alt

সম্পাদকীয়

নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ১৪ মে ২০২২

কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় পাহাড় কেটে ভূমিদস্যুরা প্লট তৈরি করছে বলে জানা গেছে। গত দুই মাস ধরে প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে এসব পাহাড়। সম্প্রতি কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালিয়ে পাহাড় কেটে তৈরি করা প্লটে কয়েকটি ঘর উচ্ছেদ করেছেন। এর বাইরে শহরের লারপাড়া ইসলামাবাদ এলাকায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দিন-দুপুরে জনসম্মুখে পাহাড় কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বললেই চলে। শুধু গণমাধ্যমে কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেই তারা মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও। উচ্চ আদালতের নিদের্শনা অমান্য করে তারা বহুতল আবাসিক নির্মাণ করছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে নিঃশেষ হচ্ছে হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। আসছে বর্ষা মৌসুমেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অতীতে পাহাড় ধসে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নির্বিচার পাহাড় কাটা এখনই বন্ধ করতে হবে। নিয়ম-নীতি বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা পাহাড় কাটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই তাদের অভিযান চলছে। কিন্তু জনবল সংকটে পাহাড় কাটা পুরোপুরি রোধ করতে পারছেন না। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিনিয়তই যদি অভিযান চালানো হয় তাহলে এভাবে পাহাড় কাটা চলছে কীভাবে। তারা লোকবল সংকট ও সক্ষমতার ঘাটতির কথা বলে। সরকার কেন সক্ষমতার ঘাটতি দূর করে না, সেটা বোধগম্য নয়। অথচ সরকার নদ-নদী, টিলা-পাহাড়, বন-বাদাড় রক্ষা করার কথা বলছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের এখন যে লোকবল এবং যতটুক সক্ষমতা আছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা আমরা জানতে চাই। সীমাবদ্ধতা থাকলেও তাদের লোকবল আছে, সক্ষমতা আছে, তাদের পক্ষে আইন রয়েছে। এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ১৪ মে ২০২২

কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় পাহাড় কেটে ভূমিদস্যুরা প্লট তৈরি করছে বলে জানা গেছে। গত দুই মাস ধরে প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে এসব পাহাড়। সম্প্রতি কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালিয়ে পাহাড় কেটে তৈরি করা প্লটে কয়েকটি ঘর উচ্ছেদ করেছেন। এর বাইরে শহরের লারপাড়া ইসলামাবাদ এলাকায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দিন-দুপুরে জনসম্মুখে পাহাড় কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বললেই চলে। শুধু গণমাধ্যমে কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেই তারা মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও। উচ্চ আদালতের নিদের্শনা অমান্য করে তারা বহুতল আবাসিক নির্মাণ করছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে নিঃশেষ হচ্ছে হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। আসছে বর্ষা মৌসুমেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অতীতে পাহাড় ধসে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নির্বিচার পাহাড় কাটা এখনই বন্ধ করতে হবে। নিয়ম-নীতি বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা পাহাড় কাটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই তাদের অভিযান চলছে। কিন্তু জনবল সংকটে পাহাড় কাটা পুরোপুরি রোধ করতে পারছেন না। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিনিয়তই যদি অভিযান চালানো হয় তাহলে এভাবে পাহাড় কাটা চলছে কীভাবে। তারা লোকবল সংকট ও সক্ষমতার ঘাটতির কথা বলে। সরকার কেন সক্ষমতার ঘাটতি দূর করে না, সেটা বোধগম্য নয়। অথচ সরকার নদ-নদী, টিলা-পাহাড়, বন-বাদাড় রক্ষা করার কথা বলছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের এখন যে লোকবল এবং যতটুক সক্ষমতা আছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা আমরা জানতে চাই। সীমাবদ্ধতা থাকলেও তাদের লোকবল আছে, সক্ষমতা আছে, তাদের পক্ষে আইন রয়েছে। এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক।

back to top