alt

সম্পাদকীয়

নওগাঁয় আম চাষিদের হিমাগার স্থাপনের দাবি

: সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

আম উৎপাদনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে নওগাঁ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এ জেলায় আম চাষ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে; যা গত মৌসুমের চেয়ে ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর বেশি। এবার ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনে জেলাটি ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করছে। এ কারণে কেউ কেউ নওগাঁকে বলছেন আমের নতুন রাজধানী।

আম উৎপাদনে এগিয়ে গেলেও এর ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না বলে চাষিরা অভিযোগ করেছেন। ফল সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় ভরা মৌসুমে তাদের প্রত্যাশার চেয়েও কম দামে আম বিক্রি করতে হয়। তারা মনে করছেন, ফল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে তারা প্রত্যাশিত দরে তা বিক্রি করতে পারতেন। এজন্য হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন নওগাঁর আম চাষিরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উৎপাদিত ফল বা ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে কৃষকদেরই বেশি বিপাকে পড়তে হয়। মধ্যস্বত্বভোগীরা জানে যে, ফল চাষিরা আম সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে না। তাদের এ অসহায়ত্বের অন্যায় সুযোগই নেয় একটি গোষ্ঠী। কম দামে ফল কিনে নেয়।

দেশে ফল বা ফসল সংরক্ষণ করা বরাবরই একটি সমস্যা। কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে বিস্তৃত করা যায়নি। হিমাগার থাকলে ফল বা ফসল দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ করার কাজ সহজ হয়।

আমরা বলতে চাই, দীর্ঘমেয়াদে ফল সংরক্ষণের সুব্যবস্থা করা জরুরি। ভবিষ্যতে ফল উৎপাদন বাড়লে এর প্রয়োজন বাড়বে বৈ কমবে না। এ কথা মাথায় রেখে এখনই এ বিষয়ে কাজ শুরু করা দরকার। হিমাগার স্থাপনে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এগিয়ে আসতে পারে।

অবশ্য লাভের নিশ্চয়তা পেলেই বেসরকারি উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাবে। হিমাগার স্থাপন ও পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করে অনেক সময় উদ্যোক্তরা লাভের মুখ দেখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অতীতে দেশে অনেক হিমাগার লোকসান গুনেছে, বন্ধও হয়ে গেছে। হিমাগারের ভাড়া নিয়ে প্রায়ই কৃষকদের সঙ্গে তাদের বনিবনা হয় না। তবে ব্যবসা করতে গেলে কিছু সমস্যা থাকবেই। সেজন্য উদ্যোক্তাদের পিছিয়ে গেলে চলে না।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

নওগাঁয় আম চাষিদের হিমাগার স্থাপনের দাবি

সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

আম উৎপাদনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে নওগাঁ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এ জেলায় আম চাষ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে; যা গত মৌসুমের চেয়ে ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর বেশি। এবার ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনে জেলাটি ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করছে। এ কারণে কেউ কেউ নওগাঁকে বলছেন আমের নতুন রাজধানী।

আম উৎপাদনে এগিয়ে গেলেও এর ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না বলে চাষিরা অভিযোগ করেছেন। ফল সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় ভরা মৌসুমে তাদের প্রত্যাশার চেয়েও কম দামে আম বিক্রি করতে হয়। তারা মনে করছেন, ফল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে তারা প্রত্যাশিত দরে তা বিক্রি করতে পারতেন। এজন্য হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন নওগাঁর আম চাষিরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উৎপাদিত ফল বা ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে কৃষকদেরই বেশি বিপাকে পড়তে হয়। মধ্যস্বত্বভোগীরা জানে যে, ফল চাষিরা আম সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে না। তাদের এ অসহায়ত্বের অন্যায় সুযোগই নেয় একটি গোষ্ঠী। কম দামে ফল কিনে নেয়।

দেশে ফল বা ফসল সংরক্ষণ করা বরাবরই একটি সমস্যা। কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে বিস্তৃত করা যায়নি। হিমাগার থাকলে ফল বা ফসল দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ করার কাজ সহজ হয়।

আমরা বলতে চাই, দীর্ঘমেয়াদে ফল সংরক্ষণের সুব্যবস্থা করা জরুরি। ভবিষ্যতে ফল উৎপাদন বাড়লে এর প্রয়োজন বাড়বে বৈ কমবে না। এ কথা মাথায় রেখে এখনই এ বিষয়ে কাজ শুরু করা দরকার। হিমাগার স্থাপনে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এগিয়ে আসতে পারে।

অবশ্য লাভের নিশ্চয়তা পেলেই বেসরকারি উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাবে। হিমাগার স্থাপন ও পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করে অনেক সময় উদ্যোক্তরা লাভের মুখ দেখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অতীতে দেশে অনেক হিমাগার লোকসান গুনেছে, বন্ধও হয়ে গেছে। হিমাগারের ভাড়া নিয়ে প্রায়ই কৃষকদের সঙ্গে তাদের বনিবনা হয় না। তবে ব্যবসা করতে গেলে কিছু সমস্যা থাকবেই। সেজন্য উদ্যোক্তাদের পিছিয়ে গেলে চলে না।

back to top