আম উৎপাদনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে নওগাঁ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এ জেলায় আম চাষ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে; যা গত মৌসুমের চেয়ে ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর বেশি। এবার ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনে জেলাটি ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করছে। এ কারণে কেউ কেউ নওগাঁকে বলছেন আমের নতুন রাজধানী।
আম উৎপাদনে এগিয়ে গেলেও এর ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না বলে চাষিরা অভিযোগ করেছেন। ফল সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় ভরা মৌসুমে তাদের প্রত্যাশার চেয়েও কম দামে আম বিক্রি করতে হয়। তারা মনে করছেন, ফল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে তারা প্রত্যাশিত দরে তা বিক্রি করতে পারতেন। এজন্য হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন নওগাঁর আম চাষিরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উৎপাদিত ফল বা ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে কৃষকদেরই বেশি বিপাকে পড়তে হয়। মধ্যস্বত্বভোগীরা জানে যে, ফল চাষিরা আম সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে না। তাদের এ অসহায়ত্বের অন্যায় সুযোগই নেয় একটি গোষ্ঠী। কম দামে ফল কিনে নেয়।
দেশে ফল বা ফসল সংরক্ষণ করা বরাবরই একটি সমস্যা। কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে বিস্তৃত করা যায়নি। হিমাগার থাকলে ফল বা ফসল দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ করার কাজ সহজ হয়।
আমরা বলতে চাই, দীর্ঘমেয়াদে ফল সংরক্ষণের সুব্যবস্থা করা জরুরি। ভবিষ্যতে ফল উৎপাদন বাড়লে এর প্রয়োজন বাড়বে বৈ কমবে না। এ কথা মাথায় রেখে এখনই এ বিষয়ে কাজ শুরু করা দরকার। হিমাগার স্থাপনে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এগিয়ে আসতে পারে।
অবশ্য লাভের নিশ্চয়তা পেলেই বেসরকারি উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাবে। হিমাগার স্থাপন ও পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করে অনেক সময় উদ্যোক্তরা লাভের মুখ দেখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অতীতে দেশে অনেক হিমাগার লোকসান গুনেছে, বন্ধও হয়ে গেছে। হিমাগারের ভাড়া নিয়ে প্রায়ই কৃষকদের সঙ্গে তাদের বনিবনা হয় না। তবে ব্যবসা করতে গেলে কিছু সমস্যা থাকবেই। সেজন্য উদ্যোক্তাদের পিছিয়ে গেলে চলে না।
সোমবার, ১৩ জুন ২০২২
আম উৎপাদনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে নওগাঁ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এ জেলায় আম চাষ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে; যা গত মৌসুমের চেয়ে ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর বেশি। এবার ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনে জেলাটি ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করছে। এ কারণে কেউ কেউ নওগাঁকে বলছেন আমের নতুন রাজধানী।
আম উৎপাদনে এগিয়ে গেলেও এর ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না বলে চাষিরা অভিযোগ করেছেন। ফল সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় ভরা মৌসুমে তাদের প্রত্যাশার চেয়েও কম দামে আম বিক্রি করতে হয়। তারা মনে করছেন, ফল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে তারা প্রত্যাশিত দরে তা বিক্রি করতে পারতেন। এজন্য হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন নওগাঁর আম চাষিরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উৎপাদিত ফল বা ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে কৃষকদেরই বেশি বিপাকে পড়তে হয়। মধ্যস্বত্বভোগীরা জানে যে, ফল চাষিরা আম সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে না। তাদের এ অসহায়ত্বের অন্যায় সুযোগই নেয় একটি গোষ্ঠী। কম দামে ফল কিনে নেয়।
দেশে ফল বা ফসল সংরক্ষণ করা বরাবরই একটি সমস্যা। কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে বিস্তৃত করা যায়নি। হিমাগার থাকলে ফল বা ফসল দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ করার কাজ সহজ হয়।
আমরা বলতে চাই, দীর্ঘমেয়াদে ফল সংরক্ষণের সুব্যবস্থা করা জরুরি। ভবিষ্যতে ফল উৎপাদন বাড়লে এর প্রয়োজন বাড়বে বৈ কমবে না। এ কথা মাথায় রেখে এখনই এ বিষয়ে কাজ শুরু করা দরকার। হিমাগার স্থাপনে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এগিয়ে আসতে পারে।
অবশ্য লাভের নিশ্চয়তা পেলেই বেসরকারি উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাবে। হিমাগার স্থাপন ও পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করে অনেক সময় উদ্যোক্তরা লাভের মুখ দেখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অতীতে দেশে অনেক হিমাগার লোকসান গুনেছে, বন্ধও হয়ে গেছে। হিমাগারের ভাড়া নিয়ে প্রায়ই কৃষকদের সঙ্গে তাদের বনিবনা হয় না। তবে ব্যবসা করতে গেলে কিছু সমস্যা থাকবেই। সেজন্য উদ্যোক্তাদের পিছিয়ে গেলে চলে না।