সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলাটির কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তারা বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে ভুগছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। বন্যার কারণে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কৃষক ফসল হারিয়েছে, গবাদিপশু নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছে। অনেক খামারির পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানি নেমে গেল হয়তো প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
বন্যা এলে তার সঙ্গে কিছু অসুখেরও প্রাদুর্ভাব ঘটে। মূলত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ার মতো সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এজন্য বন্যাদুর্গত এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা জরুরি। পানি বিশুদ্ধ করার ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। বন্যাজনিত রোগ দেখা দিলে ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে ত্রাণ দেয়া শুরু করেছে। এই কাজে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় গবাদি পশুগুলোকে ভুললে চলবে না। তাদের খাবারের সংস্থান করা দরকার।
যেসব কৃষক ফসল হারিয়েছেন তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া যায় কীভাবে সেটা এখনই ভাবতে হবে। হতদরিদ্র অনেক মানুষের বাড়িঘর বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বন্যা মোকাবিলায় কৌশলী পদক্ষেপ নিতে হবে। অতি বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলকে প্রতিরোধ করা হয়তো সম্ভব না। তবে নদীগুলোকে প্রস্তুত করা যায়। কার্যকরভাবে বন্যা মোকাবিলা করতে হলে দেশের নদ-নদীর গভীরতা বাড়াতে হবে। পলি জমে অনেক নদ-নদীরই গভীরতা কমে গেছে। নদী খননের কাজ কিছু হচ্ছে তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই। নদী দখল-দূষণ বন্ধ করাও জরুরি।
বুধবার, ১৮ মে ২০২২
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলাটির কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তারা বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে ভুগছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। বন্যার কারণে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কৃষক ফসল হারিয়েছে, গবাদিপশু নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছে। অনেক খামারির পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানি নেমে গেল হয়তো প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
বন্যা এলে তার সঙ্গে কিছু অসুখেরও প্রাদুর্ভাব ঘটে। মূলত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ার মতো সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এজন্য বন্যাদুর্গত এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা জরুরি। পানি বিশুদ্ধ করার ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। বন্যাজনিত রোগ দেখা দিলে ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে ত্রাণ দেয়া শুরু করেছে। এই কাজে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় গবাদি পশুগুলোকে ভুললে চলবে না। তাদের খাবারের সংস্থান করা দরকার।
যেসব কৃষক ফসল হারিয়েছেন তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া যায় কীভাবে সেটা এখনই ভাবতে হবে। হতদরিদ্র অনেক মানুষের বাড়িঘর বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বন্যা মোকাবিলায় কৌশলী পদক্ষেপ নিতে হবে। অতি বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলকে প্রতিরোধ করা হয়তো সম্ভব না। তবে নদীগুলোকে প্রস্তুত করা যায়। কার্যকরভাবে বন্যা মোকাবিলা করতে হলে দেশের নদ-নদীর গভীরতা বাড়াতে হবে। পলি জমে অনেক নদ-নদীরই গভীরতা কমে গেছে। নদী খননের কাজ কিছু হচ্ছে তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই। নদী দখল-দূষণ বন্ধ করাও জরুরি।