alt

সম্পাদকীয়

সিলেটে বন্যা : দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

: বুধবার, ১৮ মে ২০২২

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলাটির কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তারা বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে ভুগছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। বন্যার কারণে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কৃষক ফসল হারিয়েছে, গবাদিপশু নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছে। অনেক খামারির পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানি নেমে গেল হয়তো প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

বন্যা এলে তার সঙ্গে কিছু অসুখেরও প্রাদুর্ভাব ঘটে। মূলত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ার মতো সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এজন্য বন্যাদুর্গত এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা জরুরি। পানি বিশুদ্ধ করার ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। বন্যাজনিত রোগ দেখা দিলে ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে ত্রাণ দেয়া শুরু করেছে। এই কাজে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় গবাদি পশুগুলোকে ভুললে চলবে না। তাদের খাবারের সংস্থান করা দরকার।

যেসব কৃষক ফসল হারিয়েছেন তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া যায় কীভাবে সেটা এখনই ভাবতে হবে। হতদরিদ্র অনেক মানুষের বাড়িঘর বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বন্যা মোকাবিলায় কৌশলী পদক্ষেপ নিতে হবে। অতি বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলকে প্রতিরোধ করা হয়তো সম্ভব না। তবে নদীগুলোকে প্রস্তুত করা যায়। কার্যকরভাবে বন্যা মোকাবিলা করতে হলে দেশের নদ-নদীর গভীরতা বাড়াতে হবে। পলি জমে অনেক নদ-নদীরই গভীরতা কমে গেছে। নদী খননের কাজ কিছু হচ্ছে তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই। নদী দখল-দূষণ বন্ধ করাও জরুরি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

সিলেটে বন্যা : দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

বুধবার, ১৮ মে ২০২২

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলাটির কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তারা বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে ভুগছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। বন্যার কারণে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কৃষক ফসল হারিয়েছে, গবাদিপশু নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছে। অনেক খামারির পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানি নেমে গেল হয়তো প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

বন্যা এলে তার সঙ্গে কিছু অসুখেরও প্রাদুর্ভাব ঘটে। মূলত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ার মতো সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এজন্য বন্যাদুর্গত এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা জরুরি। পানি বিশুদ্ধ করার ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। বন্যাজনিত রোগ দেখা দিলে ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে ত্রাণ দেয়া শুরু করেছে। এই কাজে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় গবাদি পশুগুলোকে ভুললে চলবে না। তাদের খাবারের সংস্থান করা দরকার।

যেসব কৃষক ফসল হারিয়েছেন তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া যায় কীভাবে সেটা এখনই ভাবতে হবে। হতদরিদ্র অনেক মানুষের বাড়িঘর বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বন্যা মোকাবিলায় কৌশলী পদক্ষেপ নিতে হবে। অতি বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলকে প্রতিরোধ করা হয়তো সম্ভব না। তবে নদীগুলোকে প্রস্তুত করা যায়। কার্যকরভাবে বন্যা মোকাবিলা করতে হলে দেশের নদ-নদীর গভীরতা বাড়াতে হবে। পলি জমে অনেক নদ-নদীরই গভীরতা কমে গেছে। নদী খননের কাজ কিছু হচ্ছে তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই। নদী দখল-দূষণ বন্ধ করাও জরুরি।

back to top