alt

সম্পাদকীয়

টিলা কাটা বন্ধ করুন

: সোমবার, ০৯ মে ২০২২

সিলেট নগরের হাওলদারপাড়া এলাকায় ‘মজুমদার টিলা’র অধিকাংশই কেটে সমতল করে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা এ টিলা কাটছে। শুধু মজুমদার টিলাই নয় নগরের ব্রাহ্মণশাসন এবং শহরতলির বালুচর, পীরেরবাজার, খাদিমনগর ও গোয়াবাড়ি এলাকায় ছয়টি টিলা কাটা চলছে। নগরের বাইরেও কয়েকটি উপজেলায় টিলা কাটার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এক্সকাভেটর দিয়ে এসব টিলা কেটে ট্রাক বা ঠেলাগাড়ি দিয়ে মাটি সরানো হচ্ছে। ফলে ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা, নিঃশেষ হচ্ছে বনাঞ্চল, হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন টিলা কাটা চললেও প্রশাসনিক কোন নজরদারি নেই; ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা।

অভিযোগ আছে, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে টিলা কাটারও। সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজে অন্তত তিনটি টিলা পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে আরও একটি টিলা। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, আবাসন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তো রয়েছেই।

সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়-টিলা কাটার এমন অভিযোগ নতুন নয়। বরং এগুলোর কিছুটা গণমাধ্যমের কল্যাণে জানা গেলেও বাকিটা অগোচরেই থেকে যায়। টিলা কাটার প্রভাবে সিলেটে ভূমিক্ষয় বাড়ছে। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।

প্রকৃতির গঠন ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সহজ কাজ নয়। টিলা কাটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যেসব টিলা এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে, সেসবের সুরক্ষা করতে হবে। দেশের পাহাড়-টিলা সুরক্ষায় আইন রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। আইন অমান্য করলে অপরাধ ভেদে কারাদ- বা অর্থদ- দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ আইনের প্রয়োগ খুব একটা চোখে পড়ে না।

উন্নয়নের কথা বলে পাহাড়-টিলা কাটা হয়, নির্বিচারে বন ধ্বংস করা হয়, খাল-জলাশয় ভরাট করা হয়, নদী দখল-দূষণ করা হয়। উন্নয়নের নামে এসব ধ্বংস করার একটা প্রবণতা দেশে চালু হয়েছে। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, উন্নয়নের জন্য সাত খুন মাফ। উন্নয়নের নামে যাচ্ছে তাই করা যায়, যেভাবে খুশি সেভাবেই প্রকৃতিকে বিনষ্ট করা যায়। আমরা বলতে চাই, উন্নয়ন করতে হবে প্রকৃতি রক্ষা করে। পাহাড়-টিলা-বন-খাল-জলাশয়-নদী ধ্বংস করে উন্নয়ন করা হলে তা টেকসই হবে না।

সিলেটের টিলা কাটার বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

টিলা কাটা বন্ধ করুন

সোমবার, ০৯ মে ২০২২

সিলেট নগরের হাওলদারপাড়া এলাকায় ‘মজুমদার টিলা’র অধিকাংশই কেটে সমতল করে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা এ টিলা কাটছে। শুধু মজুমদার টিলাই নয় নগরের ব্রাহ্মণশাসন এবং শহরতলির বালুচর, পীরেরবাজার, খাদিমনগর ও গোয়াবাড়ি এলাকায় ছয়টি টিলা কাটা চলছে। নগরের বাইরেও কয়েকটি উপজেলায় টিলা কাটার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এক্সকাভেটর দিয়ে এসব টিলা কেটে ট্রাক বা ঠেলাগাড়ি দিয়ে মাটি সরানো হচ্ছে। ফলে ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা, নিঃশেষ হচ্ছে বনাঞ্চল, হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন টিলা কাটা চললেও প্রশাসনিক কোন নজরদারি নেই; ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা।

অভিযোগ আছে, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে টিলা কাটারও। সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজে অন্তত তিনটি টিলা পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে আরও একটি টিলা। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, আবাসন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তো রয়েছেই।

সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়-টিলা কাটার এমন অভিযোগ নতুন নয়। বরং এগুলোর কিছুটা গণমাধ্যমের কল্যাণে জানা গেলেও বাকিটা অগোচরেই থেকে যায়। টিলা কাটার প্রভাবে সিলেটে ভূমিক্ষয় বাড়ছে। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।

প্রকৃতির গঠন ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সহজ কাজ নয়। টিলা কাটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যেসব টিলা এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে, সেসবের সুরক্ষা করতে হবে। দেশের পাহাড়-টিলা সুরক্ষায় আইন রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। আইন অমান্য করলে অপরাধ ভেদে কারাদ- বা অর্থদ- দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ আইনের প্রয়োগ খুব একটা চোখে পড়ে না।

উন্নয়নের কথা বলে পাহাড়-টিলা কাটা হয়, নির্বিচারে বন ধ্বংস করা হয়, খাল-জলাশয় ভরাট করা হয়, নদী দখল-দূষণ করা হয়। উন্নয়নের নামে এসব ধ্বংস করার একটা প্রবণতা দেশে চালু হয়েছে। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, উন্নয়নের জন্য সাত খুন মাফ। উন্নয়নের নামে যাচ্ছে তাই করা যায়, যেভাবে খুশি সেভাবেই প্রকৃতিকে বিনষ্ট করা যায়। আমরা বলতে চাই, উন্নয়ন করতে হবে প্রকৃতি রক্ষা করে। পাহাড়-টিলা-বন-খাল-জলাশয়-নদী ধ্বংস করে উন্নয়ন করা হলে তা টেকসই হবে না।

সিলেটের টিলা কাটার বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।

back to top