alt

সম্পাদকীয়

বিজেপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ প্রসঙ্গে

: শনিবার, ১১ জুন ২০২২

ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির দুজন নেতার বিরুদ্ধে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করার অভিযোগ উঠেছে।

সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ধর্মভিত্তিক একাধিক রাজনৈতিক দল। তারা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছে। বিচার না হলে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোন কোন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল।

উপমহাদেশের যে কোন একটি দেশে যদি সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় উসকানিমূলক কোন বক্তব্য দেয়া হয় তা এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলে। এ ধরনের ঘটনা কেবল সেই দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হয়ে থাকে না। অন্য দেশগুলোর সম্প্রদায়ের মধ্যেও এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোই লাভবান হয়।

বিজেপির দুই নেতার বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে মুসলিম বিশ্বে ভারত বিপাকে পড়েছে। এর কঠোর সমালোচনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। ক্ষমতাসীন বিজেপি এসব সমালোচনাকে উপেক্ষা করতে পারছে না। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে তাদের দৃঢ় বাণিজ্য-সম্পর্ক আছে।

ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ ওঠার পর ভারত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিজেপি বলেছে, ‘তারা যে কোন ধর্মের বা যে কোন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে অপমানের নিন্দা করে।’ ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত এক নেতাকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর এক নেতাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।

ভারতের ক্ষমতাসীন দলের বিতর্কিত দুই নেতার বিতর্কিত বক্তব্য বাংলাদেশে অনেককেই ক্ষুব্ধ করেছে। তারা প্রতিবাদ করছেন। তবে জেনে-বুঝে প্রতিবাদ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যে, কোন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যেন তাদের আবেগ-অনুভূতিকে হীনস্বার্থে ব্যবহার না করে।

সরকারকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে হবে। ধর্মীয় ইস্যুতে রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর চেষ্টা যেন না করা হয়। সাম্প্রদায়িক শক্তি যেন কোন ফায়দা লুটতে না পারে। কোন উগ্র গোষ্ঠী যেন ঘৃণা ছড়াতে না পারে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক সম্প্রীতি বা সৌহার্দ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

বিজেপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ প্রসঙ্গে

শনিবার, ১১ জুন ২০২২

ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির দুজন নেতার বিরুদ্ধে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করার অভিযোগ উঠেছে।

সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ধর্মভিত্তিক একাধিক রাজনৈতিক দল। তারা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছে। বিচার না হলে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোন কোন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল।

উপমহাদেশের যে কোন একটি দেশে যদি সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় উসকানিমূলক কোন বক্তব্য দেয়া হয় তা এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলে। এ ধরনের ঘটনা কেবল সেই দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হয়ে থাকে না। অন্য দেশগুলোর সম্প্রদায়ের মধ্যেও এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোই লাভবান হয়।

বিজেপির দুই নেতার বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে মুসলিম বিশ্বে ভারত বিপাকে পড়েছে। এর কঠোর সমালোচনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। ক্ষমতাসীন বিজেপি এসব সমালোচনাকে উপেক্ষা করতে পারছে না। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে তাদের দৃঢ় বাণিজ্য-সম্পর্ক আছে।

ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ ওঠার পর ভারত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিজেপি বলেছে, ‘তারা যে কোন ধর্মের বা যে কোন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে অপমানের নিন্দা করে।’ ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত এক নেতাকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর এক নেতাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।

ভারতের ক্ষমতাসীন দলের বিতর্কিত দুই নেতার বিতর্কিত বক্তব্য বাংলাদেশে অনেককেই ক্ষুব্ধ করেছে। তারা প্রতিবাদ করছেন। তবে জেনে-বুঝে প্রতিবাদ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যে, কোন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যেন তাদের আবেগ-অনুভূতিকে হীনস্বার্থে ব্যবহার না করে।

সরকারকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে হবে। ধর্মীয় ইস্যুতে রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর চেষ্টা যেন না করা হয়। সাম্প্রদায়িক শক্তি যেন কোন ফায়দা লুটতে না পারে। কোন উগ্র গোষ্ঠী যেন ঘৃণা ছড়াতে না পারে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক সম্প্রীতি বা সৌহার্দ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

back to top