈদ উদযাপনে কোন ধরনের বিধি-নিষেধ ছিল না। করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনার মহামারী রয়েই গেছে। ঈদের ছুটির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অর্ধশতাধিক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। আহত হয়েছে কয়েকশ’। প্রতিদিন কম-বেশি ঘটেই চলছে সড়ক দুর্ঘটনা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে-পরের দুই সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৩২৩ জন। এবারের ঈদযাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। সড়ক-মহাসড়কে অতীতের মতো বিশৃঙ্খলা বা অব্যবস্থাপনা দেখা যায়নি। এর মধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে।
মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ না হওয়া, চালকদের বিরতিহীনভাবে একটানা যানবাহন চালানো, ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতি ইত্যাদি ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ৪৮ শতাংশই মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। যা গত বছর ছিল ৪৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতদের বড় অংশই কিশোর-তরুণ। শুধু ঈদযাত্রা নয়, সবসময়ই দেশের সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ এই মোটরসাইকেল। গত বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২ হাজার ২১৪ জন।
কেবল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা যদি নিয়ন্ত্রণ করা যেত তাহলে হতাহতের হার অনেকাংশে কমে যেত। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশোর-তরুণদের অনেকে নিয়ম না মেনে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালায়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। বেপরোয়া গতির পাশাপাশি মহাসড়কে কীভাবে চলতে হয় কিশোর-তরুণদের অনেকেই তা ভালোভাবে জানে না। তাছাড়া একটি মোটরসাইকেলে চালকের বাইরে সর্বোচ্চ একজন আরোহী তোলার নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। চালক ও আরোহীদের বেশিরভাগেরই হেলমেট থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে বৈধ লাইসেন্সও থাকে না চালকের।
ঈদযাত্রায় বা অন্য সময়ে মহাসড়কে দীর্ঘপথে মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোটরসাইকেলে দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া নিয়ন্ত্রণ করার উপায় খুঁজতে হবে। সার্বিকভাবে দুর্ঘটনা কমাতে সড়ক পরিবহন আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।