alt

সম্পাদকীয়

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে

: মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু করতে দেরি হয়েছে প্রায় দুই মাস। আর প্রাথমিকে পাইলটিং এখনো শুরুই হয়নি। সেটা আগামী আগস্টে শুরু হতে পারে।

মাধ্যমিক স্তরে পাইলটিং শুরু হলেও সেখানে বেশ কাটছাট করা হয়েছে। কথা ছিল একশ’ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটো শ্রেণীতে পাইলটিং শুরু হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমেছে। আর শ্রেণী কমে হয়েছে একটি। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মুখস্থ-নির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করা হলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন ঘটবে। বই ও পরীক্ষার সংখ্যা কমবে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে। শিক্ষাবিদরা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন যে, এর বাস্তবায়ন করা হবে চ্যালেঞ্জিং। নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সাল থেকেই। সেটা করা গেলে এ বছর তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তাবায়ন করা যেত। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে কার্যক্রম পিছিয়েছে।

তবে মহামারীর পরও কাজ কাক্সিক্ষত গতি পায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাজে সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। প্রতিটি কাজ হয়েছে ঢিমেতেতালে। সময়মতো বই ছাপা যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার কাজেও কালক্ষেপণ করা হয়েছে। এ জন্য এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজকে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু যাদের ওপর এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব তারা এই গুরুত্ব যথাযথভাবে উপলব্ধি করছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে আমরা দেখেছি, জাতীয় শিক্ষানীতি যথাযথবাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। সৃজনশীল পদ্ধতিও লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়নি বলে অনেকে মনে করেন। এখন নতুন শিক্ষাক্রমও একই পরিণতি বরণ করে কি না, সেটা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা দূর করে শক্ত হাতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ যদি কোন কারণে হোঁচট খায় তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারবে না।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে

মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু করতে দেরি হয়েছে প্রায় দুই মাস। আর প্রাথমিকে পাইলটিং এখনো শুরুই হয়নি। সেটা আগামী আগস্টে শুরু হতে পারে।

মাধ্যমিক স্তরে পাইলটিং শুরু হলেও সেখানে বেশ কাটছাট করা হয়েছে। কথা ছিল একশ’ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটো শ্রেণীতে পাইলটিং শুরু হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমেছে। আর শ্রেণী কমে হয়েছে একটি। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মুখস্থ-নির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করা হলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন ঘটবে। বই ও পরীক্ষার সংখ্যা কমবে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে। শিক্ষাবিদরা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন যে, এর বাস্তবায়ন করা হবে চ্যালেঞ্জিং। নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সাল থেকেই। সেটা করা গেলে এ বছর তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তাবায়ন করা যেত। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে কার্যক্রম পিছিয়েছে।

তবে মহামারীর পরও কাজ কাক্সিক্ষত গতি পায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাজে সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। প্রতিটি কাজ হয়েছে ঢিমেতেতালে। সময়মতো বই ছাপা যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার কাজেও কালক্ষেপণ করা হয়েছে। এ জন্য এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজকে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু যাদের ওপর এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব তারা এই গুরুত্ব যথাযথভাবে উপলব্ধি করছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে আমরা দেখেছি, জাতীয় শিক্ষানীতি যথাযথবাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। সৃজনশীল পদ্ধতিও লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়নি বলে অনেকে মনে করেন। এখন নতুন শিক্ষাক্রমও একই পরিণতি বরণ করে কি না, সেটা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা দূর করে শক্ত হাতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ যদি কোন কারণে হোঁচট খায় তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারবে না।

back to top