দেশের ৫২ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্রও আশঙ্কাজনক। ৪২ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। ‘স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন ২০২১ : অন মাই মাইন্ড; প্রমোটিং, প্রটেকটিং অ্যান্ড কেয়ারিং ফর চিলড্রেনস মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ।
শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশের প্রশ্নে স্বাস্থ্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে কোন ঘাটতি থাকলে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরার মতো নানা অসুখে ভুগতে হতে পারে। রোগাক্রান্ত শিশু খর্বাকায় হতে পারে। মৌলিক পয়োনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। এক হিসাব অনুযায়ী স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশে বছরে ক্ষতি হয় ৪২০ কোটি ডলার, যা জিডিপির ৬ শতাংশেরও বেশি।
ইউনিসেফ বলছে, কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত হয়নি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে মানুষের মৌলিক ধারণা আছে ঠিকই, তবে এ সংক্রান্ত অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। যেমন দেশের অনেক মানুষ এখনো সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাসই আয়ত্ত করতে পারেনি। প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এ সমস্যার বাইরে নয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সুষ্ঠু পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। আর সেটা হতে হবে পূর্ণাঙ্গ আকারে। সব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শৌচাগার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার থাকা জরুরি। সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শুধু ধারণা থাকলেই চলবে না, এর অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পয়োনিষ্কাশন ও নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সরকার প্রকল্প নিয়েছে বলে জানা যায়। আমরা আশা করব, প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন হবে।
রোববার, ০৮ মে ২০২২
দেশের ৫২ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্রও আশঙ্কাজনক। ৪২ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মৌলিক পয়োনিষ্কাশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। ‘স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন ২০২১ : অন মাই মাইন্ড; প্রমোটিং, প্রটেকটিং অ্যান্ড কেয়ারিং ফর চিলড্রেনস মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ।
শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশের প্রশ্নে স্বাস্থ্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে কোন ঘাটতি থাকলে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরার মতো নানা অসুখে ভুগতে হতে পারে। রোগাক্রান্ত শিশু খর্বাকায় হতে পারে। মৌলিক পয়োনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। এক হিসাব অনুযায়ী স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশে বছরে ক্ষতি হয় ৪২০ কোটি ডলার, যা জিডিপির ৬ শতাংশেরও বেশি।
ইউনিসেফ বলছে, কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত হয়নি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে মানুষের মৌলিক ধারণা আছে ঠিকই, তবে এ সংক্রান্ত অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। যেমন দেশের অনেক মানুষ এখনো সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাসই আয়ত্ত করতে পারেনি। প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এ সমস্যার বাইরে নয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সুষ্ঠু পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। আর সেটা হতে হবে পূর্ণাঙ্গ আকারে। সব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শৌচাগার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার থাকা জরুরি। সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শুধু ধারণা থাকলেই চলবে না, এর অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পয়োনিষ্কাশন ও নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সরকার প্রকল্প নিয়েছে বলে জানা যায়। আমরা আশা করব, প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন হবে।