একে তো বন্যার পানি, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। এই দুয়ে ডুবে আছে সিলেট নগরী। ভুক্তভোগীরা বলছেন, গত প্রায় তিন যুগের মধ্যে এবারই সিলেট নগরীতে বেশি পানি দেখা গেছে।
জলাবদ্ধতা সিলেট নগরীর নতুন সমস্যা নয়। ভারি বৃষ্টি হলে প্রায়ই সেখানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির পানিতে নগর যেন ডুবে না থাকে, নাগরিকদের যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট নগর কর্তৃপক্ষ কাজও করছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, গত ১০ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচশ’ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে।
শত শত কোটি টাকা খরচ করেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না কেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের করের টাকায় যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো ছিল অপরিকল্পিত। বিশেষজ্ঞরা এমনই মনে করছেন। অপরিকল্পিত কাজের কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যা কমার পরিবর্তে উলটো বেড়ে গেছে। যেমন কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সেখানে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এরই কুফল আজ সিলেট নগরের বাসিন্দাদের ভোগ করতে হচ্ছে।
সিলেটও অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ছড়া দখল বা ভরাট করে নানা স্থাপনা নির্মাণের শিকার হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের সূত্র অনুযায়ী, নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বেশিরভাগ ছড়া দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে অবৈধ দখলদাররা। বিভিন্ন সময় দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া হলেও টেকসই সমাধান মেলেনি।
সুরমা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া আরেকটি সমস্যা। নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বন্যার পানি সিলেটের নগরেও ঢুকে পড়েছে। সিলেটের জলাবদ্ধতা দূর করতে হলে ছড়াগুলো দখল-দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি নদী খনন করাও জরুরি। নদী আর ছড়াগুলোর যত্ন নিলে নগরটির জলাবদ্ধতার সমস্যার একটি টেকসই সমাধান হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। এজন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে। অপরিকল্পিত কাজে সমস্যার সমাধান হয় না, জনগণের অর্থের অপচয়ই হয় শুধু। এটা কাম্য নয়।
শনিবার, ২১ মে ২০২২
একে তো বন্যার পানি, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। এই দুয়ে ডুবে আছে সিলেট নগরী। ভুক্তভোগীরা বলছেন, গত প্রায় তিন যুগের মধ্যে এবারই সিলেট নগরীতে বেশি পানি দেখা গেছে।
জলাবদ্ধতা সিলেট নগরীর নতুন সমস্যা নয়। ভারি বৃষ্টি হলে প্রায়ই সেখানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির পানিতে নগর যেন ডুবে না থাকে, নাগরিকদের যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট নগর কর্তৃপক্ষ কাজও করছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, গত ১০ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচশ’ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে।
শত শত কোটি টাকা খরচ করেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না কেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের করের টাকায় যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো ছিল অপরিকল্পিত। বিশেষজ্ঞরা এমনই মনে করছেন। অপরিকল্পিত কাজের কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যা কমার পরিবর্তে উলটো বেড়ে গেছে। যেমন কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সেখানে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এরই কুফল আজ সিলেট নগরের বাসিন্দাদের ভোগ করতে হচ্ছে।
সিলেটও অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ছড়া দখল বা ভরাট করে নানা স্থাপনা নির্মাণের শিকার হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের সূত্র অনুযায়ী, নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বেশিরভাগ ছড়া দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে অবৈধ দখলদাররা। বিভিন্ন সময় দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া হলেও টেকসই সমাধান মেলেনি।
সুরমা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া আরেকটি সমস্যা। নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বন্যার পানি সিলেটের নগরেও ঢুকে পড়েছে। সিলেটের জলাবদ্ধতা দূর করতে হলে ছড়াগুলো দখল-দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি নদী খনন করাও জরুরি। নদী আর ছড়াগুলোর যত্ন নিলে নগরটির জলাবদ্ধতার সমস্যার একটি টেকসই সমাধান হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। এজন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে। অপরিকল্পিত কাজে সমস্যার সমাধান হয় না, জনগণের অর্থের অপচয়ই হয় শুধু। এটা কাম্য নয়।