ফেনীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল ছাড়া কোনো সেবা মেলে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে দালাল চক্রকে ঘিরে কোটি কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দালাল চক্রের কারণে সেবাগ্রহীতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, পোহাতে হচ্ছে নানান ভোগান্তি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। কখনো কখনো অভিযান চালিয়ে দালালদের গ্রেপ্তারও করা হয়। তবে তাতে কোনই সমাধান মেলে না।
কেবল ফেনী নয়, দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও দালালদের দৌরাত্ম্য দেখা যায়। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়েই তারা নির্বিঘ্নে অপকর্ম করে। কালেভদ্রে অভিযান চালিয়ে দু-চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও দালালদের সংখ্যা দু-চারজনে সীমিত নয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তাদের কী সাজা হয়- সেটাই একটা প্রশ্ন।
অভিযোগ আছে দালাল চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ মেলে। পাসপোর্ট অফিসের সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে দালালরা যে অর্থ আদায় করে তার একটি অংশ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পায়। যে কারণে দালাল চক্র বহাল তবিয়তেই থাকে। সব আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে রীতিমতো দোকান খুলে তারা দালালি করে। এ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠলে, গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর আবার দালালচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে।
আমরা দালালমুক্ত পাসপোর্ট অফিস দেখতে চাই। সেবাগ্রহীতারা নির্বিঘ্নে পাসপোর্ট পাচ্ছে সেটাই কাম্য। ফেনীসহ সব এলাকার পাসপোর্ট অফিসের দালালদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের যারা নানানভাবে মদদ দেয় বা তাদের কাছ থেকে মাসোহারা নেয় সেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। শর্ষের ভূত না তাড়ালে টেকসই সমাধান মিলবে না।
অভিযোগ আছে দালালচক্রের সঙ্গে জড়িতরা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের আশীর্বাদপুষ্ট। যে কারণে অনেক সময় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। দালালদের যেন রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া না হয়- সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
ফেনীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল ছাড়া কোনো সেবা মেলে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে দালাল চক্রকে ঘিরে কোটি কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দালাল চক্রের কারণে সেবাগ্রহীতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, পোহাতে হচ্ছে নানান ভোগান্তি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। কখনো কখনো অভিযান চালিয়ে দালালদের গ্রেপ্তারও করা হয়। তবে তাতে কোনই সমাধান মেলে না।
কেবল ফেনী নয়, দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও দালালদের দৌরাত্ম্য দেখা যায়। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়েই তারা নির্বিঘ্নে অপকর্ম করে। কালেভদ্রে অভিযান চালিয়ে দু-চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও দালালদের সংখ্যা দু-চারজনে সীমিত নয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তাদের কী সাজা হয়- সেটাই একটা প্রশ্ন।
অভিযোগ আছে দালাল চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ মেলে। পাসপোর্ট অফিসের সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে দালালরা যে অর্থ আদায় করে তার একটি অংশ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পায়। যে কারণে দালাল চক্র বহাল তবিয়তেই থাকে। সব আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে রীতিমতো দোকান খুলে তারা দালালি করে। এ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠলে, গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর আবার দালালচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে।
আমরা দালালমুক্ত পাসপোর্ট অফিস দেখতে চাই। সেবাগ্রহীতারা নির্বিঘ্নে পাসপোর্ট পাচ্ছে সেটাই কাম্য। ফেনীসহ সব এলাকার পাসপোর্ট অফিসের দালালদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের যারা নানানভাবে মদদ দেয় বা তাদের কাছ থেকে মাসোহারা নেয় সেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। শর্ষের ভূত না তাড়ালে টেকসই সমাধান মিলবে না।
অভিযোগ আছে দালালচক্রের সঙ্গে জড়িতরা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের আশীর্বাদপুষ্ট। যে কারণে অনেক সময় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। দালালদের যেন রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া না হয়- সেটা নিশ্চিত করতে হবে।