একটি সভ্য সমাজে কোন ব্যক্তির পোশাক নিয়ে প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত হতে পারে না। পোশাকের আকার-আয়তন কী হবে, সেটা কখন, কোথায়, কীভাবে পরবে তা নির্ধারণ করার স্বাধীনতা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের আছে। যে সমাজ সভ্য সেখানে কেউ কারও ওপর কোন ধরনের পছন্দ চাপিয়ে দেয় না, কারও ব্যক্তিগত পছন্দে নাক গলায় না।
দেশে পোশাক পরার জন্য নারীদেরকে প্রায়ই অবাঞ্ছিত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। সমাজের এক শ্রেণীর সদস্য শুধু প্রশ্ন তুলে বা অন্যের পোশাকে ‘আপত্তি’ জানানোর মতো অনধিকার চর্চা করেই ক্ষান্ত হয় না। তারা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। কারও সাজ-পোশাক অপছন্দ হলে তার ওপর হামলাও চালায়।
জিন্স ও টপস পরার কারণে এক তরুণীকে হেনস্তা করা হয়েছে। নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। দেশে অতীতেও কোন কোন নারীকে সাজ-পোশাকের জন্য হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীতে টিপ পরার জন্য এক নারীকে হেনস্তা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক সদস্য।
নারীর পোশাক নিয়েই সমাজের এক শ্রেণীর সদস্যের যত ভাবনা। পুরুষের সাজ-পোশাক নিয়ে তাদের ভাবনা নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, একজন নারী তার সাজ-পোশাকে কী পরবেন না পরবেন সেটা দেখভালের দায়িত্ব কাউকে দেয়া হয়েছে কিনা। পোশাকের জন্য নারীদের হেনস্তা হতে দেখে প্রশ্ন জাগে যে, এটা কি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ নাকি ধর্মান্ধ বর্বর কোন দেশ।
দেশের সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। নরসিংদীতে উক্ত নারীকে যারা আক্রমণ করেছে তারা এই সমাজেরই মানুষ। প্লাটফরমে উপস্থিত কোন মানুষকে আক্রান্ত নারী বা তার সঙ্গের দুই পুরুষ সদস্যের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। স্টেশন মাস্টারের কক্ষে গিয়ে তাদের আশ্রয় নিতে হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
সমাজ কেন তাদের আশ্রয় হলো না, ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষদের কেউই কেন তাদের পাশে দাঁড়াল না সেই প্রশ্ন আমরা তুলতে চাই। সমাজ কি সামনের দিকে এগোচ্ছে নাকি মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছে? নারীর পোশাকের প্রতি সমাজের কিছু মানুষের আক্রোশের এই হেতু কী, এর প্রতিকারই বা কী সেটা ভেবে দেখতে হবে।
সাজ-পোশাকের জন্য নারীদের বারবার হেনস্তা হওয়ার ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। নারীর স্বাধীনতায় বারবার আক্রমণের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলা চলে না। নরসিংদীর ঘটনার আইনি বিহিত হওয়া জরুরি। উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা আশা করব, বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। নারীর স্বাধীনতার ওপর আক্রমণের জন্য তাদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
রোববার, ২২ মে ২০২২
একটি সভ্য সমাজে কোন ব্যক্তির পোশাক নিয়ে প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত হতে পারে না। পোশাকের আকার-আয়তন কী হবে, সেটা কখন, কোথায়, কীভাবে পরবে তা নির্ধারণ করার স্বাধীনতা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের আছে। যে সমাজ সভ্য সেখানে কেউ কারও ওপর কোন ধরনের পছন্দ চাপিয়ে দেয় না, কারও ব্যক্তিগত পছন্দে নাক গলায় না।
দেশে পোশাক পরার জন্য নারীদেরকে প্রায়ই অবাঞ্ছিত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। সমাজের এক শ্রেণীর সদস্য শুধু প্রশ্ন তুলে বা অন্যের পোশাকে ‘আপত্তি’ জানানোর মতো অনধিকার চর্চা করেই ক্ষান্ত হয় না। তারা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। কারও সাজ-পোশাক অপছন্দ হলে তার ওপর হামলাও চালায়।
জিন্স ও টপস পরার কারণে এক তরুণীকে হেনস্তা করা হয়েছে। নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। দেশে অতীতেও কোন কোন নারীকে সাজ-পোশাকের জন্য হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীতে টিপ পরার জন্য এক নারীকে হেনস্তা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক সদস্য।
নারীর পোশাক নিয়েই সমাজের এক শ্রেণীর সদস্যের যত ভাবনা। পুরুষের সাজ-পোশাক নিয়ে তাদের ভাবনা নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, একজন নারী তার সাজ-পোশাকে কী পরবেন না পরবেন সেটা দেখভালের দায়িত্ব কাউকে দেয়া হয়েছে কিনা। পোশাকের জন্য নারীদের হেনস্তা হতে দেখে প্রশ্ন জাগে যে, এটা কি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ নাকি ধর্মান্ধ বর্বর কোন দেশ।
দেশের সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। নরসিংদীতে উক্ত নারীকে যারা আক্রমণ করেছে তারা এই সমাজেরই মানুষ। প্লাটফরমে উপস্থিত কোন মানুষকে আক্রান্ত নারী বা তার সঙ্গের দুই পুরুষ সদস্যের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। স্টেশন মাস্টারের কক্ষে গিয়ে তাদের আশ্রয় নিতে হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
সমাজ কেন তাদের আশ্রয় হলো না, ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষদের কেউই কেন তাদের পাশে দাঁড়াল না সেই প্রশ্ন আমরা তুলতে চাই। সমাজ কি সামনের দিকে এগোচ্ছে নাকি মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছে? নারীর পোশাকের প্রতি সমাজের কিছু মানুষের আক্রোশের এই হেতু কী, এর প্রতিকারই বা কী সেটা ভেবে দেখতে হবে।
সাজ-পোশাকের জন্য নারীদের বারবার হেনস্তা হওয়ার ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। নারীর স্বাধীনতায় বারবার আক্রমণের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলা চলে না। নরসিংদীর ঘটনার আইনি বিহিত হওয়া জরুরি। উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা আশা করব, বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। নারীর স্বাধীনতার ওপর আক্রমণের জন্য তাদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।