আগাম বন্যা সত্ত্বেও হাওরে বোরোর ফলন নিয়ে আশাবাদী কৃষি মন্ত্রণালয়। তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই মৌসুমে ২ কোটি ৭ লাখ টনেরও বেশি বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬২ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে। দেশের মোট চালের ৫৫ শতাংশই আসে বোরো থেকে। যে কারণে এর ফলন ভালো হলে সাধারণত চালের দাম বাড়ে না। কিন্তু এ বছর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।
পাইকারি বাজারে চালভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। বাড়তি দরে চাল কেনার আগেই খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা এর দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা বেশি নেয়া শুরু করেছেন। বাড়তি দরের চাল পাইকারি বাজার থেকে পুরোদমে খুচরা পর্যায়ে এলে এর দর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে চালের দাম বাড়ুক সেটা সরকার চায় না। কারণ সামনে নির্বাচন। নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ সেটা প্রকাশ্যেই বলেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি গুদামে যথেষ্ট চালের মজুত রয়েছে। তাহলে চালের দাম বাড়ছে কেন?
গমের বাজার হঠাৎ করে অস্থির হয়ে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আগেই সংকট তৈরি হয়েছিল। ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করায় সেই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। গমের ওপর নির্ভরতা কমাতে চালের চাহিদা আগামীতে বাড়তে পারে। তবে এখনই এর প্রভাব পড়ার কথা নয়, চালের দামও বাড়ার কথা নয়।
দেশে একটি প্রবণতা দেখা যায় যে, কোন পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে বা সরবরাহ কমতে পারে-এমন পরিস্থিতি আঁচ করতে পারার সঙ্গে সঙ্গে তার দাম বাড়তে থাকে। পণ্যের সরবরাহে যখন টান পড়ে তখন দাম আরও বেড়ে যায়। এর জন্য একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর কারসাজিকে দায়ী করা হয়। দেশে এখন তেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছে। দোকানে এর দেখা না মিললেও গুদামে এর কমতি নেই।
চালের ভরা মৌসুমে মানুষ যখন একটু স্বস্তির আশা করছে, তখন এর দাম বাড়ার দুঃসংবাদ শুনতে হলো। এই দাম বৃদ্ধিও নতুন কোন কারসাজি কিনা সেটা মানুষ জানতে চায়।
মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
আগাম বন্যা সত্ত্বেও হাওরে বোরোর ফলন নিয়ে আশাবাদী কৃষি মন্ত্রণালয়। তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই মৌসুমে ২ কোটি ৭ লাখ টনেরও বেশি বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬২ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে। দেশের মোট চালের ৫৫ শতাংশই আসে বোরো থেকে। যে কারণে এর ফলন ভালো হলে সাধারণত চালের দাম বাড়ে না। কিন্তু এ বছর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।
পাইকারি বাজারে চালভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। বাড়তি দরে চাল কেনার আগেই খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা এর দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা বেশি নেয়া শুরু করেছেন। বাড়তি দরের চাল পাইকারি বাজার থেকে পুরোদমে খুচরা পর্যায়ে এলে এর দর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে চালের দাম বাড়ুক সেটা সরকার চায় না। কারণ সামনে নির্বাচন। নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ সেটা প্রকাশ্যেই বলেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি গুদামে যথেষ্ট চালের মজুত রয়েছে। তাহলে চালের দাম বাড়ছে কেন?
গমের বাজার হঠাৎ করে অস্থির হয়ে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আগেই সংকট তৈরি হয়েছিল। ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করায় সেই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। গমের ওপর নির্ভরতা কমাতে চালের চাহিদা আগামীতে বাড়তে পারে। তবে এখনই এর প্রভাব পড়ার কথা নয়, চালের দামও বাড়ার কথা নয়।
দেশে একটি প্রবণতা দেখা যায় যে, কোন পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে বা সরবরাহ কমতে পারে-এমন পরিস্থিতি আঁচ করতে পারার সঙ্গে সঙ্গে তার দাম বাড়তে থাকে। পণ্যের সরবরাহে যখন টান পড়ে তখন দাম আরও বেড়ে যায়। এর জন্য একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর কারসাজিকে দায়ী করা হয়। দেশে এখন তেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছে। দোকানে এর দেখা না মিললেও গুদামে এর কমতি নেই।
চালের ভরা মৌসুমে মানুষ যখন একটু স্বস্তির আশা করছে, তখন এর দাম বাড়ার দুঃসংবাদ শুনতে হলো। এই দাম বৃদ্ধিও নতুন কোন কারসাজি কিনা সেটা মানুষ জানতে চায়।