alt

সম্পাদকীয়

পরিবেশ দূষণ বন্ধে চাই সমন্বিত পদক্ষেপ

: রোববার, ২২ মে ২০২২

রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণকে এখন সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হিসেবে দেখা হয়। মাটি, পানি, বায়ুর মতো পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের শুধু যে অসুখবিসুখই হচ্ছে, তা নয়। এতে মারাও যাচ্ছেন অনেকে। বিশ্বজুড়েই এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নেই।

‘গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে বায়ু, পানি, সিসা এবং কর্মক্ষেত্রে দূষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ জন মানুষ। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট-এ উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে পরিবেশ দূষণে মৃত্যুর সংখ্যার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ।

পরিবেশ দূষণ জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্ম প্রভাব ফেলছে। দেশের অর্থনীতিও দূষণের প্রভাবে বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে। আশঙ্কাজনক বিষয় হচ্ছে, পরিবেশ দূষণ দিন দিন বাড়ছেই। বায়ুদূষণে পৃথিবীর শীর্ষ দেশ বা শহরের তালিকায় প্রায়ই বাংলাদেশ বা ঢাকার নাম স্থান পায়। আর্সেনিক দূষণ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। প্লাস্টিক দূষণ, শব্দদূষণ প্রভৃতি তো রয়েছেই।

দূষণ বন্ধে বিশেষজ্ঞরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর কথা বলছেন। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছেন। বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার করছে। তবে তা কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছেনি। দেশে চলমান কয়েকটি বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পরিবেশ দূষণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, এ কারণে ভবিষ্যতে দূষণের মাত্রা আরও বাড়বে। যদিও সরকার বিষয়টি মানতে রাজি নয়।

উন্নয়ন করতে হবে, তবে পরিবেশকে রক্ষা করাও জরুরি। পরিবেশ বিপন্ন হলে, মানুষ বাঁচবে না। মানুষই যদি না থাকে তাহলে এই উন্নয়নের সুফল কে ভোগ করবে সেটা একটা প্রশ্ন। এজন্য পরিবেশদূষণ রোধে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দূষণবিরোধী ভূমিকা পালন করতে হবে। দূষণ প্রতিরোধে দেশে অনেক আইন রয়েছে। এসব আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটানো জরুরি।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। তবে অভ্যন্তরীণ পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের করণীয়গুলো সরকার ঠিকমতো পালন করছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ দূষণ রোধে নিজেদের কর্তব্য পালন পিছপা হলে চলবে না। পরিবেশ দূষণ বন্ধে সরকারকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

পরিবেশ দূষণ বন্ধে চাই সমন্বিত পদক্ষেপ

রোববার, ২২ মে ২০২২

রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণকে এখন সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হিসেবে দেখা হয়। মাটি, পানি, বায়ুর মতো পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের শুধু যে অসুখবিসুখই হচ্ছে, তা নয়। এতে মারাও যাচ্ছেন অনেকে। বিশ্বজুড়েই এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নেই।

‘গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে বায়ু, পানি, সিসা এবং কর্মক্ষেত্রে দূষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ জন মানুষ। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট-এ উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে পরিবেশ দূষণে মৃত্যুর সংখ্যার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ।

পরিবেশ দূষণ জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্ম প্রভাব ফেলছে। দেশের অর্থনীতিও দূষণের প্রভাবে বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে। আশঙ্কাজনক বিষয় হচ্ছে, পরিবেশ দূষণ দিন দিন বাড়ছেই। বায়ুদূষণে পৃথিবীর শীর্ষ দেশ বা শহরের তালিকায় প্রায়ই বাংলাদেশ বা ঢাকার নাম স্থান পায়। আর্সেনিক দূষণ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। প্লাস্টিক দূষণ, শব্দদূষণ প্রভৃতি তো রয়েছেই।

দূষণ বন্ধে বিশেষজ্ঞরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর কথা বলছেন। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছেন। বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার করছে। তবে তা কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছেনি। দেশে চলমান কয়েকটি বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পরিবেশ দূষণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, এ কারণে ভবিষ্যতে দূষণের মাত্রা আরও বাড়বে। যদিও সরকার বিষয়টি মানতে রাজি নয়।

উন্নয়ন করতে হবে, তবে পরিবেশকে রক্ষা করাও জরুরি। পরিবেশ বিপন্ন হলে, মানুষ বাঁচবে না। মানুষই যদি না থাকে তাহলে এই উন্নয়নের সুফল কে ভোগ করবে সেটা একটা প্রশ্ন। এজন্য পরিবেশদূষণ রোধে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দূষণবিরোধী ভূমিকা পালন করতে হবে। দূষণ প্রতিরোধে দেশে অনেক আইন রয়েছে। এসব আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটানো জরুরি।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। তবে অভ্যন্তরীণ পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের করণীয়গুলো সরকার ঠিকমতো পালন করছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ দূষণ রোধে নিজেদের কর্তব্য পালন পিছপা হলে চলবে না। পরিবেশ দূষণ বন্ধে সরকারকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

back to top