alt

সম্পাদকীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করুন

: রোববার, ০৮ মে ২০২২

দেশের ৫২ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্রও আশঙ্কাজনক। ৪২ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। ‘স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন ২০২১ : অন মাই মাইন্ড; প্রমোটিং, প্রটেকটিং অ্যান্ড কেয়ারিং ফর চিলড্রেনস মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ।

শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশের প্রশ্নে স্বাস্থ্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে কোন ঘাটতি থাকলে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরার মতো নানা অসুখে ভুগতে হতে পারে। রোগাক্রান্ত শিশু খর্বাকায় হতে পারে। মৌলিক পয়োনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। এক হিসাব অনুযায়ী স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশে বছরে ক্ষতি হয় ৪২০ কোটি ডলার, যা জিডিপির ৬ শতাংশেরও বেশি।

ইউনিসেফ বলছে, কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত হয়নি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে মানুষের মৌলিক ধারণা আছে ঠিকই, তবে এ সংক্রান্ত অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। যেমন দেশের অনেক মানুষ এখনো সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাসই আয়ত্ত করতে পারেনি। প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এ সমস্যার বাইরে নয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সুষ্ঠু পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। আর সেটা হতে হবে পূর্ণাঙ্গ আকারে। সব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শৌচাগার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার থাকা জরুরি। সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শুধু ধারণা থাকলেই চলবে না, এর অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পয়োনিষ্কাশন ও নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সরকার প্রকল্প নিয়েছে বলে জানা যায়। আমরা আশা করব, প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন হবে।

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

নার্স সংকট নিরসন করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ভাগাড় কেন

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করুন

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে পদক্ষেপ জরুরি

বাড়ছে ডায়রিয়া, সতর্ক থাকতে হবে

প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ আমলে নিন

মশারি জালের ব্যবহার বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

tab

সম্পাদকীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করুন

রোববার, ০৮ মে ২০২২

দেশের ৫২ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্রও আশঙ্কাজনক। ৪২ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। ‘স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন ২০২১ : অন মাই মাইন্ড; প্রমোটিং, প্রটেকটিং অ্যান্ড কেয়ারিং ফর চিলড্রেনস মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ।

শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশের প্রশ্নে স্বাস্থ্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে কোন ঘাটতি থাকলে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরার মতো নানা অসুখে ভুগতে হতে পারে। রোগাক্রান্ত শিশু খর্বাকায় হতে পারে। মৌলিক পয়োনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। এক হিসাব অনুযায়ী স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশে বছরে ক্ষতি হয় ৪২০ কোটি ডলার, যা জিডিপির ৬ শতাংশেরও বেশি।

ইউনিসেফ বলছে, কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত হয়নি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে মানুষের মৌলিক ধারণা আছে ঠিকই, তবে এ সংক্রান্ত অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। যেমন দেশের অনেক মানুষ এখনো সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাসই আয়ত্ত করতে পারেনি। প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এ সমস্যার বাইরে নয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সুষ্ঠু পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। আর সেটা হতে হবে পূর্ণাঙ্গ আকারে। সব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শৌচাগার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার থাকা জরুরি। সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শুধু ধারণা থাকলেই চলবে না, এর অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পয়োনিষ্কাশন ও নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সরকার প্রকল্প নিয়েছে বলে জানা যায়। আমরা আশা করব, প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন হবে।

back to top