ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির দুজন নেতার বিরুদ্ধে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করার অভিযোগ উঠেছে।
সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ধর্মভিত্তিক একাধিক রাজনৈতিক দল। তারা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছে। বিচার না হলে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোন কোন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল।
উপমহাদেশের যে কোন একটি দেশে যদি সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় উসকানিমূলক কোন বক্তব্য দেয়া হয় তা এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলে। এ ধরনের ঘটনা কেবল সেই দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হয়ে থাকে না। অন্য দেশগুলোর সম্প্রদায়ের মধ্যেও এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোই লাভবান হয়।
বিজেপির দুই নেতার বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে মুসলিম বিশ্বে ভারত বিপাকে পড়েছে। এর কঠোর সমালোচনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। ক্ষমতাসীন বিজেপি এসব সমালোচনাকে উপেক্ষা করতে পারছে না। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে তাদের দৃঢ় বাণিজ্য-সম্পর্ক আছে।
ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ ওঠার পর ভারত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিজেপি বলেছে, ‘তারা যে কোন ধর্মের বা যে কোন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে অপমানের নিন্দা করে।’ ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত এক নেতাকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর এক নেতাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের বিতর্কিত দুই নেতার বিতর্কিত বক্তব্য বাংলাদেশে অনেককেই ক্ষুব্ধ করেছে। তারা প্রতিবাদ করছেন। তবে জেনে-বুঝে প্রতিবাদ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যে, কোন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যেন তাদের আবেগ-অনুভূতিকে হীনস্বার্থে ব্যবহার না করে।
সরকারকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে হবে। ধর্মীয় ইস্যুতে রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর চেষ্টা যেন না করা হয়। সাম্প্রদায়িক শক্তি যেন কোন ফায়দা লুটতে না পারে। কোন উগ্র গোষ্ঠী যেন ঘৃণা ছড়াতে না পারে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক সম্প্রীতি বা সৌহার্দ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
শনিবার, ১১ জুন ২০২২
ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির দুজন নেতার বিরুদ্ধে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করার অভিযোগ উঠেছে।
সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ধর্মভিত্তিক একাধিক রাজনৈতিক দল। তারা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছে। বিচার না হলে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোন কোন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল।
উপমহাদেশের যে কোন একটি দেশে যদি সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় উসকানিমূলক কোন বক্তব্য দেয়া হয় তা এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলে। এ ধরনের ঘটনা কেবল সেই দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হয়ে থাকে না। অন্য দেশগুলোর সম্প্রদায়ের মধ্যেও এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোই লাভবান হয়।
বিজেপির দুই নেতার বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে মুসলিম বিশ্বে ভারত বিপাকে পড়েছে। এর কঠোর সমালোচনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। ক্ষমতাসীন বিজেপি এসব সমালোচনাকে উপেক্ষা করতে পারছে না। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে তাদের দৃঢ় বাণিজ্য-সম্পর্ক আছে।
ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ ওঠার পর ভারত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিজেপি বলেছে, ‘তারা যে কোন ধর্মের বা যে কোন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে অপমানের নিন্দা করে।’ ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত এক নেতাকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর এক নেতাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের বিতর্কিত দুই নেতার বিতর্কিত বক্তব্য বাংলাদেশে অনেককেই ক্ষুব্ধ করেছে। তারা প্রতিবাদ করছেন। তবে জেনে-বুঝে প্রতিবাদ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যে, কোন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যেন তাদের আবেগ-অনুভূতিকে হীনস্বার্থে ব্যবহার না করে।
সরকারকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে হবে। ধর্মীয় ইস্যুতে রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর চেষ্টা যেন না করা হয়। সাম্প্রদায়িক শক্তি যেন কোন ফায়দা লুটতে না পারে। কোন উগ্র গোষ্ঠী যেন ঘৃণা ছড়াতে না পারে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক সম্প্রীতি বা সৌহার্দ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।