alt

সম্পাদকীয়

মাদক বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে ৩০টিরও বেশি স্পটে মাদক বাণিজ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে মাঝে-মধ্যে অভিযান চালানো হলেও বন্ধ হচ্ছে না মাদক বাণিজ্য। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যের সঙ্গে মাদক কারবারিদের যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে মাদক বাণিজ্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সখ্যের অভিযোগ সত্য নয়। তবে পুলিশের কোনো সদস্যের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদকের বিরুদ্ধে সরকার বহু আগেই জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সরকারের এই নীতি বাস্তবায়নে মাদকের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমাদের মনে আছে- ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগান নিয়ে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করা হয় ২০১৮ সালে। সেই অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের নামে শত শত তথাকথিত ‘মাদক কারবারিকে’ মারা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনেককে।

এতকিছুর পরও মাদক বাণিজ্য বন্ধ করা তো দূরের কথা, এতে লাগামও টানা যায়নি। এর কারণ কী সেটা একটা প্রশ্ন। মাদক বাণিজ্য বন্ধ না হওয়ার জন্য অনেক কারণকেই চিহ্নিত করা হয়। একটি অভিযোগ হচ্ছে- মাদক কারবারিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যের যোগসাজশ রয়েছে। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে এমনও অভিযোগ পাওয়া যায় যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন কোন সদস্য নিজেই মাদক বাণিজ্য করে। সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দেশে আসে কীভাবে সেই প্রশ্নও রয়েছে।

এসব অভিযোগ বা প্রশ্নের সুরাহা করা জরুরি। কারণ শর্ষের মধ্যে যদি ভূত থাকে তাহলে মাদক বাণিজ্য বন্ধ করা যাবে না। মাদকের বিরুদ্ধে ঘোষিত যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আগে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে।

সৈয়দপুরে মাদক কারবারিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যের সখ্যের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিলে চলবে না, আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

মাদক বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে ৩০টিরও বেশি স্পটে মাদক বাণিজ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে মাঝে-মধ্যে অভিযান চালানো হলেও বন্ধ হচ্ছে না মাদক বাণিজ্য। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যের সঙ্গে মাদক কারবারিদের যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে মাদক বাণিজ্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সখ্যের অভিযোগ সত্য নয়। তবে পুলিশের কোনো সদস্যের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদকের বিরুদ্ধে সরকার বহু আগেই জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সরকারের এই নীতি বাস্তবায়নে মাদকের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমাদের মনে আছে- ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগান নিয়ে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করা হয় ২০১৮ সালে। সেই অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের নামে শত শত তথাকথিত ‘মাদক কারবারিকে’ মারা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনেককে।

এতকিছুর পরও মাদক বাণিজ্য বন্ধ করা তো দূরের কথা, এতে লাগামও টানা যায়নি। এর কারণ কী সেটা একটা প্রশ্ন। মাদক বাণিজ্য বন্ধ না হওয়ার জন্য অনেক কারণকেই চিহ্নিত করা হয়। একটি অভিযোগ হচ্ছে- মাদক কারবারিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যের যোগসাজশ রয়েছে। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে এমনও অভিযোগ পাওয়া যায় যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন কোন সদস্য নিজেই মাদক বাণিজ্য করে। সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দেশে আসে কীভাবে সেই প্রশ্নও রয়েছে।

এসব অভিযোগ বা প্রশ্নের সুরাহা করা জরুরি। কারণ শর্ষের মধ্যে যদি ভূত থাকে তাহলে মাদক বাণিজ্য বন্ধ করা যাবে না। মাদকের বিরুদ্ধে ঘোষিত যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আগে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে।

সৈয়দপুরে মাদক কারবারিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যের সখ্যের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিলে চলবে না, আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top