বর্ষা মৌসুম শুরু হয়নি। এখনই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাজধানীর কোন কোন এলাকা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি বাড়লে জলাবদ্ধতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়কই তলিয়ে যায়। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়, সড়কে গাড়ি বিগড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক স্থাপনাতেও পানি ঢুকে পড়ে।
নগরায়ণের কারণে রাজধানীতে পানির প্রবাহ মাটির নিচে যেতে পারছে না। এখানে বৃষ্টির পানি যাচ্ছে নর্দমা ও প্রাকৃতিক খালের মধ্যে। কিন্তু রাজধানীর বেশির ভাগ খাল দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোও দখল হয়ে যাচ্ছে। যে পরিমাণ জলাশয় থাকা জরুরি তা রাজধানী ঢাকায় নেই। ড্যাপের পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে জলাশয় রাখা যায়নি। একটি পরিকল্পিত নগরের ৩০-৩৫ শতাংশ উন্মুক্ত স্থান, সবুজ এলাকা ও জলাধার থাকে। ঢাকা শহরের তা নেই, যতটুকু আছে, তাও বছর বছর কমেছে।
একসময় রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। তাদের ব্যর্থতার কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর তারা দায়িত্ব পেলেও জলাবদ্ধতা দূর হয়নি। অবশ্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। রাজধানীর জলাবদ্ধতা মোকবিলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি ১৩৬ ও উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২টি স্পট চিহ্নিত করেছে। এসব স্থান সংস্কার করার স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আমরা বলতে চাই, পরিকল্পনা করাই যথেষ্ট নয়, এর বাস্ততায়ন জরুরি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তরিক হলে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। রাজধানীর খাল সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে ইত্যাদি আগে থেকেই ঠিক করতে হবে।
বর্ষা আসার আগে সংস্কার করা হলে খালের গভীরতা বাড়ানো সহজ হবে। অপসারিত বর্জ্য খালের তীরেই যেন ফেলে রাখা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের পথগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। এবার যেন বৃষ্টিতে রাজধানী ডুবে না যায়, নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে না হয় সেটাই আমাদের চাওয়া।
রোববার, ১৫ মে ২০২২
বর্ষা মৌসুম শুরু হয়নি। এখনই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাজধানীর কোন কোন এলাকা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি বাড়লে জলাবদ্ধতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়কই তলিয়ে যায়। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়, সড়কে গাড়ি বিগড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক স্থাপনাতেও পানি ঢুকে পড়ে।
নগরায়ণের কারণে রাজধানীতে পানির প্রবাহ মাটির নিচে যেতে পারছে না। এখানে বৃষ্টির পানি যাচ্ছে নর্দমা ও প্রাকৃতিক খালের মধ্যে। কিন্তু রাজধানীর বেশির ভাগ খাল দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোও দখল হয়ে যাচ্ছে। যে পরিমাণ জলাশয় থাকা জরুরি তা রাজধানী ঢাকায় নেই। ড্যাপের পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে জলাশয় রাখা যায়নি। একটি পরিকল্পিত নগরের ৩০-৩৫ শতাংশ উন্মুক্ত স্থান, সবুজ এলাকা ও জলাধার থাকে। ঢাকা শহরের তা নেই, যতটুকু আছে, তাও বছর বছর কমেছে।
একসময় রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। তাদের ব্যর্থতার কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর তারা দায়িত্ব পেলেও জলাবদ্ধতা দূর হয়নি। অবশ্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। রাজধানীর জলাবদ্ধতা মোকবিলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি ১৩৬ ও উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২টি স্পট চিহ্নিত করেছে। এসব স্থান সংস্কার করার স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আমরা বলতে চাই, পরিকল্পনা করাই যথেষ্ট নয়, এর বাস্ততায়ন জরুরি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তরিক হলে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। রাজধানীর খাল সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে ইত্যাদি আগে থেকেই ঠিক করতে হবে।
বর্ষা আসার আগে সংস্কার করা হলে খালের গভীরতা বাড়ানো সহজ হবে। অপসারিত বর্জ্য খালের তীরেই যেন ফেলে রাখা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের পথগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। এবার যেন বৃষ্টিতে রাজধানী ডুবে না যায়, নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে না হয় সেটাই আমাদের চাওয়া।