alt

সম্পাদকীয়

এমএলএম কোম্পানির নামে প্রতারণা

: মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

জি টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড নামের একটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহকের দশ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) সিআইডি গ্রেপ্তার করলেও তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনিসহ এ কোম্পানির নেপথ্যে যারা রয়েছেন তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এক সময় দেশে বহু এমএলএম কোম্পানি গড়ে উঠেছিল। যুবক, ডেসটিনি, ইউনিপেটুইউর মতো কোম্পানিগুলো ব্যবসার নামে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একপর্যায়ে সরকার ব্যবস্থা নেয়। গ্রেপ্তার করা হয় এমএলএম কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের। এরপর ধারণা করা হয়েছিল, এমএলএমের নামে প্রতারণা বন্ধ হয়ে যাবে।

কিন্তু এখনও কিছু প্রতিষ্ঠান চলেছে বহাল তবিয়তে।

অতীতের ঘটনাগুলোর যদি দ্রুত ও কঠোর বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যেত, তাহলে কোন কৌশলেই কেউ এমন প্রতারণা করার সাহস পেত না। ডেসটিনিসহ বিভিন্ন এমএলএম কোম্পানির হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে করা মামলাগুলোর এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। কবে নিষ্পত্তি হবে, তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে ঝুলে আছে এসব মামলা। বিচারহীনতার এ অপসংস্কৃতি বন্ধ করা না গেলে এমএলএম ব্যবসার প্রতারণা থেকে মানুষকে রক্ষা করা যাবে না।

আমরা জি টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ডসহ এমএলএম ব্যবসা পরিচালনাকারী সব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি। কোন প্রতিষ্ঠান কত টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। পূর্বের ঘটনাগুলো দ্রুত বিচার কাজ সম্পাদন করতে হবে।

পাশাপাশি জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। তাদের বুঝতে হবে অধিক মুনাফার লোভে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলে প্রতারিত হতে হবে। ভুল জায়গায় বিনিয়োগ করলে মুনাফা তো দূরের কথা মূল অর্থও ফেরত পাওয়া যাবে না।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

এমএলএম কোম্পানির নামে প্রতারণা

মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

জি টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড নামের একটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহকের দশ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) সিআইডি গ্রেপ্তার করলেও তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনিসহ এ কোম্পানির নেপথ্যে যারা রয়েছেন তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এক সময় দেশে বহু এমএলএম কোম্পানি গড়ে উঠেছিল। যুবক, ডেসটিনি, ইউনিপেটুইউর মতো কোম্পানিগুলো ব্যবসার নামে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একপর্যায়ে সরকার ব্যবস্থা নেয়। গ্রেপ্তার করা হয় এমএলএম কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের। এরপর ধারণা করা হয়েছিল, এমএলএমের নামে প্রতারণা বন্ধ হয়ে যাবে।

কিন্তু এখনও কিছু প্রতিষ্ঠান চলেছে বহাল তবিয়তে।

অতীতের ঘটনাগুলোর যদি দ্রুত ও কঠোর বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যেত, তাহলে কোন কৌশলেই কেউ এমন প্রতারণা করার সাহস পেত না। ডেসটিনিসহ বিভিন্ন এমএলএম কোম্পানির হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে করা মামলাগুলোর এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। কবে নিষ্পত্তি হবে, তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে ঝুলে আছে এসব মামলা। বিচারহীনতার এ অপসংস্কৃতি বন্ধ করা না গেলে এমএলএম ব্যবসার প্রতারণা থেকে মানুষকে রক্ষা করা যাবে না।

আমরা জি টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ডসহ এমএলএম ব্যবসা পরিচালনাকারী সব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি। কোন প্রতিষ্ঠান কত টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। পূর্বের ঘটনাগুলো দ্রুত বিচার কাজ সম্পাদন করতে হবে।

পাশাপাশি জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। তাদের বুঝতে হবে অধিক মুনাফার লোভে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলে প্রতারিত হতে হবে। ভুল জায়গায় বিনিয়োগ করলে মুনাফা তো দূরের কথা মূল অর্থও ফেরত পাওয়া যাবে না।

back to top