কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় পাহাড় কেটে ভূমিদস্যুরা প্লট তৈরি করছে বলে জানা গেছে। গত দুই মাস ধরে প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে এসব পাহাড়। সম্প্রতি কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালিয়ে পাহাড় কেটে তৈরি করা প্লটে কয়েকটি ঘর উচ্ছেদ করেছেন। এর বাইরে শহরের লারপাড়া ইসলামাবাদ এলাকায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিন-দুপুরে জনসম্মুখে পাহাড় কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বললেই চলে। শুধু গণমাধ্যমে কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেই তারা মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও। উচ্চ আদালতের নিদের্শনা অমান্য করে তারা বহুতল আবাসিক নির্মাণ করছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে নিঃশেষ হচ্ছে হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। আসছে বর্ষা মৌসুমেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অতীতে পাহাড় ধসে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নির্বিচার পাহাড় কাটা এখনই বন্ধ করতে হবে। নিয়ম-নীতি বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা পাহাড় কাটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই তাদের অভিযান চলছে। কিন্তু জনবল সংকটে পাহাড় কাটা পুরোপুরি রোধ করতে পারছেন না। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিনিয়তই যদি অভিযান চালানো হয় তাহলে এভাবে পাহাড় কাটা চলছে কীভাবে। তারা লোকবল সংকট ও সক্ষমতার ঘাটতির কথা বলে। সরকার কেন সক্ষমতার ঘাটতি দূর করে না, সেটা বোধগম্য নয়। অথচ সরকার নদ-নদী, টিলা-পাহাড়, বন-বাদাড় রক্ষা করার কথা বলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এখন যে লোকবল এবং যতটুক সক্ষমতা আছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা আমরা জানতে চাই। সীমাবদ্ধতা থাকলেও তাদের লোকবল আছে, সক্ষমতা আছে, তাদের পক্ষে আইন রয়েছে। এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক।
শনিবার, ১৪ মে ২০২২
কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় পাহাড় কেটে ভূমিদস্যুরা প্লট তৈরি করছে বলে জানা গেছে। গত দুই মাস ধরে প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে এসব পাহাড়। সম্প্রতি কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালিয়ে পাহাড় কেটে তৈরি করা প্লটে কয়েকটি ঘর উচ্ছেদ করেছেন। এর বাইরে শহরের লারপাড়া ইসলামাবাদ এলাকায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিন-দুপুরে জনসম্মুখে পাহাড় কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বললেই চলে। শুধু গণমাধ্যমে কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেই তারা মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও। উচ্চ আদালতের নিদের্শনা অমান্য করে তারা বহুতল আবাসিক নির্মাণ করছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে নিঃশেষ হচ্ছে হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। আসছে বর্ষা মৌসুমেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অতীতে পাহাড় ধসে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নির্বিচার পাহাড় কাটা এখনই বন্ধ করতে হবে। নিয়ম-নীতি বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা পাহাড় কাটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই তাদের অভিযান চলছে। কিন্তু জনবল সংকটে পাহাড় কাটা পুরোপুরি রোধ করতে পারছেন না। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিনিয়তই যদি অভিযান চালানো হয় তাহলে এভাবে পাহাড় কাটা চলছে কীভাবে। তারা লোকবল সংকট ও সক্ষমতার ঘাটতির কথা বলে। সরকার কেন সক্ষমতার ঘাটতি দূর করে না, সেটা বোধগম্য নয়। অথচ সরকার নদ-নদী, টিলা-পাহাড়, বন-বাদাড় রক্ষা করার কথা বলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এখন যে লোকবল এবং যতটুক সক্ষমতা আছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা আমরা জানতে চাই। সীমাবদ্ধতা থাকলেও তাদের লোকবল আছে, সক্ষমতা আছে, তাদের পক্ষে আইন রয়েছে। এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক।