মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু করতে দেরি হয়েছে প্রায় দুই মাস। আর প্রাথমিকে পাইলটিং এখনো শুরুই হয়নি। সেটা আগামী আগস্টে শুরু হতে পারে।
মাধ্যমিক স্তরে পাইলটিং শুরু হলেও সেখানে বেশ কাটছাট করা হয়েছে। কথা ছিল একশ’ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটো শ্রেণীতে পাইলটিং শুরু হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমেছে। আর শ্রেণী কমে হয়েছে একটি। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মুখস্থ-নির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করা হলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন ঘটবে। বই ও পরীক্ষার সংখ্যা কমবে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে। শিক্ষাবিদরা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন যে, এর বাস্তবায়ন করা হবে চ্যালেঞ্জিং। নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সাল থেকেই। সেটা করা গেলে এ বছর তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তাবায়ন করা যেত। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে কার্যক্রম পিছিয়েছে।
তবে মহামারীর পরও কাজ কাক্সিক্ষত গতি পায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাজে সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। প্রতিটি কাজ হয়েছে ঢিমেতেতালে। সময়মতো বই ছাপা যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার কাজেও কালক্ষেপণ করা হয়েছে। এ জন্য এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজকে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু যাদের ওপর এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব তারা এই গুরুত্ব যথাযথভাবে উপলব্ধি করছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে আমরা দেখেছি, জাতীয় শিক্ষানীতি যথাযথবাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। সৃজনশীল পদ্ধতিও লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়নি বলে অনেকে মনে করেন। এখন নতুন শিক্ষাক্রমও একই পরিণতি বরণ করে কি না, সেটা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা দূর করে শক্ত হাতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ যদি কোন কারণে হোঁচট খায় তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারবে না।
মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু করতে দেরি হয়েছে প্রায় দুই মাস। আর প্রাথমিকে পাইলটিং এখনো শুরুই হয়নি। সেটা আগামী আগস্টে শুরু হতে পারে।
মাধ্যমিক স্তরে পাইলটিং শুরু হলেও সেখানে বেশ কাটছাট করা হয়েছে। কথা ছিল একশ’ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটো শ্রেণীতে পাইলটিং শুরু হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমেছে। আর শ্রেণী কমে হয়েছে একটি। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মুখস্থ-নির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করা হলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন ঘটবে। বই ও পরীক্ষার সংখ্যা কমবে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে। শিক্ষাবিদরা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন যে, এর বাস্তবায়ন করা হবে চ্যালেঞ্জিং। নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সাল থেকেই। সেটা করা গেলে এ বছর তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তাবায়ন করা যেত। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে কার্যক্রম পিছিয়েছে।
তবে মহামারীর পরও কাজ কাক্সিক্ষত গতি পায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাজে সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। প্রতিটি কাজ হয়েছে ঢিমেতেতালে। সময়মতো বই ছাপা যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার কাজেও কালক্ষেপণ করা হয়েছে। এ জন্য এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজকে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু যাদের ওপর এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব তারা এই গুরুত্ব যথাযথভাবে উপলব্ধি করছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে আমরা দেখেছি, জাতীয় শিক্ষানীতি যথাযথবাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। সৃজনশীল পদ্ধতিও লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়নি বলে অনেকে মনে করেন। এখন নতুন শিক্ষাক্রমও একই পরিণতি বরণ করে কি না, সেটা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা দূর করে শক্ত হাতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ যদি কোন কারণে হোঁচট খায় তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারবে না।