alt

সম্পাদকীয়

প্রান্তিক নারীদের ডিজিটাল সেবা প্রসঙ্গে

: মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

গ্রামের অসহায়, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত কিংবা কম সুবিধাপ্রাপ্ত নারীর তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং তথ্যপ্রযুক্তির সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘তথ্য আপা : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২০১১-১৫ সাল পর্যন্ত দেশের ১৩টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়। তখন এ নিয়ে নানা অসন্তষ্টি ছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৭ সালে শুরু করা হয়, চলবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় হাজারেরও বেশি লোকবল নিয়ে ৪৯২টি উপজেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ‘তথ্য আপা’ গ্রামে ঘরে ঘরে নারীদের কাছে যাচ্ছেন, তাদের নানা সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছেন। ডিজিটাল দেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তথ্য আপারা।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ প্রকল্পের সুফলও মিলছে। অনেক নারী তথ্য আপাদের বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ছাত্রীরা বিনা মূল্যে অনলাইনে চাকরির আবেদন করতে পারছেন। শুধু তাই নয়, তাদের পরমর্শ নিয়ে অনেক নারী নানা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। সরকারি নানান প্রকল্পের খবর, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ছাড়াও বিনা মূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষাসহ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।

কিন্তু দেশের কোন কোন এলাকার নারীরা নিরবিচ্ছিনভাবে এ সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এ প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার প্রান্তিক নারীরা। সেখানে তথ্য আপাদের ‘তথ্য’ জানেন না অনেকেই। জনবল সংকট, প্রচার ও প্রচারণার অভাব, নারীদের সচেতনতার অভাবসহ নানা কারণে এই সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রান্তিক নারীদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ঘটানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সেবা নিশ্চিত করা জরুরি। বাস্তবতা হচ্ছে গ্রাম তো বটেই, শহরেরই অনেকের ডিজিটাল ডিভাইস যেমন ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন ইত্যাদি নেই। দেশের সব জায়গায় এখনো ইন্টারনেট সুবিধা নেই। আবার সুবিধা থাকলেও আর্থিক অসংগতির কারণে অনেকেই তা ব্যবহার করতে পারে না।

সে ক্ষেত্রে এই ধরনের সেবা নিশ্চিত করা গেলে প্রান্তিক নারীরা উপকৃতই হওয়ার কথা। তাই তথ্যপ্রযুক্তির এ ধরনের সেবা নিরবিচ্ছন্ন হওয়া জরুরি। কিন্তু শেরপুর উপজেলার প্রান্তিক নারীরা সে ধরনের নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছে না। সংবাদ-এর প্রতিবেদনে জনবল সংকটসহ আরও যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে সেগুলো আমলে নিতে হবে। এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন ও সমাজে নারীদের স্বাবলম্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

প্রান্তিক নারীদের ডিজিটাল সেবা প্রসঙ্গে

মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

গ্রামের অসহায়, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত কিংবা কম সুবিধাপ্রাপ্ত নারীর তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং তথ্যপ্রযুক্তির সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘তথ্য আপা : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২০১১-১৫ সাল পর্যন্ত দেশের ১৩টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়। তখন এ নিয়ে নানা অসন্তষ্টি ছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৭ সালে শুরু করা হয়, চলবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় হাজারেরও বেশি লোকবল নিয়ে ৪৯২টি উপজেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ‘তথ্য আপা’ গ্রামে ঘরে ঘরে নারীদের কাছে যাচ্ছেন, তাদের নানা সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছেন। ডিজিটাল দেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তথ্য আপারা।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ প্রকল্পের সুফলও মিলছে। অনেক নারী তথ্য আপাদের বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ছাত্রীরা বিনা মূল্যে অনলাইনে চাকরির আবেদন করতে পারছেন। শুধু তাই নয়, তাদের পরমর্শ নিয়ে অনেক নারী নানা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। সরকারি নানান প্রকল্পের খবর, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ছাড়াও বিনা মূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষাসহ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।

কিন্তু দেশের কোন কোন এলাকার নারীরা নিরবিচ্ছিনভাবে এ সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এ প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার প্রান্তিক নারীরা। সেখানে তথ্য আপাদের ‘তথ্য’ জানেন না অনেকেই। জনবল সংকট, প্রচার ও প্রচারণার অভাব, নারীদের সচেতনতার অভাবসহ নানা কারণে এই সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রান্তিক নারীদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ঘটানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সেবা নিশ্চিত করা জরুরি। বাস্তবতা হচ্ছে গ্রাম তো বটেই, শহরেরই অনেকের ডিজিটাল ডিভাইস যেমন ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন ইত্যাদি নেই। দেশের সব জায়গায় এখনো ইন্টারনেট সুবিধা নেই। আবার সুবিধা থাকলেও আর্থিক অসংগতির কারণে অনেকেই তা ব্যবহার করতে পারে না।

সে ক্ষেত্রে এই ধরনের সেবা নিশ্চিত করা গেলে প্রান্তিক নারীরা উপকৃতই হওয়ার কথা। তাই তথ্যপ্রযুক্তির এ ধরনের সেবা নিরবিচ্ছন্ন হওয়া জরুরি। কিন্তু শেরপুর উপজেলার প্রান্তিক নারীরা সে ধরনের নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছে না। সংবাদ-এর প্রতিবেদনে জনবল সংকটসহ আরও যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে সেগুলো আমলে নিতে হবে। এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন ও সমাজে নারীদের স্বাবলম্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

back to top